বাংলাদেশের খেলা দেখা হার্টের জন্য ক্ষতিকর

বাংলাদেশের খেলা দেখা যে হার্টের জন্য ক্ষতিকর, তা মেনে নিলেন প্রধান কোচ ফিল সিমন্সও। গতরাতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে আরো একটা শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচ শেষে জানান ‘এমন জয় হৃদরোগের কারণ হতে পারে।’

নয়া দিগন্ত অনলাইন
ফিল সিমন্স
ফিল সিমন্স |ইন্টারনেট

‘সাবধান! যাদের হার্টে সমস্যা আছে, অনুগ্রহপূর্বক খেলা দেখা থেকে বিরত থাকুন।’ খেলা শুরুর পূর্বে এমনি একটা ‘সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি’ দিতেই পারে বিসিবি। সম্প্রতি যেভাবে খেলছে বাংলাদেশ, এমনটা করা ছাড়া উপায় কী?

বাংলাদেশের খেলা দেখা যে হার্টের জন্য ক্ষতিকর, তা মেনে নিলেন প্রধান কোচ ফিল সিমন্সও। গতরাতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে আরো একটা শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচ শেষে জানান ‘এমন জয় হৃদরোগের কারণ হতে পারে।’

আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বিনা উইকেটে করে ১০৯ রান। তবে পরের ৯ রান তুলতে টাইগাররা হারিয়ে ফেলে ৬ উইকেট! অবিশ্বাস্যভাবে জমে উঠে ম্যাচ!

শেষ পর্যন্ত সোহানের ১৩ বলে অপরাজিত ২৩ রানের ইনিংসে ৪ উইকেটে জিতে যায় বাংলাদেশ। সাথে রিশাদ হোসেন ৯ বলে ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও চিত্র প্রায় একই। তবে এবার বিপদ শুরুতেই।

১৪৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২৪ রান তুলতে তিন উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তবে জাকের আলী ও শামীম হোসেন মিলে ৫৬ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক ধাক্কা সামলান। এরপর তারা আউট হলে চাপে পড়ে যায় দল।

তবে সেই সোহানের ব্যাটে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পায় বাংলাদেশ। ২১ বলে অপরাজিত ৩১ রান করে দলকে জেতান তিনি। সাথে ছয় বলে ১১ রান করে অপরাজিত থাকেন শরিফুল। টানটান উত্তেজনার ম্যাচটা ২ উইকেটে জিতে বাংলাদেশ।

এমন জয়ের পর বাংলাদেশের প্রধান কোচ জানান, শেষমুহূর্তে উত্তেজনায় চাপে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি নিজেও। খানিকটা রসিকতা করেই তিনি বলেন, ‘এটা আমার জন্য ক্ষতিকর। দেখুন, ক্রিকেট এমনই।’

‘ভালো দিকটা হলো, যখন আপনি এই ধরনের ক্লোজ ম্যাচ জেতেন এবং তা চালিয়ে যেতে থাকেন, তখন আপনি আত্মবিশ্বাস পান যখন আবার একটি ক্লোজ ম্যাচে খেলতে নামেন। তাই এটা ভালো যে আমরা এটা করছি, কিন্তু এটা আমাদের কারোর জন্যই ভালো নয়। আমাদের হার্ট সব সময় এটা সহ্য করতে পারে না।’

এরপর ধাপে ধাপে সবার প্রশংসা করেন ফিল সিমন্স। ম্যাচ জয়ের নায়ক নুরুল হাসান সোহানকে নিয়ে বলেন, ‘সে দারুণ ইনিংস খেলেছে। এমন জায়গায় যখন জাকের-শামীম ফিরে গেল, সে সেখান থেকে খেলাটা শেষ করে এলো। ব্যাটারদের থেকে এটাই চাই আমি। যখনই সুযোগ আসবে যেন দায়িত্ব নিয়ে আমাদের ম্যাচ জেতায়।’

ম্যাচ নিয়েও সন্তুষ্টি ঝরেছে প্রধান কোচের কণ্ঠে, ‘প্রথমে বলব, ম্যাচ দুর্দান্ত ছিল। গতকালের ম্যাচ থেকে অনেক ভালো হয়েছে। গতকাল ওপেনাররা দেখিয়েছে তারা কী করতে পারে। আজকে লোয়ার মিডল অর্ডার নিজেদের দক্ষতা দেখিয়েছে।’