জুমার দিনে যেসব আমল করবেন

নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জুমার দিনকে অন্য দিনগুলোর সরদার হিসাবে উল্লেখ করেছেন।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
সংগৃহীত

নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জুমার দিন বিশেষ কিছু আমল খুব গুরুত্বের সাথে করতেন।

‘জুমা’ নামে পবিত্র কোরআনে আলাদা একটি সুরা আছে, এটিই জুমার দিনের ফজিলত বোঝানোর জন্য যথেষ্ট। এছাড়ও জুমার দিনের গুরুত্ব ও ফজিলত বোঝানোর জন্য অনেক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জুমার দিনকে অন্য দিনগুলোর সরদার হিসাবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, জুমার দিনে এমন একটি মুহূর্ত আছে যখন দুআ করলে ফিরিয়ে দেয়া হয় না। জুমার দিনে একটি নেকির সওয়াব ৭০ গুণ বৃদ্ধি করে দেয়া হয়। জুমার দিন অসংখ্য মানুষকে জাহান্নাম থেকে মুক্ত করা হয়।

এসব হাদিস এবং নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আমল দেখলে জুমার দিনের গুরুত্ব বোঝার ক্ষেত্রে আর কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকার কথা নয়।

হাদিস ও নবীজির আমলের আলোকে জুমার দিনে আমরা বিশেষ কিছু আমল করতে পারি।

১. মিসওয়াক করা

২. ভালোভাবে গোসল করা

৩. নখ কাটা

৪. ভালো ও পরিস্কার কাপড় পরা

৫. তেল ও সুগন্ধি ব্যবহার করা

৬. আগে আগে মসজিদে চলে যাওয়া

৭. পায়ে হেঁটে মসজিদে যাওয়া

৮. ইমামের কাছাকাছি বসার চেষ্টা করা

৯. কাতারে বসা মুসল্লীদের ডিঙিয়ে সামনে না যাওয়া

১০. তাহিয়্যাতুল মসজিদ বা মসজিদে প্রবেশের নামাজ পড়া

১১. অনর্থক কোনো কাজ না করা, যেমন কাপড় বা চুল নিয়ে খেলা করা

১২. মনোযোগ দিয়ে খুতবা শোনা

১৩. সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করা

১৪. বেশি বেশি দুরুদ শরীফ পড়া

১৫. দুয়া কবুলের সময় দুয়া করা

১৬. অন্যান্য মাসনূন দুয়া বেশি বেশি পড়া