আফ্রিকার ভবিষ্যৎ নিয়ে জাতিসঙ্ঘ প্রধানের সতর্কবার্তা

Printed Edition

আনাদোলু এজেন্সি

জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস সতর্ক করে বলেছেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়নে আফ্রিকার অবদান নগণ্য হলেও জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে ভয়াবহ পরিণতির শিকার হবে এই মহাদেশই। শনিবার দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত জি-২০ নেতাদের সম্মেলনে তিনি এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব বলেন, ‘বিশ্ব ইতোমধ্যে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার এক দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখার লক্ষ্যে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে সাময়িকভাবে এ সীমা অতিক্রম করাটা অনিবার্য হয়ে উঠেছে। এখন লক্ষ্য হওয়া উচিত এ অতিরিক্ত উষ্ণায়নকে যতটা সম্ভব কম, স্বল্পস্থায়ী ও নিরাপদ রাখা।’

গুতেরেস সতর্ক করেন যে জলবায়ু সঙ্কটের পরিণতি হবে ভয়াবহ। এর ফলে তাপপ্রবাহ, দাবানল, বন্যা, ঘূর্ণিঝড় ও ক্ষুধার ঝুঁকি আরও বাড়বে। তিনি বলেন, মানুষের জন্য একটি সহনশীল ও টেকসই বিশ্ব গড়ে তুলতে জি-২০ দেশগুলোর নেতৃত্ব এবং সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ‘জলবায়ু বিশৃঙ্খলা’ এড়াতে জলবায়ু ন্যায়বিচারের অংশ হিসেবে অভিযোজনের ঘাটতিগুলো পূরণের ওপর তিনি জোর দেন। এই প্রসঙ্গে মহাসচিব জানান, চলতি বছর থেকেই অভিযোজন তহবিল দ্বিগুণ করা এবং বহুপক্ষীয় উন্নয়ন ব্যাংকগুলোর সহায়তায় ২০৩০ সালের মধ্যে তা তিন গুণ করার ব্যাপারে দেশগুলোকে তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে হবে। তিনি কপ-২৯ (বাকু) সম্মেলনের অর্থায়ন লক্ষ্যমাত্রা রক্ষা, ক্ষয়ক্ষতি ও ক্ষতিপূরণ তহবিল শক্তিশালী করা, ২০২৭ সালের মধ্যে বৈশ্বিক আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, সহনশীল খাদ্যব্যবস্থায় বিনিয়োগ বাড়ানো এবং এ দশকেই জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতা কমিয়ে নবায়নযোগ্য শক্তিতে দ্রুত রূপান্তরের আহ্বান জানান।