মসজিদের ইমামদের কল্যাণে নীতিমালা হচ্ছে জানিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, কারো কথায় চাকরি না হারিয়ে ইমামরা যাতে নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারেন সেজন্য নীতিমালা হচ্ছে। এতে প্রতিটি ইমামের যেমন চাকরির নিশ্চয়তা থাকবে তেমনি তারা ভালো বেতনও পাবেন।
গতকাল সন্ধ্যায় নয়া দিগন্ত কার্যালয় পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় পত্রিকাটির সম্পাদক সালাহ উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর, নির্বাহী সম্পাদক মাসুমুর রহমান খলিলী, সিটি এডিটর আশরাফুল ইসলাম, চিফ রিপোর্টার আবু সালেহ আকন, সাহিত্য সম্পাদক জাকির আবু জাফর, জিএম মার্কেটিং আনোয়ারুল ইসলাম জয়, এজিএম ফিন্যান্স অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস রফিকুল আলম, অনলাইন এডিটর মোস্তাফিজুর রহমান, ম্যানেজার এইচ আর অ্যাডমিন আজহারুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দেশের সব মসজিদের ইমামরা যাতে স্বাধীনভাবে চাকরি করতে পারেন সে বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, অনেক সময় মসজিদ কমিটির কথায় ইমামের চাকরি চলে যায়। কিন্তু নীতিমালা কার্যকর হলে কারো কথায় চাকরি যাবে না।
সরকার হাজীদের সেবায় আরো যত্নশীল হতে চায় জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, হাজীরা হজে গিয়ে কী কী সমস্যার সম্মুখিন হন তা চিহ্নিতের চেষ্টা চলছে। আগামীতে কোনো প্রতিবন্ধকতা ছাড়া যাতে তারা হজ সম্পাদন করতে পারেন সে বিষয়ে সৌদি সরকারের সাথে আলোচনা চলছে। এ বিষয়ে শিগগিরই সমাধান আসবে বলে আশা করছি। বায়তুল মোকাররম মসজিদের সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ হাতে নেয়া হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, এর আধুনিকায়নে অর্থ পাওয়া গেছে। প্রথম অবস্থায় তার সাউন্ড সিস্টেমস আধুনিকায়ন হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে বাকি সব কাজ সম্পন্ন হবে।
ইসলামী ফাউন্ডেশনের অধীনে প্রকাশিক ‘অগ্রপথিক’ পত্রিকা বন্ধ কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা বন্ধ হয়নি। কয়েকটি সংখ্যা বাদ পড়েছে। আমি অবগত হওয়ার পর তা নিয়মিত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া সাহাবা বিশ্বকোষ প্রকাশের উদ্যোগও গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন তা ১৫ খণ্ডে প্রকাশ করা হবে। দেশের মসজিদগুলোতে চালু থাকা গণশিক্ষা কেন্দ্রগুলো যাতে সেবার মান আরো ভালো করতে পারে সে বিষয়ে চিন্তা চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, কারাগারে বন্দীরা যাতে নৈতিক শৃঙ্খল ও ধর্মীয় জীবন যাপনে অভ্যস্ত হন সেজন্য সেখানে কুরআন শরিফ ছাড়াও চরিত্র গঠনে নৈতিকতা শিক্ষায় বিষয়ভিত্তিক বই ও ইমাম নিয়োগ দেয়া হবে।
সরকারের দখলকৃত ওয়াকফ সম্পত্তির বিষয়ে তিনি বলেন, দখল হওয়া ওয়াকফ সম্পত্তি উদ্ধারে কার্যক্রম চলছে। এ পর্যন্ত অনেক জায়গা দখলমুুক্ত হয়েছে। বাকিগুলো উদ্ধারে চেষ্টা অব্যাহত আছে। দেশে কাজ না করে বেতন নেয়ার কালচার পুরোপুরি বন্ধের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন এ বিষয়েও সরকার সংস্কারমূলক বিভিন্ন কাজ করছে।