আজ বিশ্ব খাদ্য দিবস

হুমকিতে দেশের খাদ্যনিরাপত্তা

হাসিনা সরকার স্বয়ংসম্পূর্ণতার বুলি আওড়ালেও বাস্তবতা ভিন্ন

প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ চাল, গমসহ বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য আমদানি করতে হচ্ছে সরকারকে। বিগত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে শুধুমাত্র চাল ও গম আমদানি হয়েছে প্রায় ৭৭ লাখ মেট্রিক টন।

কাওসার আজম
Printed Edition

দেশে খাদ্য উৎপাদন কাগজে কলমে স্বয়ংসম্পূর্ণ। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার বিশেষ করে কৃষি খাতের দায়িত্বপ্রাপ্তরা খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণতার বুলি আওড়ালেও বাস্তবতা ভিন্ন। প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ চাল, গমসহ বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য আমদানি করতে হচ্ছে সরকারকে। বিগত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে শুধুমাত্র চাল ও গম আমদানি হয়েছে প্রায় ৭৭ লাখ মেট্রিক টন।

শুধু চাল-গম আমদানি বাড়ছে তা নয়। তেলবীজ মোট চাহিদার মাত্র ২-৩ শতাংশ দেশে উৎপাদন হয়। বাকিটা আমদানি করতে হচ্ছে। ডাল ও ভুট্টা আমদানিও কম নয়। বাংলাদেশের চাষযোগ্য জমি দ্রুত কমছে, জলবায়ু পরিবর্তনে ফসলহানিও বাড়ছে। সেচ, বীজ ও সারসহ সব ক্ষেত্রেই সঙ্কট। বাজারে ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় কৃষকরা চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন। আধুনিক প্রযুক্তি ও যান্ত্রিকীকরণের ঘাটতিও স্পষ্ট। এসব কারণে দেশের ভবিষ্যৎ খাদ্যনিরাপত্তা নানা ঝুঁকির মুখে পড়েছে।

তবে এত কিছুর মধ্যেও হতাশ নন দেশের কৃষি বিজ্ঞানীরা; সঙ্কট কাটিয়ে নতুন সম্ভাবনার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন তারা। দেশকে ধান বা চালে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে নানা রকম জাত উদ্ভাবন ও তা সম্প্রসারণ করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এমন এক প্রেক্ষাপটে আজ বৃহস্পতিবার বিশে^র অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে বিশ^ খাদ্য দিবস। ‘হাতে রেখে হাত, উত্তম খাদ্য ও উন্নত আগামীর পথে’ প্রতিপাদ্য বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে আজ সকাল ১০টায় ফার্মগেটের বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।

এই বছর বিশ্ব খাদ্য দিবস এমন এক সময় উদযাপিত হচ্ছে, যখন জাতিসঙ্ঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) প্রতিষ্ঠার ৮০ বছর পূর্ণ করেছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সংস্থাটির লক্ষ্য ছিল মানবজাতিকে অভাব ও ক্ষুধামুক্ত করা।

টেকসই কৃষি-খাদ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলা প্রসঙ্গে এফএওর মহাপরিচালক ড. কিউ ডংইউ এক বিবৃতিতে বলেছেন, বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ৮.২ শতাংশ মানুষ নিয়মিত অপুষ্টির শিকার। ১৯৪৬ সালে, এফএও প্রতিষ্ঠার পর করা প্রথম বৈশ্বিক জরিপে দেখা গিয়েছিল, তখন পৃথিবীর প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ পর্যাপ্ত খাদ্য পেত না। এখন ২০২৫ সালে এসে জনসংখ্যা তিনগুণেরও বেশি বেড়েছে, কিন্তু বিশ্বে খাদ্য উৎপাদন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, সবার জন্য যথেষ্ট খাবার রয়েছে। তিনি বলেন, ‘এখন আমাদের সামনে দু’টি পথ-একদিকে এগিয়ে যাওয়া, না হয় পিছিয়ে পড়া।’ এফএও ডিজি উল্লেখ করেন, আজকের পৃথিবীতে কৃষি ও খাদ্যব্যবস্থা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি সংযুক্ত। বিশ্বে উৎপাদিত মোট খাদ্যের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের মাধ্যমে সীমান্ত পেরিয়ে পৌঁছায় মানুষের কাছে। তবে জলবায়ু পরিবর্তন, অর্থনৈতিক মন্দা, যুদ্ধ, রোগবালাই বা পঙ্গপাল আক্রমণ- এসব সমস্যা কোনো সীমান্ত মানে না। যেমন দেখা যাচ্ছে-বার্ড ফ্লু, ফল আর্মিওয়ার্ম, পঙ্গপাল-এসব মোকাবেলায় একা কোনো দেশ সফল হতে পারে না। তাই পৃথিবীর এক বিলিয়নেরও বেশি কৃষক ও কৃষিশ্রমিকের জন্য টেকসই স্থিতিশীলতা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা জরুরি।

