ফুটবলে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের শেষ জয়ের স্মৃতিটা আরো দুই যুগ আগের। ২০০৩ সালের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের রোমাঞ্চকর সেমিফাইনালে মতিউর মুন্নার গোল্ডেন গোলে উৎসব করেছিল লাল-সবুজের দল। এরপর কেটে গেছে দীর্ঘ ২২ বছর। মাঠের লড়াই আর হতাশা ছাড়া দেখা যায়নি জয়ের সেই উচ্ছ্বাস।
প্রায় আট মাস পর মুখোমুখি হচ্ছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দল। আগামী ১৮ নভেম্বর জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ হোম ম্যাচ খেলতে নামবে বাংলাদেশ। মাঠের বাইরে উত্তেজনা যত বাড়ছে, মাঠের ভেতর ততটাই ঘাম ঝরাচ্ছেন হামজা-শমিতরা। জয়ের স্বপ্ন বুকে নিয়ে অনুশীলনে ব্যস্ত দেশের ফুটবল তারকারা।
নেপালের বিপক্ষে যোগ করা সময়ে গোল খেয়ে জয়ের আনন্দ হাতছাড়া হওয়ার হতাশা এখনো টাটকা। হামজা চৌধুরীর দুর্দান্ত লড়াই ও মাঠপরিচালনার পরও শেষ মুহূর্তের সেই ভুলে হাসিমুখে মাঠ ছাড়তে পারেনি বাংলাদেশ। সমর্থকরা জয়ের আশা নিয়ে স্টেডিয়ামে এলেও হতাশা নিয়েই ফিরতে হয়েছে তাদের।
হামজা-জামালদের আগমনে দেশের ফুটবল অনেক বদলে গেলেও ফলের ধারাবাহিকতা মিলছে না। প্রতিটি ম্যাচেই আত্মবিশ্বাস আর উন্নতির ছাপ থাকলেও শেষ মুহূর্তে সুযোগ মিসের মাশুল গুনছে লাল-সবুজের দল। তবু সামনে ভারতের মতো শক্ত প্রতিপক্ষকে হারানোর স্বপ্নে উচ্ছ্বসিত হামজা-শমিতরা।
এদিকে জাতীয় দলের নতুন মুখ হামজা, জামাল-সামিতরাও অপেক্ষায় আছেন বাংলাদেশের জার্সিতে প্রথম জয়ের স্বাদ পেতে। চার ম্যাচে দুটি ড্র ও দুটি হারের অভিজ্ঞতা তাদের ঝুলিতে। নিজেদের সামর্থ্য দিয়ে দলকে জয়ের পথে নিয়ে যেতে চায় দেশের ফুটবল তারকারা। তাই ভারতের বিপক্ষে আসন্ন ম্যাচে আরেকবার গর্বিত হওয়ার স্বপ্ন দেখছে পুরো দেশ।



