ইসলামে জাকাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিধান। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে যেখানেই নামাজের কথা বলেছেন, প্রায় সব জায়গায় সাথে জাকাত আদায়ের কথাও বলেছেন।
জাকাত দিলে সম্পদ বাড়ে
জাকাত আদায় করলে সম্পদ কমে না। বরং আরো বৃদ্ধি পায়। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহ তায়ালা দাতার কল্যাণার্থে দান প্রতিপালন করেন। যেমন, তোমাদের কেউ অশ্ব শাবক প্রতিপালন করে থাকে, অবশেষে সেই দান পাহাড় বরাবর হয়ে যায়।’ (বুখারি, হাদিস : ১৪১০)
জাকাত দিলে অনিষ্ট দূর হয়
নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি তার সম্পদের জাকাত আদায় করে, তার কাছ থেকে অনিষ্ট দূর হয়ে যায়।’ (সহিহ আত তারগিব, হাদিস : ৭৪৩)
জাকাত কার ওপরে ওয়াজিব
সাবালক, সজ্ঞান মুসলমান নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হওয়ার পর আরবি মাস হিসেবে ঠিক এক বছর কাল অতিক্রান্ত হলে, জাকাত আদায় করা ওয়াজিব হয়ে যায়।
জাকাতের নেসাব কী
নেসাবের পরিমাণ ঋণ ও মৌলিক প্রয়োজনের অতিরিক্ত সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ কিংবা বায়ান্ন তোলা রৌপ্য অথবা এর সমমূল্যের নগদ টাকা, বা ব্যবসার সম্পদের মালিক হলে চল্লিশ ভাগের এক ভাগ বা শতকরা আড়াই টাকা হারে জাকাত আদায় করতে হয়।
জাকাত যাদেরকে দেয়া যাবে না
যাদের সাথে দাতার জম্মগত সম্পর্ক আছে। যেমন, বাবা-মা, দাদা-দাদি, নানা-নানি প্রমুখ এবং দাদার সাথে যাদের জম্মগত সম্পর্ক আছে, যেমন, ছেলে-মেয়ে, নাতি-নাতনি ইত্যাদি। তাদেরকে জাকাত-ফিতরা দেয়া যাবে না। তেমনিভাবে স্বামী তার স্ত্রীকে, স্ত্রী তার স্বামীকে জাকাত-ফিতরা দিতে পারে না। অমুসলিম ও ধনী ব্যক্তিকে দান করলে জাকাত-ফিতরা আদায় হয় না।
জাকাত যাদেরকে দেয়া যাবে
এমন সব গরীব ও ফকির-মিসকীনকে দিতে হবে, যাদের কাছে নেসাব পরিমাণ সম্পদ নেই। ধর্মীয় খেদমতে রত, নিঃস্ব ও দরিদ্র ব্যক্তিকে জাকাত-ফিতরা দান করলে, ধর্মীয় খেদমতে সহযোগিতা হিসেবে অধীক সওয়াব পাওয়া যাবে।
সূত্র : আহসানুল ফাতওয়া, ৪ : ২৫৫, কিফায়াতুল মুফতি, ৪: ২৬২, আলমগীরী, ১ : ১৮৭-১৯২