বিভাজন ও অবিশ্বাসনয়, ঐক্যে জোরদিন : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

Printed Edition

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

সাম্য, সংহতি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আদর্শ গড়ে তোলার জন্য বিভাজন ও অবিশ্বাসের চেয়ে ঐক্যে জোর দিতে জোটনিরেপক্ষ আন্দোলনের (ন্যাম) সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।

তিনি বলেন, গত বছরের গণ-অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশের জনগণ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করা, মানুষের অধিকার সমুন্নত রাখা এবং সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য সংস্কারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে। একটি শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ দেশগঠনে নারীদের ক্ষমতায়ন এবং যুবশক্তিকে কাজে লাগানোর জন্য বিনিয়োগ এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

উগান্ডার রাজধানী কাম্পালায় গত বুধবার জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের (ন্যাম) ১৯তম মধ্যবর্তী মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে রাখা বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। সম্মেলনে তিনি বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘বৈশ্বিক সমৃদ্ধির জন্য সহযোগিতা বৃদ্ধি’।

এদিন বিকেলে ফিলিস্তিনবিষয়ক ন্যাম মন্ত্রী পর্যায়ের কমিটির বৈঠকে অংশ নেন তৌহিদ হোসেন। বাংলাদেশ এই কমিটির সদস্য। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ফিলিস্তিনের স্বার্থ রক্ষায় বাংলাদেশের অবিচল অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি গাজায় সম্প্রতি সম্মত যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানিয়ে পূর্ব জেরুসালেমকে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী করে ১৯৬৭ সালের আগের সীমান্তের ওপর ভিত্তি করে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের জন্য বাংলাদেশের জোরালো সমর্থনের কথা জানান।

বৈঠকে তৌহিদ হোসেন দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অব্যাহত মানবিক বোঝার বিষয়েও দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে নিরাপদে প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত ন্যাম আনুষ্ঠানিক সামরিক বা রাজনৈতিক ব্লকের বাইরে বিশ্বের বৃহত্তম জাতিগোষ্ঠী হিসেবে এখনো বিদ্যমান। বর্তমানে এর সদস্যরাষ্ট্রের সংখ্যা ১২০।

ন্যাম সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশ ও উগান্ডার মধ্যে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের সংলাপ (এফওসি) শুরুর জন্য একটি চুক্তি সই হয়েছে। দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার ব্যাপারে দু’দেশের নিয়মিত আলোচনার পথ উন্মুক্ত করতে একটি কাঠামোগত ব্যবস্থার জন্য চুক্তিটি সই করা হয়।