সুদানে গণহত্যার অভিযোগে রেড ক্রস প্রধানের উদ্বেগ

Printed Edition

রয়টার্স

আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটির (আইসিআরসি) প্রেসিডেন্ট মিরজানা স্পোলজারিক সুদানের দারফুর অঞ্চলে সাম্প্রতিক সহিংসতা ও গণহত্যার অভিযোগে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, ইতিহাস যেন পুনরাবৃত্ত হচ্ছে- ২০০৩ সালের দারফুর গণহত্যার স্মৃতি ফিরিয়ে আনছে বর্তমান পরিস্থিতি।

গত সপ্তাহে আধাসামরিক র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) পশ্চিম দারফুরের আল-ফাশির শহর দখল করে নেয়, যা ছিল সরকারি বাহিনীর শেষ ঘাঁটি। শহরটি দখলের পর স্থানীয় সূত্র ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দাবি, অন্তত ২,০০০ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। জাতিসঙ্ঘ ও অন্যান্য সংস্থাগুলো এই ঘটনাকে ‘গণহত্যা ও জাতিগত নিধনের আশঙ্কাজনক উদাহরণ’ হিসেবে বিবেচনা করছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, আরএসএফের হামলায় সৌদি ম্যাটারনিটি হাসপাতালের মাতৃসেবা বিভাগে ৪৬০ জন রোগী ও তাদের স্বজন নিহত হয়েছেন। ডব্লিউএইচও মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস বলেন, ‘আমরা গভীরভাবে মর্মাহত ও বিস্মিত।’ রেড ক্রস প্রধান স্পোলজারিক বলেন, ‘দারফুরে যা ঘটছে, তা আমাদের অতীতের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার স্মৃতি ফিরিয়ে আনছে। ইতিহাস যেন আবারো রক্তাক্তভাবে ফিরে আসছে।’

তিনি সব পক্ষকে মানবিক সহায়তা প্রবাহ নিশ্চিত করতে আহ্বান জানিয়েছেন এবং যুদ্ধবিরতির আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন। আল-ফাশির থেকে হাজার হাজার মানুষ পালিয়ে তাওয়িলা ও আশপাশের শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। খাদ্য, পানি ও চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হয়ে উঠছে। জাতিসঙ্ঘের মানবিক সংস্থা জানিয়েছে, দারফুরে মানবিক সহায়তা পৌঁছানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আরএসএফের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্ত দাবি করেছে। আফ্রিকান ইউনিয়ন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র সুদানে যুদ্ধবিরতি ও রাজনৈতিক সমঝোতার আহ্বান জানিয়েছে।