ট্রাম্প প্রশাসন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) খাতে আরো কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপের লক্ষ্যে এআই চিপ রফতানির উপর নতুন বিধিনিষেধের সুপারিশ করেছে। এই প্রস্তাবের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো রফতানিকৃত চিপগুলোর অবস্থান যাচাই করার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, এই সুপারিশ যুক্তরাষ্ট্রের এআই প্রযুক্তিকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনার অংশ, যার মধ্যে রয়েছে মিত্র রাষ্ট্রগুলোর সাথে প্রযুক্তি ভাগাভাগি করা। এ লক্ষ্যে এআই কেন্দ্র স্থাপন ত্বরান্বিত করতে যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই কঠোর পরিবেশগত বিধিনিষেধ শিথিল করেছে।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র চীনসহ অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর কাছে উন্নত এআই চিপের প্রবেশাধিকার সীমিত করতে চাচ্ছে। এজন্য এনভিডিয়া এবং এএমডি-র মতো কোম্পানির তৈরি চিপগুলোতে থাকা অবস্থান-ভিত্তিক বৈশিষ্ট্য ব্যবহার করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এই প্রস্তাবটি মার্কিন সিনেটে দ্বি-দলীয় সমর্থন লাভ করেছে। সিনেটররা মনে করছেন, এটি ট্রাম্প প্রশাসনের চীনবিরোধী নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের পাশাপাশি অন্যান্য নিষিদ্ধ দেশের দিকেও প্রযুক্তিকে সীমাবদ্ধ রাখবে।
তবে এই সুপারিশের বাস্তবায়ন পদ্ধতি এখনো পরিষ্কার নয়। এটি প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর ওপরই ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তারাই একটি আইনি কাঠামো তৈরি করবে, যার মাধ্যমে চিপগুলোর ব্যবহারের স্থান নির্ধারণ ও যাচাই করা সম্ভব হবে।
এই প্রস্তাবের অন্যতম সহ-উদ্যোক্তা ইলিনয়ের ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধি বিল ফস্টার রয়টার্সকে বলেন, এই পদক্ষেপটি ভবিষ্যতে আরো শক্তিশালী ব্যবস্থা বাস্তবায়নের পথ প্রশস্ত করবে। যেমন, মার্কিন উৎপাদিত প্রতিটি চিপের চূড়ান্ত ব্যবহারকারীর অবস্থান নির্ধারণ ও যাচাই।
উল্লেখ্য, রয়টার্সের আরেক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এনভিডিয়ার সিইও সম্প্রতি চীন সফর করেন এবং যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অনুমোদনের ভিত্তিতে চীনা কোম্পানিগুলোর কাছে এআই-চালিত চিপ সরবরাহের ঘোষণা দেন। এরপরই এই নতুন বিধিনিষেধের প্রস্তাব সামনে আসে।
সূত্র : রয়টার্স