আন্তরিকতার পুরস্কার হিসেবে ওমরাহ উপহার পেলেন মাদরাসাশিক্ষক

‘শুধু যোগ্য হলেই সফলতা সম্ভব নয়; বরং যোগ্যতার পাশাপাশি মেহনত, পরিশ্রম ও আন্তরিকতার মাধ্যমেই ভালো কিছু করা সম্ভব।’

বেলায়েত হুসাইন
আন্তরিকতার পুরস্কার হিসেবে ওমরাহ উপহার পেলেন মাদরাসাশিক্ষক
আন্তরিকতার পুরস্কার হিসেবে ওমরাহ উপহার পেলেন মাদরাসাশিক্ষক |সংগৃহীত

কওমি মাদরাসার শিক্ষকরা রাতদিন ২৪ ঘণ্টা দায়িত্বের মধ্যে থাকেন। সেই হিসাবে তাদের যে, সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা সম্ভব হয় না, তা সকলেরই জানা। এমন পরিস্থিতিতে দারুণ একটি উদাহরণ সৃষ্টি করেছে কুমিল্লার একটি মাদরাসা। মাদরাসাটির কর্তৃপক্ষ তাদের এক শিক্ষকের আন্তরিকতায় মুগ্ধ হয়ে তাকে পবিত্র ওমরাহ করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বুধবার (২৯ অক্টোবর) নয়া দিগন্তকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ওই মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা ভাইস প্রিন্সিপাল মুফতি মাহদী হাসান। তার ভাষায়—‘এই শিক্ষককে শুধু ওমরাহ নয়; সুযোগ থাকলে কলিজা দিয়ে দিতাম।’

পুরস্কার হিসেবে ওমরাহ অর্জনকারী ওই শিক্ষকের নাম হাফেজ মাওলানা আব্দুর রহমান। আর প্রতিষ্ঠানটি হলো- কুমিল্লা শহরের মোগরটুলি এলাকার আন-নূর তাহফিজ মাদরাসা। হাফেজ মাওলানা আব্দুর রহমান এখানকার প্রধান শিক্ষক।

ভাইস প্রিন্সিপাল মুফতি মাহদী হাসান জানান, মাদরাসা প্রতিষ্ঠার পর থেকেই মাওলানা আব্দুর রহমান অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে তাদের মাদরাসায় খেদমত করছেন। ছাত্রদের প্রতি তার অসাধারণ আন্তরিকতা ও দায়িত্বশীলতায় মাত্র ৪ বছরেই তাদের মাদরাসা বেশ সুনাম কুড়িয়েছে। এজন্য কর্তৃপক্ষ তার প্রতি সন্তুষ্ট হয়েই পবিত্র ওমরাহ উপহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

মুফতি মাহদী হাসান দাবি করেন যে, শুধু যোগ্য হলেই সফলতা সম্ভব নয়; বরং যোগ্যতার পাশাপাশি মেহনত, পরিশ্রম ও আন্তরিকতার মাধ্যমেই ভালো কিছু করা সম্ভব। হাফেজ মাওলানা আব্দুর রহমান তার জ্বলন্ত উদাহরণ।

শিক্ষককে ওমরাহ উপহার দেয়া উপলক্ষে সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আন-নূর তাহফিজ মাদরাসা। সেখানে হাফেজ মাওলানা আব্দুর রহমানের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ওমরাহ গিফট ভাউচার’ তুলে দেয়া হয়।

এরপর হাফেজ মাওলানা আব্দুর রহমান নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, ‘এ সম্মাননা আমার জীবনের এক অনন্য প্রাপ্তি। এটি শুধু একটি পুরস্কার নয়; বরং দায়িত্ব ও আমানতের অনুভূতিকে আরো গভীর করে দিয়েছে। আন-নূর পরিবারের সবার প্রতি আমি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। আল্লাহ তায়ালা যেন এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি পদক্ষেপ কবুল করেন।’

এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাদরাসার চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল কালাম, প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল মাওলানা আব্দুস সালাম আইয়ুবী, প্রতিষ্ঠাতা ভাইস প্রিন্সিপাল মুফতি মাহদী হাসান, প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মাওলানা ইসমাঈল ফারুকী প্রমুখ।