ভূমিকম্পের আতঙ্কের মধ্যে এবার ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা

Printed Edition

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভূমিকম্প নিয়ে সারা দেশে মানুষের উদ্বেগ বাড়ছে এবং তার মধ্যেই এবার নতুন আতঙ্ক হিসেবে ঘূর্ণিঝড়ের আভাস পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি সুস্পষ্ট লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এই লঘুচাপ পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আজ সোমবার নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। এরপর এটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নাও নিতে পারে।

আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ ড. ওমর ফারুক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এখন যে লঘুচাপটি রয়েছে, এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়ার যথেষ্ট আশঙ্কা রয়েছে। আগামীকাল নিম্নচাপে রূপ নেবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘টার্গেট হতে পারে ভারতের ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ কিংবা আমাদের চট্টগ্রাম উপকূল। ভারত ও বাংলাদেশ দু’দেশেই প্রভাব পড়তে পারে।’

আবহাওয়া গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ তার ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইলে লিখেছেন, লঘুচাপটি পর্যায়ক্রমে নিম্নচাপ এরপর গভীর নিম্নচাপ এবং অবশেষে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।

সূত্র অনুযায়ী, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে শুরু করে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম উপকূলের মধ্যবর্তী এলাকায় আঘাত হানতে পারে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বর্তমান ভূমিকম্প-ভীতিকর আবহাওয়ার মধ্যে এ ধরনের একটি ঘূর্ণিঝড় যদি আঘাত করে তাহলে মানুষ ও প্রশাসন দুই জায়গায় একসাথে ঝুঁকিতে পড়বে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, ৩০ নভেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হতে পারে।

ভূমিকম্পের পর ঘূর্ণিঝড়ের হুঁশিয়ারি : দ্বিগুণ সঙ্কটে বাংলাদেশ

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে ভূমিকম্প-উদ্বেগ বাড়ার পর, এবার ঘূর্ণিঝড়ের হুমকি যেন একটি নতুন রূপ নিচ্ছে। বিপর্যয়-প্রবণ দেশ হিসেবে এই দ্বিগুণ প্রভাব প্রশাসন ও সাধারণ মানুষের জন্য বেশ বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

ভূমিকম্পের পরে নির্মাণ ও অবকাঠামোর দুর্বলতা আগে থেকেই বাড়ছে- ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টিতে সেই দুর্বলতা আরো প্রকট হবে। মানুষের মনোবল ইতোমধ্যে কমিয়েছিল ভূমিকম্প- এখন ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় আতঙ্ক বাড়ার ঝুঁকি রয়েছে।