গণতন্ত্র বিশ্বাস করলে জনপ্রতিনিধির কোনো বিকল্প নাই : মঈন খান

Printed Edition

বিশেষ সংবাদদাতা

গণতন্ত্র বিশ্বাস করলে জনপ্রতিনিধির কোনো বিকল্প নাই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে নাগরিক ঐক্যের উদ্যোগে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আবদুল মঈন খান বলেন, বিগত ১৫ বছর শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংসের নীতি নেয়া হয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল স্পষ্ট- যদি শিক্ষা ধ্বংস করা যায় তবে জাতিকেও ধ্বংস করা যাবে। কারণ তখন মানুষ যুক্তি দিয়ে কথা বলতে পারবে না, ন্যায়-অন্যায়ের পার্থক্য বুঝবে না, প্রতিবাদও করতে পারবে না। এই ধবংসস্তূপ থেকে আমি জানি না বের হয়ে আসতে আমাদের কত সময় লাগবে। তবে এটা বলতে পারি এই শিক্ষা ব্যবস্থাকে সঠিক করতে একমাত্র একটি ব্যক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে, সরকার যাই কিছু করুক না কেন, রাজনীতিকরা যাই কিছু করুক না কেন, শিক্ষকরা যদি ঐক্যবদ্ধভাবে তারা একটি প্রত্যয় নেয় যে আমরা এই দেশের মানুষকে শিক্ষিত করে তুলব আমার বিশ্বাস তাহলে সম্ভব।’

এই ক্ষেত্রে জার্মানির উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, জার্মানিতে একসময় বলা হতো, যদি আকাশে ঢিল ছোড়া হয় তাহলে সেই ঢিলটি হয় গোড়ার মাথায় পড়বে অথবা একজন পিএইচডি ডিগ্রিধারীর মাথায় পড়বে। কেন এই প্রবাদটি প্রচলন হয়েছিল? প্রচলন হয়েছিল এই কারণে যে জার্মানির মানুষ তারা একটি বিশ্বাসে আস্থা রেখেছিল সেটি হচ্ছে তাদের লেখাপড়া করতে হবে।

আবদুল মঈন খান বলেন, একটি দেশের পুলিশ শিক্ষককে লাঠিচার্জ করে অথবা টিয়ার গ্যাস মেরে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে হবে এর চেয়ে কলঙ্কজনক ঘটনা আর কিছু হতে পারে না। আমি নিজের শিক্ষক সেই হিসেবে আমি বলছি না, আমি শিক্ষার যে উদাহরণগুলো দিয়েছি তার ভিত্তিতে বলেছি। কারণ দেশের গতানুগতিক রাজনীতির সাথে আমি তাল মিলাতে পারি না।

তিনি বলেন, সরকার শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা দিয়েছে ৫০০ টাকা। তারা সেই ভাতাটা প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা কি কোনো অপরাধ করেছে? ৫০০ টাকা দিয়ে একজন শিক্ষক একটি বাড়ি ভাড়া করতে পারবে আজকের এই বাংলাদেশের অর্থনীতির যে অবস্থা সেখানে এটা কি কোনো দিন সম্ভব?

আবদুল মঈন খান বলেন, এতো সংস্কার কমিটি হলো, শিক্ষাবিষয়ক সংস্কার কমিটি হলো না কেন? প্রয়োজন নেই সংস্কারের। বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা কি সর্বোচ্চ পর্যায় রেখে গেছে বিগত সরকার যে এটার সংস্কারের প্রয়োজন নেই। এ দেশের শিক্ষাকে কতটুকু গুরুত্ব দেয় সেটা তো আমরা সবাই বুঝতে পারছি। শিক্ষাকে অগ্রাধিকার না দিলে আমরা যতই স্লোগান দেই না কেন দেশ উন্নতি যেতে পারবে না। নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিভিন্ন পেশার ব্যক্তিরা বক্তব্য রাখেন।