জানা যায়, দেশে প্রতি বছর লবণাক্ততা, আবাসন, শিল্প কারখানা স্থাপনসহ নানা কারণে কৃষিজমি কমলেও বাড়ছে জনসংখ্যা। ফলে খাদ্যচাহিদাও বাড়ছে। দৈনিক মাথাপিছু আধা কেজি হিসেবে বছরে প্রায় তিন কোটি ১০ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন চাল প্রয়োজন। যা বীজ, অপচয় ও পশুখাদ্য হিসেবে ১৫ শতাংশ যোগ করলে তিন কোটি ৫৬ লাখ ৭৮ হাজার মেট্রিক টনে দাঁড়ায়। ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে মোট খাদ্যশস্য উৎপাদন হয়েছে প্রায় চার কোটি ৬৭ লাখ ৩৯ হাজার মেট্রিক টন। এর মধ্যে চাল উৎপাদন হয়েছে তিন কোটি ৯১ লাখ মেট্রিক টন। গম ১২ লাখ ছয় হাজার মেট্রিক টন রয়েছে।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে চাল ও গম মিলে মোট আমদানি হয়েছে প্রায় ৫০ লাখ মেট্রিক টন। তার পরের বছর ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রায় একই পরিমাণ আমদানি হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এটি বেড়ে ৬৬ লাখ টনের উপরে দাঁড়ায়। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে শুধুমাত্র চাল ও গম আমদানি হয়েছে প্রায় ৭৭ লাখ মেট্রিক টন।

কৃষি ও বিবিএসের উৎপাদন ও চাহিদার তথ্য নিয়ে গরমিল রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেশের জনসংখ্যা ১৭ কোটি ধরে হিসাব করা হয়। কিন্তু দেশের জনসংখ্যা এর চেয়ে ১-২ কোটি বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবার মাঠপর্যায়ে থেকে উৎপাদন তথ্যও অনেক সময় সঠিকভাবে সংগ্রহ হয় না বলে জানা যায়। দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ না হলেও বিগত সময়ে বড় বুলি আওড়াতে দেখা গেছে সংশ্লিষ্টদের।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন. দেশে খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে প্রধান পর্যাপ্ত কৃষিজমির অভাব। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যানুযায়ী, ২০২০ থেকে ২০২৩ সাল তথা তিন বছরে আবাদি জমি কমেছে ১ শতাংশ, যা গত এক দশকে সর্বোচ্চ হ্রাসের ঘটনা। নতুন আবাসন, রাস্তাঘাট, শিল্পকারখানাসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণের কারণে ফসলি জমি হ্রাস পাচ্ছে। এ ছাড়া, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে লবণাক্ত জমির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় চাষের জমি কমছে।

খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন না হওয়ার কারণ হিসেবে যেমন পর্যাপ্ত আবাদি জমির অভাব রয়েছে; তেমনি মৌসুমভিত্তিক সার সরবরাহের অনিশ্চয়তা, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঠিক নীতি সহায়তার অভাব, প্রকৃত কৃষকদের কৃষি ঋণ না পাওয়া, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ আশানুরূপ সম্প্রসারণ না হওয়া, সেচ অবকাঠামো অপ্রতুলতাসহ নানা কারণ রয়েছে বলে মনে করেন কৃষি খাত সংশ্লিষ্টরা।

কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশের খাদ্যনিরাপত্তা মূলত ‘ধান নিরাপত্তা’ নির্ভর। ধান মোট দেশজ উৎপাদনের প্রায় ৪.৫ শতাংশ এবং মোট আবাদি জমির ৭৮ শতাংশ জুড়ে আছে। তবে বর্তমানে ১৭-১৮ কোটি মানুষের খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০৫০ সালে দেশের জনসংখ্যা হবে প্রায় ২১ কোটি ৫৪ লাখ। তখন বছরে চার কোটি ৪৬ লাখ টন চালের প্রয়োজন হবে। কিন্তু কৃষিজমি হ্রাস পেলে এই চাহিদা পূরণ কঠিন হবে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, কৃষিজমি অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করলে অননুমোদিত স্থাপনা উচ্ছেদের পাশাপাশি অনধিক দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং এক কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। এমন বিধান বাস্তবায়নের কারণে দেশের কৃষি উন্নয়নের স্বপ্ন আরো একধাপ এগিয়ে যাবে।

ব্রি সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালে দেশের ধান উৎপাদন ছিল তিন কোটি ৫২ লাখ ৯০ হাজার টন। ভবিষ্যতে খাদ্যচাহিদা মেটাতে হলে এই উৎপাদন বাড়িয়ে ২০৩০ সালে চার কোটি ৬৯ লাখ টন, ২০৪০ সালে পাঁচ কোটি ৪০ লাখ ৯০ হাজার টন এবং ২০৫০ সালে ছয় কোটি আট লাখ ৫০ হাজার টনে উন্নীত করতে হবে। এর জন্য দরকার উন্নত জাতের ধান উদ্ভাবন, অব্যবহৃত জমির ব্যবহার, আধুনিক সেচব্যবস্থা ও যান্ত্রিকীকরণ। বিজ্ঞানীদের মতে, সঠিক পরিকল্পনা ও কৃষিনীতির বাস্তবায়ন হলে ২০২৯ সালের মধ্যেই ধান উৎপাদনে শ্রম উৎপাদনশীলতা দ্বিগুণ করা সম্ভব।

