ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রথম কোয়ালিফায়ারে ডিএলএস পদ্ধতিতে চট্টগ্রামকে ৪ উইকেটে হারিয়ে এবারের জাতীয় ক্রিকেট লিগ টি-২০-এর ফাইনালে উঠেছে খুলনা বিভাগ। ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ হবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে আজ বিকেলে অনুষ্ঠেয় রংপুর-চট্টগ্রাম ম্যাচের বিজয়ী দল।
টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে চট্টগ্রামের ব্যাটাররা চেষ্টা করেন যতটা সম্ভব রান তোলার। মাহমুদুল হাসান জয় দ্রুত ফিরলেও মুমিনুল-দীপু জুটি স্ট্রাইক রেট ধরে রাখেন। মুমিনুল হক ১৬ বলে ১৯ আর শাহাদাত দীপু ১৯ বলে ২৫ রান করেন। তবে ৫৯ রানের জুটিতে খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেন ইরফান-ইয়াসির জুটি। ইরফান শুক্কুর ৩৩ বলে ৩৯ রানে ফিরলেও অধিনায়ক ইয়াসির আলী চৌধুরী অপরাজিত থেকে যান ৩৭ বলে ৪৫ রান করে। তাতে ৬ উইকেটে ১৪৮ রানের পুঁজি পায় চট্টগ্রাম।
জবাবে রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন খুলনার উইকেটকিপার ইমরানুজ্জামান। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলের পর হানা দেয় বৃষ্টি। তখন রান ১ উইকেটে ৩। খেলা বন্ধ থাকে প্রায় ঘণ্টাখানেক। এরপর খুলনার সামনে পরিবর্তিত লক্ষ্য দাঁড়ায় ৯ ওভারে ৭৮ রানের। কিন্তু রানের গতি তুলতে গিয়ে ১৮ বলে ২৭ রান তুলতে ৫ উইকেট হারায় খুলনা। ৩০ রানে হারায় ৬ উইকেট। ষষ্ঠ ওভারের শেষ দুই বলে নাহিদুলের ছক্কা-চারে আরেকবার খেলায় ফেরে তারা। হাসান মুরাদের করা পরের ওভারে ১৮ রান যোগ করেন নাহিদুল-অভিষেক জুটি। অষ্টম ওভারে আসে ১০ রান। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৭ রানের। প্রথম বল ওয়াইড করার পর মেহেদী রানার পরের বলে এবং তৃতীয় বলে দু’টি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে খুলনাকে ফাইনালে তোলেন অভিষেক। ৩ চার, ২ ছক্কায় ১১ বলে অপরাজিত ২৭ রান করেন অভিষেক।
ঘরোয়া ক্রিকেটে অপরিচিত মুখ অভিষেক। আকবরের নেতৃত্বে বিশ্বকাপজয়ী অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটার তিনি। পচেফস্ট্রুমের ওই ফাইনালে ভারতকে হারানোর ম্যাচে ৪০ রানে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন। ২০২০ সালে একটি লিস্ট এ ম্যাচ খেলেছেন। ওই ম্যাচের পাঁচ বছর পর এবারের এনসিএলেই গত মঙ্গলবার স্বীকৃত টি-২০তে অভিষেক হয় তার। ২ চার, ১ ছক্কায় ৯ বলে ২১ রানে অপরাজিত থাকেন নাহিদুল। দু’জনের ২০ বলে ৫১ রানের জুটিতে ম্যাচ জিতে ফাইনাল নিশ্চিত হয় খুলনার।