ইসলাম

দেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে রাস্তার ঝাড়ুদার পর্যন্ত যে প্রবাসীদের টাকায় বেতন পায়, পৃথিবীর কোথাও তাদের মূল্যায়ন নেই।

‘মাহফিল-পরবর্তী শ্রোতার মধ্যে আমলি পরিবর্তন আসতে হবে, আচরণে ইসলামী আদর্শের প্রতিফলন ঘটতে হবে। সত্যবাদিতা, আমানতদারি, পরোপকার, নামাজ, রোজা ও সমাজকল্যাণের মাধ্যমে আল্লাহর আদেশ পালনের অঙ্গীকার নবায়ন করতে হবে। প্রকৃত মাহফিলের প্রভাব তখনই সার্থক হবে, যখন জীবনাদর্শ কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে গড়ে উঠবে।’

‘শুধু যোগ্য হলেই সফলতা সম্ভব নয়; বরং যোগ্যতার পাশাপাশি মেহনত, পরিশ্রম ও আন্তরিকতার মাধ্যমেই ভালো কিছু করা সম্ভব।’

হাফেজ ত্বকী জর্ডান, কুয়েত ও বাহরাইনের আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করে দেশের জন্য গৌরব বয়ে আনেন। এছাড়াও তিনি দেশের বিভিন্ন কোরআন প্রতিযোগিতায়ও বিজয়ী হয়েছেন।

এরপর পবিত্র কোরআনের ওপর নির্মিত একটা ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়। যার তথ্যের ওপর ভিত্তি করে অনলাইনে কুইজ প্রতিযোগিতা নেয়া হয়, যা দশর্কনন্দিত হয়। অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিলো উস্তাজা ও হাফিজা সংবর্ধনা পর্ব।

একই দিন কিম চাং ইয়ং নামে আরেক যুবক আনসান মসজিদে তার কাছে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। যুবকটি হুন্দাই কোম্পানির তরুণ ইঞ্জিনিয়ার।

‘এসব বিষয় আমাকে কোরআন পড়তে উদ্বুদ্ধ করে। উসমান দেখার দুই বছর পর, আমি শাহাদাহ পাঠ করে মুসলিম হই।’

অনুষ্ঠানের সার্বিক আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন ‘আর-রিফদা’র সহসম্পাদক আব্দুল্লাহ আবরার এবং মিডিয়া সম্পাদক আবু সাঈদ আল হানাফি।

‘নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অমুসলিম শিক্ষার্থীদেরও উচিত এর কঠোর প্রতিবাদ জানানো। কোরআন এসেছে গোটা মানবজাতির হেদায়েত হিসেবে। কোনো ধর্মগ্রন্থের অবমাননাই আমরা বরদাশত করব না।’

‘পাশাপাশি সরকারের প্রতি আমাদের দাবি—অবিলম্বে ধর্মঅবমাননা বিষয়ে কঠোর ও সুস্পষ্ট আইন তৈরি করে এর বাস্তব প্রয়োগ ঘটাতে হবে। নতুবা দেশের শান্তি, সম্প্রীতি ও স্থিতিশীলতা নষ্টকারী ন্যাক্কারজনক এই ঘটনা বারবার ঘটতেই থাকবে।’