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জসীম উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর একটি। ঘূর্ণিঝড়, লবণাক্ততা, অতিবৃষ্টি ও খরায় কৃষি উৎপাদন নিয়মিত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দক্ষিণাঞ্চলের একসময়ের উর্বর জমি এখন লবণাক্ত মাটিতে পরিণত হয়েছে, যেখানে ধান, পাট বা শাকসবজি ফলানো কঠিন। অন্যদিকে উত্তরাঞ্চলে খরা ও বৃষ্টির তারতম্যে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।

জানা যায়, দেশের সেচনির্ভর কৃষির ৭০ শতাংশ পানি আসে ভূগর্ভ থেকে, ফলে পানির স্তর দ্রুত নিচে নেমে যাচ্ছে। অনেক এলাকায় শুষ্ক মৌসুমে সেচ বন্ধ হয়ে যায়, যা ফসল উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই বিজ্ঞানীরা মনে করেন, আধুনিক প্রযুক্তি, পানি ব্যবস্থাপনা এবং ‘স্ট্রাকচারাল থিওরি’ অনুযায়ী কৃষি খাতের রূপান্তর অপরিহার্য।

ভবিষ্যতে কৃষিজমির পরিমাণ আরো কমে যাবে, কৃষি শ্রমিকের ঘাটতিও বাড়বে। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন, খরা, বন্যা ও লবণাক্ততা বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দেবে। এ অবস্থায় জমির উৎপাদনশীলতা ও শ্রম দক্ষতা বাড়াতে হবে। এ জন্য উপযুক্ত যান্ত্রিকীকরণ, উদ্ভাবনী কৃষিপদ্ধতি এবং কৃষকের জন্য ন্যায্য বাজারমূল্য নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।

এ ছাড়া খাদ্যনিরাপত্তার পাশাপাশি ‘পুষ্টি নিরাপত্তা’ নিশ্চিত করার দিকেও গুরুত্ব দিতে হবে। ব্রির বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ধানের উৎপাদন বাড়াতে কখনো ধানের আবাদ হয়নি এমন জমি আবাদের আওতায় আনতে হবে।

ব্রির তথ্য বলছে, ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের উত্তর-পূর্ব বাংলাদেশ তথা বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে প্রায় ১.৩ লাখ হেক্টর জমি আউশ ও বোরো ধান চাষের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে, যেখানে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি হেক্টরে ৩.৬৩ টন। একই সময়ে বৃহত্তর বরিশাল অঞ্চলে খাল পুনঃখনন এবং সেচসুবিধা উন্নয়নের মাধ্যমে প্রায় ২.৬ লাখ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করা সম্ভব, যেখানে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা হবে ৩.৬৯ টন/হেক্টর। এর পাশাপাশি, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের লবণাক্ত অঞ্চলের কিছু অংশ এবং বৃহত্তর যশোর অঞ্চলে ২০৩০ সালের মধ্যে ১.৩ লাখ হেক্টর জমি বোরো ধান চাষের আওতায় আনা যাবে। আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে এই পরিমাণ বাড়িয়ে ৩১ লাখ হেক্টর করা সম্ভব, যেখানে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা হবে যথাক্রমে ৩.৭৩ টন/হেক্টর এবং ৪.৫০ টন/হেক্টর।

এদিকে, বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে গতকাল বুধবার গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) ‘খাদ্যাভ্যাস ও উচ্চ রক্তচাপ ঝুঁকি’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের এপিডেমিওলজি অ্যান্ড রিসার্চ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা: সোহেল রেজা চৌধুরী বলেন, মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি এমন একটি পদ্ধতি বাস্তবায়ন করতে হবে, যেন প্রক্রিয়াজাত খাবার কেনার আগে মানুষ বুঝতে পারে কোন খাবারে কতটা লবণ ও অন্যান্য উপাদান আছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. খালেদা ইসলাম বলেন, উচ্চরক্তচাপ ও অন্যান্য অসংক্রামক রোগের প্রকোপ কমাতে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস নিশ্চিতের পাশাপাশি জীবনাচরণে পরিবর্তন আনতে হবে।

ওয়েবিনারে বক্তারা বলেন, নিরাপদ ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কারণে বাংলাদেশে উচ্চরক্তচাপসহ বিভিন্ন অসংক্রামক রোগ ও মৃত্যুর ঝুঁকি ক্রমশ বাড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, খাবারে অতিরিক্ত লবণ এবং ট্রান্সফ্যাটের উপস্থিতি উচ্চরক্তচাপের নিয়ন্ত্রণযোগ্য ঝুঁকি হিসেবে বিবেচিত হয়। সঠিক খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে এই রোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব।