প্রস্তুতির ঘাটতি নিয়েই বিশ্বকাপ খেলতে গেল বাংলাদেশ। গত পাঁচ মাসে কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ না খেলার আক্ষেপ নিয়ে দেশ ছাড়লেন নিগার সুলতানারা। তবুও উড়াল দেয়ার আগে দিয়ে গেছেন ভালো কিছুর আশা।
চলতি বছরের এপ্রিলে নারী বিশ্বকাপ বাছাইয়ে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। বাছাইপর্বে পাস করে গেলেও বিশ্বকাপের আগে গত ৫ মাসে একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচও খেলা হয়নি।
যা নিয়ে আক্ষেপ থাকলেও ভালো কিছু উপহার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নারী ক্রিকেটাররা। আশা দেখিয়েই মঙ্গলবার বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন তারা।
বিশ্বকাপের মূল আয়োজক ছিল ভারত। তবে হাইব্রিড মডেল থাকায় পাকিস্তানের ম্যাচগুলো শ্রীলঙ্কায় আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ পাকিস্তানের বিপক্ষে।
তাই আগে সেখানেই যাচ্ছেন জ্যোতিরা। ২ অক্টোবর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের সাথে খেলবে শ্রীলঙ্কা। সেই পর্ব শেষ করে এরপর ভারতে যাবে বাংলাদেশ দল। সেখানে ৭ অক্টোবর খেলবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।
১০ অক্টোবর নিউজিল্যান্ড, ১৩ অক্টোবর দক্ষিণ আফ্রিকা, ১৬ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়া, ২০ অক্টোবর শ্রীলঙ্কা ও ২৬ অক্টোবর ভারতের সাথে শেষ ম্যাচ খেলবে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।
তবে প্রথম ম্যাচে নামার আগে শ্রীলঙ্কাতেই স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে টাইগ্রেসরা। বিশ্বকাপ শুরুর আগে যা হতে পারে বাংলাদেশ দলের বড় প্রস্তুতির সুযোগ।
কেননা, বিশ্বকাপ সামনে রেখে তেমন কোনো প্রস্তুতিই নিতে পারেনি বাংলাদেশ। মেয়েরা দুই ভাগে ভাগ হয়ে ও ছেলেদের অনুর্ধ্ব ১৫ দল নিয়ে একটা সিরিজ খেলে সারতে হয় প্রস্তুতি।
যা নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করে বাংলাদেশ অধিনায়ক জ্যোতি দু’দিন আগে বলেন, বিশ্বকাপের আগে আন্তর্জাতিক সিরিজ খেলে যেতে পারলে খুব ভালো হতো। প্রস্তুতির ঘাটতি তো আছেই। তবে নেতিবাচক বিষয়গুলো আমরা ভাবছি না।
‘শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে আমাদের দুইটি প্র্যাকটিস ম্যাচ আছে। এই দুই ম্যাচেই আমাদের সুযোগ থাকবে কম্বিনেশন ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আবহে ফিরতে। আমরা ম্যাচ সিনারিও করে অনুশীলন করেছি মাইন্ডসেট ঠিক রাখতে।’
এদিকে আজ দেশ ছাড়ার আগে বিমানবন্দরে প্রস্তুতি নিয়ে আক্ষেপ আড়ালে রেখে অলরাউন্ডার ফাহিমা আক্তার জানান, দল ভালো প্রস্তুতি নিয়েছে। বিশ্বকাপে ভালো ফলাফল নিয়ে আসার প্রত্যয়ের কথাও জানিয়েছেন তিনি।
ফাহিমা বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, প্রথমে বলতে চাই গত কয়েক মাসে আমরা অনেক অনুশীলন করেছি। বিসিবি আমাদের যতগুলো সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে আমরা সবগুলো নেয়ার চেষ্টা করেছি। সেটা ব্যাটিং-বোলিং দুই দিকেই। আমরা আশানুরূপ রেজাল্ট করতে চাই।’