ভারতকে হারাতে প্রস্তুত বাংলাদেশ, দেখছে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন

আমরা শুধু শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ জিততে আসিনি। আমরা এসেছি চ্যাম্পিয়ন হতে। বাদ পড়লে বা চ্যাম্পিয়ন হলে তখনই আমার আবেগ দেখা যাবে।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স
বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স |ইন্টারনেট

একটা সময় অংশগ্রহণই ছিল বড় কথা, সেখান থেকে এখন শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখা। গত পাঁচ আসরে তিনবার ফাইনাল খেলা- অনেক আক্ষেপের ভিড়ে এইটুকু বড় পাওয়া বাংলাদেশের।

সেই সময় একটা জয় পাওয়াও ছিল আকাশকুসুম স্বপ্ন, কখনো সেই স্বপ্ন সত্যি হলে বলা হতো ‘অঘটন’ সেখান থেকে উঠে দাঁড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার হুঙ্কার দেয়া- এসব যে বদলে যাওয়া বাংলাদেশের গল্পই বলে।

আজ আরো একবার সেই গল্প মনে করিয়ে দিলেন যেন ফিল সিমন্স। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচকে সামনে রেখে মনে করিয়ে দিলেন চ্যাম্পিয়ন হতেই এশিয়া কাপে এসেছে বাংলাদেশ। সাহস দেখালেন ভারত বধের।

এশিয়া কাপের সুপারে ফোরে আগামীকাল বুধবার নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। যেখানে প্রতিপক্ষ আসরের রেকর্ড চ্যাম্পিয়ন ভারত। দুবাইয়ে রাত সাড়ে ৮টায় খেলবে দুই দল।

এই ম্যাচের আগে মঙ্গলবার ম্যাচপূর্বক সংবাদ সম্মেলনে আসেন বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স। যেখানে তার কাছে ছিল অদ্ভুত এক প্রশ্ন- তার মুখ সব সময় গম্ভীর থাকে কেন? গত ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের পরেও কেন হাসেননি তিনি?

রসিক এই প্রশ্নটাও সিরিয়াসভাবে নিয়েছেন সিমন্স, কড়া জবাব দিয়েছেন তিনি। বলেন, ‘আমরা শুধু শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ জিততে আসিনি। আমরা এসেছি চ্যাম্পিয়ন হতে। বাদ পড়লে বা চ্যাম্পিয়ন হলে তখনই আমার আবেগ দেখা যাবে। তবে এখন আমার কাজ ড্রেসিংরুমে সবার পা মাটিতে রাখা।’

শ্রীলঙ্কাকে ৪ উইকেটে হারানোর পর এখন তাদের হাতছানি দিচ্ছে এশিয়া কাপের ফাইনাল। তবে তার আগে পাড়ি দিতে হবে ‘ভারত’ নামের পাহাড়। সিমন্স বললেন সে পাহাড় টপকাতে প্রস্তুত বাংলাদেশ।

যদিও তা সহজ হবে না। আসরে একমাত্র অপরাজিত দল ভারত। গত ম্যাচেও পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিয়েছে তারা। তবে আত্মবিশ্বাসী সিমন্স বলেন, ‘সব দলেরই ভারতকে হারানোর সক্ষমতা আছে। খেলাটা হয় একটা নির্দিষ্ট দিনে।’

‘ভারত আগে কী করেছে, সেটা তখন কোনো কাজে আসে না। ম্যাচের দিন, ওই সাড়ে তিন ঘণ্টায় কী হলো- সেটাই আসল। আমরা আমাদের সেরাটা খেলব, ভারতের ভুলের অপেক্ষায় থাকব। এভাবেই ম্যাচ জেতা যায়।’

ভারতের বিপক্ষে কী করতে হবে, সেটা নিয়েও পরিষ্কার বক্তব্য কোচের, ‘হারানোর বিশ্বাস থাকতে হবে। আত্মবিশ্বাস আছে আমাদের। যদি সুযোগ আসে, কাজে লাগাতে হবে। সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেই ভারতের বিপক্ষে জেতা সম্ভব।’

শক্তিমত্তা, পরিসংখ্যান কিংবা অর্জন- সবদিক থেকেই বাংলাদেশের চেয়ে ঢের এগিয়ে ভারত। র‍্যাঙ্কিংয়েও এগিয়ে তারা। তবুও বাংলাদেশ ও ভারত মুখোমুখি হলে উত্তেজনার কমতি থাকে না।

সিমন্স যা দেখছেন পজিটিভভাবেই। বলেন, ‘উত্তেজনা থাকা উচিত। আমরা এটা উপভোগ করি। প্রতিটি মুহূর্ত, প্রতিটি ম্যাচ উপভোগ করি। উপভোগ করো, সেরাটা দাও- ম্যাচের আগে আমাদের ভাবনা এটাই।’