নিজস্ব প্রতিবেদক
নানা কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ব¦ ডাক দিবস পালিত হয়েছে। উপলক্ষে ডাক বিভাগের উদ্যোগের দুই দিনের কর্মসূচির প্রথম দিন শোভাযাত্রা, প্রাচীন ডাকটিকিটের প্রদর্শনী, স্মারক ডাকটিকিটের উন্মোচন ও সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ডাক বিভাগের সভাকে বিশ্ব ডাক দিবস উদযাপন উপলে আয়োজিত অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
তিনি বলেন, দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে আমরা ডাক বিভাগের মোট সম্পদের পাশাপাশি বেদখল সম্পদের তালিকা প্রস্তুত করেছি। দ্রুতই বিভাগীয় কমিশনার এবং ডিসিদের সমন্বয়ে ডাক বিভাগের বেদখল সম্পদ পুনরুদ্ধারের কার্যক্রম শুরু করা হবে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, এড্রেস ম্যানেজমেন্টের (ঠিকানা ব্যবস্থাপনা) বর্তমান স্ট্রাকচার ডিজিটাল ইকোনমির জন্য উপযোগী নয়, তাই বেসরকারি কুরিয়ার সার্ভিসের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এড্রেস ম্যানেজমেন্টকে ডিজিটালের চেষ্টা করছি। ঠিকানা ব্যবস্থাপনার সাথে আমাদের ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা দরকার; সেজন্য বিষয়টাকে ডাক এবং কুরিয়ার আইন হালনাগাদের মাধ্যমে এড্রেস করার কাজ করছি। আশা করছি, নভেম্বরের মধ্যেই ডাক এবং কুরিয়ারের সংশোধিত আইন মন্ত্রিপরিষদে উপস্থাপন করা যাবে।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আরো বলেন, মেইল এবং পার্সেল ট্রাকিং সিস্টেমের আওতায় বর্তমানে ৫০-৬০ শতাংশ ট্র্যাকিং করা যায়। তাই এ ট্রাকিং সিস্টেম ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যারের মান উন্নয়নের মাধ্যমে ত্রুটিহীন করার কাজ শুরু হয়েছে। ই-কমার্সের সাথেও ডাক বিভাগকে সমন্বিত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে যাতে শহর এবং গ্রামে মানুষ একইভাবে সেবা পায়।
অনুষ্ঠানে বিশ্ব ডাক দিবস উপলে স্মারক ডাকটিকিট উন্মোচন করেন প্রধান উপদেষ্টার এ বিশেষ সহকারী। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আব্দুন নাসের খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, ডাক অধিদফতরের মহাপরিচালক এস এম শাহাবুদ্দিনসহ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।