বিশ্বকাপে প্রথম পাঁচ ম্যাচের চারটিতেই হ্যাটট্রিক করেছিলেন আমিরুল ইসলাম। ষষ্ঠ ম্যাচেও দেখালেন ঝলক, আরো একবার হ্যাটট্রিক আদায় করে নিলেন তিনি। সেই সুবাদে অস্ট্রিয়াকে হারিয়ে স্বপ্নের ট্রফি জিতল বাংলাদেশ।
২৪ দেশের জুনিয়র হকি বিশ্বকাপ বাংলাদেশ শেষ করেছে ১৭তম হয়ে। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) স্থান নির্ধারণী ম্যাচে অস্ট্রিয়াকে ৫-৪ গোলে হারিয়ে চ্যালেঞ্জার্স কাপ শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ।
গল্পটা রূপকথার মতো। লড়াইটা অসম জেনেই তামিলনাড়ুর ফ্লাইটে উঠেছিল বাংলাদেশ। তবে এরপর অসাধ্য সাধনের গল্প লিখেছে দলটি। যার নেপথ্যে ছিল আমিরুল। আসরে পাঁচ হ্যাটট্রিকসহ করেছেন ১৮ গোল।
মাদুরাই আন্তর্জাতিক হকি স্টেডিয়ামে আজ অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে বিশ্বকাপের ১৭তম স্থান নির্ধারণী ম্যাচে নামে বাংলাদেশ।
খেলার পাঁচ মিনিটে দু’টি পেনাল্টি কর্নার পায় অস্ট্রিয়া। তবে বাংলাদেশের রক্ষণ ভাঙতে পারেনি তারা। প্রথম কোয়ার্টার শেষে বাংলাদেশও পায় দু’টি পেনাল্টি কর্নার। দ্বিতীয় পেনাল্টি কর্নার কাজে লাগান আমিরুল ইসলাম। তার গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। এরপর ২৭ মিনিটে পেনাল্টি কর্নার থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন হুজাইফা হোসেন।
আর তৃতীয় কোয়ার্টারে ফিল্ড গোলে ব্যবধান ৩-০ করেন রাকিবুল হাসান রকি। এই কোয়ার্টারে দু’টি পেনাল্টি কর্নার পেলেও গোলে রূপ দিতে পারেনি বাংলাদেশ। উল্টো অস্ট্রিয়া এক গোল শোধ করে। ৪৪ মিনিটে গোলটি করেন আন্দোর লোসোনসি।
এক গোল দেয়ার পর ধারাবাহিক চাপ তৈরি করতে থাকে অস্ট্রিয়া। মরিয়া হয়ে ওঠে ম্যাচে ফিরতে। অবশ্য এর মাঝেই ৫০ ও ৫২ মিনিটে গোল করে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন আমিরুল।
আমিরুলের হ্যাটট্রিকের পরও বাংলাদেশকে জয় পেতে বেশ ঘাম ঝরাতে হয়। শেষ কোয়ার্টারে ছড়ায় রোমাঞ্চ। পরপর তিন গোল করে বাংলাদেশকে চমকে দেয় অস্টিয়া। ৫১ মিনিটে কর্নার থেকে দ্বিতীয় গোল আদায় করেন বেনজামিন কেলনার। তৃতীয় গোলটা আসে ৫৭ মিনিটে, কর্নার থেকে জুলিয়ান কাইজার জালের দেখা পান। আর শেষ বাঁশির দু’ মিনিট আগে মাতেয়ুজ নিকোভিয়াক পেনাল্টি স্ট্রোক থেকে অস্ট্রিয়ার হয়ে চতুর্থ গোলটা করেন।



