প্রিন্স আশরাফ
একশ’ ছয়.
ওদের নৌকার গতিবিধি দেখতে নাভিদ ছইয়ের ভেতর থেকে বাইরে এসে দাঁড়িয়েছে। হাতে তখনো পিস্তল ধরা। হাকিম মাঝি দাঁড় বাওয়ার ফাঁকে ফাঁকে আড়চোখে পিস্তলের দিকে তাকাচ্ছে। উত্তেজনায় জুয়েলও তার পিস্তল বের করেছে। দুই পাশে দুলুনি দেয়া নৌকার টাল সামলে এক হাতে ছই ধরে রেখে সেও বাইরে এসে দাঁড়াল।
দূরে কয়েকটা নৌকা দেখা যাচ্ছে। তার মধ্যে বড় নৌকাই তিনটি। এত রাতে নদীতে এত নৌকা চলাচল করে!
নাভিদ নরম স্বরে জিজ্ঞেস করল, ‘হাকিম ভাই, এইটা কী নদী?’
হাকিম মাঝি কাঁপাকাঁপা গলায় জবাব দিলো, ‘কপোতাক্ষি।’
নাভিদ শিহরিত হলো। এই সেই কপোতাক্ষ নদ! মাইকেল মধুসূদন দত্তের দুগ্ধ স্রোতস্বিনী! সতত হে নদ তুমি পড় মোর মনে! সতত তোমারই কথা ভাবি এ বিরলে!
জুয়েল নদীর দিকে তাকিয়ে বলল, ‘এই নদী নিয়ে একটা কবিতা আছে না নাভিদ ভাই? কোন ক্লাসে যেন পড়েছিলাম। একটু একটু মনে আছে। কোন কবির বাড়ি ছিল না এই নদীর তীরে?’ (চলবে)



