খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ

নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে

“আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট, দেশের স্বার্থে, ইসলামের স্বার্থে এবং নারীদের স্বার্থে এই কমিশন বাতিল করতে হবে।”

নিজস্ব প্রতিবেদক
Printed Edition
বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ মিছিল
বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ মিছিল |নয়া দিগন্ত

খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেছেন, নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন যে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তার ১০টির মতো প্রস্তাবনা সরাসরি কুরআনের বিধানের সাথে সাংঘর্ষিক। কমিশনের প্রতিবেদনে মুসলিম উত্তরাধিকার আইন বাতিলের প্রস্তাব করা হয়েছে। মুসলিম পারিবারিক আইন সংস্কার করে সব ধর্মের জন্য অভিন্ন পারিবারিক আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করা হয়েছে যেখানে বিয়ে, তালাক, উত্তরাধিকার ও ভরণপোষণে নারী-পুরুষের কথিত সমান অধিকার থাকবে। স্ত্রী স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করতে পারবে। যৌনকর্মীদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের প্রস্তাব করা হয়েছে। এসব প্রস্তাবনা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদে অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কার্যকর করারও প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে। আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট, দেশের স্বার্থে, ইসলামের স্বার্থে এবং নারীদের স্বার্থে এই কমিশন বাতিল করতে হবে। কারণ, দেশের মানুষের বিশ^াসের বিরুদ্ধে এই কমিশন দাঁড়িয়েছে।

গতকাল ঢাকা মহানগরী খেলাফত মজলিস আয়োজিত ইসলামবিদ্বেষী নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিল ও ভারতে মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি ভারতে ওয়াক্ফ আইন সংস্কারের মাধ্যমে মুসলিমদের সম্পত্তি উচ্ছেদ ও বাজেয়াপ্ত করছে বিজেপি সরকার। কাশ্মিরের মুসলমানদের ওপর ফিলিস্তিনের গাজার মতো গণহত্যা চালানোর জন্য বিজেপি নেতারা উসকানি দিচ্ছে।

গতকাল জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররম উত্তর চত্বরে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আজীজুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন, নায়েবে আমির মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, ঢাকা মহানগরী উত্তর সভাপতি মাওলানা সাইফুদ্দিন আহমদ খন্দকার। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন ও মহানগর উত্তর সাধারণ সম্পাদক প্রিন্সিপাল আজিজুল হকের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল পূর্ববর্তী সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম-মহাসচিব ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক মো: আবদুল জলিল প্রমুখ। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়।