ইসলামী সংস্কৃতিতে মুগ্ধ হয়ে কোরিয়ান যুবকের ইসলাম গ্রহণ

একই দিন কিম চাং ইয়ং নামে আরেক যুবক আনসান মসজিদে তার কাছে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। যুবকটি হুন্দাই কোম্পানির তরুণ ইঞ্জিনিয়ার।

বেলায়েত হুসাইন
নওমুসলিম কোরিয়ান যুবককে পবিত্র কোরআনের প্রতিলিপি উপহার দিচ্ছেন আনসান মসজিদের ইমাম ও খতিব
নওমুসলিম কোরিয়ান যুবককে পবিত্র কোরআনের প্রতিলিপি উপহার দিচ্ছেন আনসান মসজিদের ইমাম ও খতিব |সংগৃহীত

মুসলমানদের জীবনযাপন ও ইসলামী সংস্কৃতিতে মুগ্ধ হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন এক কোরিয়ান যুবক।

স্থানীয় সময় শনিবার (১৮ অক্টোবর) দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে অবস্থিত মসজিদে সিরাতুল মুস্তাকিম আনসানে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি ইসলামে প্রবেশ করেন।

নওমুসলিম ওই যুবকের নাম গোয়ানগো (২৯)। তবে, ইসলামে দীক্ষিত হওয়ার পর তার নতুন নাম রাখা হয়েছে আনওয়ার। শব্দটির অর্থ আলো। এটি আরবি শব্দ ‘নূর’র বহুবচন।

আনওয়ারকে কালিমা পড়ান আনসান মসজিদের ইমাম ও খতিব বাংলাদেশী আলেম মুফতি ফয়জুল্লাহ আমান।

তিনি জানান, আনওয়ার কিছুদিন আগে মিসর ঘুরতে যান। সেখানেই প্রথমবারের মতো তিনি ইসলামী সংস্কৃতির স্পর্শ পান এবং মুসলমানদের সাথে ভালোভাবে মেশেন। তারপর থেকেই ইসলাম সম্পর্কে তার মধ্যে জানার আগ্রহ তৈরি হয় এবং অবশেষে শ্বাশত এই ধর্মে দীক্ষিত হলেন।

মুফতি ফয়জুল্লাহ আমান বলেন, ‘সত্যিই, আল্লাহ যাকে চান তিনিই কেবলমাত্র হিদায়েত প্রাপ্ত হন।’

একই দিন কিম চাং ইয়ং নামে আরেক যুবক আনসান মসজিদে তার কাছে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। যুবকটি হুন্দাই কোম্পানির তরুণ ইঞ্জিনিয়ার।

Mufti-Faizullah-Aman

ইয়ংয়ের মরক্কো, আলজেরিয়া ও ফিলিস্তিন থেকে আসা কয়েকজন আরব বন্ধু ছিল। এর মধ্যে তার ফিলিস্তিনি বন্ধুর কাছে ইসলাম সম্পর্কে জানেন এবং ইসলাম গ্রহণ করেন।

তিনিও ইসলামে প্রবেশের পর পুরনো নাম বদলে নতুন নাম রেখেছেন কিম আমান। মুফতি ফয়জুল্লাহ আমান কিম আমানকে কোরিয়ান ভাষায় শাহাদাহ পাঠ করান।