মধুপুর পীর

রাসূল সা:-কে অবমাননাকারীর শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করে আইন পাস করতে হবে

ব্যাংক কলোনি মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন যাদুরচর মাদরাসার মুহতামিম হাফেজ মাওলানা আলী আকবর কাসেমী।

নিজস্ব প্রতিবেদক
বক্তব্য রাখছেন আল্লামা আব্দুল হামিদ (মধুপুর পীর)
বক্তব্য রাখছেন আল্লামা আব্দুল হামিদ (মধুপুর পীর) |ছবি : নয়া দিগন্ত

কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার দাবি জানিয়ে সম্মিলিত খতমে নবুওয়াত পরিষদের আহ্বায়ক ও খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটি বাংলাদেশের আমির আল্লামা আব্দুল হামিদ (মধুপুর পীর) বলেছেন, হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও রাসূল। তারপরে নতুন করে কেউ নবী-রাসূল হিসেবে আগমন করবে না। এটা কোরআন-সুন্নাহ ইজমা-কিয়াসের সর্বসম্মত বক্তব্য। এটাই ইসলামের মৌলিক আকিদা-বিশ্বাস। যারা এটা অস্বীকার করবে কিংবা সন্দেহ পোষণ করবে নিঃসন্দেহে তারা কাফের। তাদেরকে যারা কাফের বলবে না, তারাও কাফের। তথাকথিত ‘আহমদীয়া মুসলিম জামাত’ নামধারী কাদিয়ানীরা নিজেদের মুসলিম দাবি করলেও উল্লেখিত বিশ্বাসটি অস্বীকার করে এবং ভারতে জন্ম নেয়া গোলাম আহমদ কাদিয়ানীকে নিজেদের নবী ও রাসূল হিসেবে বিশ্বাস করে। ফলশ্রুতিতে তারা ইসলামের মৌলিক আকিদা-বিশ্বাস থেকে বের হয়ে গেছে। অনতিবিলম্বে তাদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে অবমাননাকারীর শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করেও আইন পাস করতে হবে। কোনো কুলাঙ্গার যেন তাঁর সম্পর্কে কটূক্তি করার দুঃসাহস না পায়।

সোমবার (২০ অক্টোবর) সাভার উপজেলা মডেল মসজিদ মিলনায়তনে সম্মিলিত খতমে নবুওয়াত পরিষদ ঢাকা জেলা উত্তরের উদ্যোগে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন। কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার দাবি আদায়ে আগামী ১৫ নভেম্বর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়াত মহাসম্মেলন বাস্তবায়নে তিনি সবার প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।

ব্যাংক কলোনি মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন যাদুরচর মাদরাসার মুহতামিম হাফেজ মাওলানা আলী আকবর কাসেমী।

মুফতি নাজমুল হাসান বিন নূরী ও মুফতি মাহফুজ হায়দার কাসেমীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব বলেন, ইসলামের নামে কাদিয়ানীদের সকল প্রকাশনা, প্রচার-প্রচারণা নিষিদ্ধ করতে হবে। ইসলামী পরিভাষা ব্যবহার করা অমুসলিমদের জন্য সম্পূর্ণ অবৈধ। অতএব ইসলামের সকল পরিভাষা যেমন- কালিমা, নামাজ, রোজা, হজ, যাকাত, মসজিদ, আজান, ইকামত, নবী, মাহদী শব্দ ইত্যাদি তাদের জন্য সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করতে হবে।

এ সময় আন্তর্জতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশের মহাসচিব ও সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত পরিষদের সদস্য সচিব মাওলানা মহিউদ্দিন রব্বানী বলেন, ১৫ নভেম্বরের মহাসম্মেলন সফলে খতিব সাহেবগণ এখন থেকেই প্রতিজুমার আলোচনায় সাধারণ মুসলমানদের কাদিয়ানীদের অপতৎপরতা সম্পর্কে সতর্ক করবেন। প্রত্যেকে নিজ নিজ জায়গা থেকে অনলাইন প্রচারে অংশগ্রহণ করা। ইউনিয়ন, থানা ও জেলা পর্যায়ে জনসচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে নিয়মিত দাওয়াতি কার্যক্রম ও ঝটিকা সফর পরিচালনা করতে হবে।

বক্তব্য রাখেন মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমী, মুফতি মোহাম্মাদ আলী আফতাবনগর, মাওলানা আশিকুর রহমান কাসেমী, মাওলানা আব্দুল মান্নান পাটোয়ারী, মাওলানা ইউসুফ সাদিক হক্কানী, মুফতি সাঈদ নূর, মাওলানা আনওয়ার হোসাইন কাসেমী, মুফতি সাঈদ আহমাদ লাকসামী, মাওলানা আলী আজম, মুফতি আব্দুল বারী আমিনবাজার, মুফতি আলী আশরাফ তৈয়ব, মুফতি মাহবুবুর রহমান নবাবগঞ্জী, মুফতি আমিনুল ইসলাম কাসেমী, মুফতি সানাউল্লাহ ও মুফতি আবুল হোসাইন ধামরাই, মাওলানা ফারুক হোসাইন, মাওলানা বাহাউদ্দীন, মাওলানা আবু সাঈদ, মুফতি আবদুল্লাহ ফিরোজী, মুফতি মাহমুদ হাসান হাবিবী প্রমুখ।