নীলফামারী প্রতিনিধি
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, যদি অন্তরে সততার আলো থাকে, তবে কারো বিরুদ্ধে হাজার অভিযোগ হলেও তার সেফ এক্সিটের দরকার পড়বে না।
গতকাল দুপুরে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের বাহাগিলি ইউনিয়নের দুরাকুঠি পাগলাপাড়া গ্রামে গরু ছাড়াই দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে ঘানি টানা প্রবীণ দম্পতি মোস্তাকিন-সকিনাকে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ এর প থেকে দু’টি রিকশাভ্যান ও গরু কেনার জন্য নগদ অর্থসহায়তা দেয়া শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, আজকে সেফ এক্সিটের কথা যিনি বলছেন, তিনিও সরকারের একজন উপদেষ্টা ছিলেন। চিন্তা করে বলতে হবে, কার কথা বলছেন। যদি কেউ অন্যায় করে থাকে; যদি দুর্নীতি নয়, মহাদুর্নীতি করে থাকে; টাকা পাচার করে থাকে অথবা হত্যার সাথে যুক্ত থাকে- তার সেফ এক্সিট দরকার। আপনি সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন, আপনিই বলেন, কারা কারা এ ধরনের অন্যায়-অপরাধ করেছে? তাদের সেফ এক্সিটের কথা তখন তারাই চিন্তা করবে, জাতি চিন্তা করবে।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার সেভ এক্সিটের দরকার পড়েনি। কারণ তিনি অন্তরের আলোতে চলেছেন। তার বিরুদ্ধে অনেক মিথ্যা অভিযোগে মামলা হয়েছে। কিন্তু এই দেশের মাটি, আলো, পানি, বাতাসের মধ্যেই তিনি থাকতে চেয়েছেন। তার সেভ এক্সিটের দরকার পড়েনি।
এই বিএনপি নেতা বলেন, আজকে কেন সেভ এক্সিটের কথা বলা হচ্ছে? কোথায় কী হয়েছে? অনেক সমালোচনা আছে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হচ্ছে না। তবে উপদেষ্টারা চেষ্টা করছেন। আমি এটাও বলব না যে তারা চেষ্টা করছেন না। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খুব খারাপ। জিডিপি ক্রমাগত ভাবে কমছে, কর্মসংস্থান হচ্ছে না। আপনার নতুন নতুন শিল্প কলকারখানা বন্ধ হচ্ছে এটা ঠিক। কিন্তু আবার অর্থনৈতিক শৃঙ্খলাও অনেকটা নিয়ে এসেছেন।
এ সময় আমরা বিএনপি পরিবারের সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুনের নেতৃত্বে সংগঠনের উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, আবুল কাশেম, ইঞ্জিনিয়ার মোস্তফা-ই-জামান সেলিম, জাতীয় প্রেস কাবের নির্বাহী কমিটির সদস্য জাহিদুল ইসলাম রনি ও সংগঠনটির সদস্য মাসুদ রানা লিটন উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে নিহত সৈয়দপুর (সাংগঠনিক জেলা) বিএনপি নেতা শহীদ সাজ্জাদ হোসেন ও শহীদ নাঈম বাবুর পরিবারের সাথে সাাৎ করে আর্থিক অনুদান দিয়েছে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’।