জয়ের ধারায় থাকতে চায় টাইগাররা

চট্টগ্রামে টি-২০ ট্রফি উন্মোচন

Printed Edition
টি-২০ সিরিজের ট্রফি নিয়ে ফটোসেশনে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক : বিসিবি
টি-২০ সিরিজের ট্রফি নিয়ে ফটোসেশনে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক : বিসিবি

ক্রীড়া প্রতিবেদক

আজ থেকে চট্টগ্রামের ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে টি-২০ সিরিজ। বাকি দু’টি ম্যাচ হবে ২৯ ও ৩১ অক্টোবর। প্রতিটি ম্যাচ শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়। এর আগে সদ্য সমাপ্ত ওয়ানডে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জয় পায় বাংলাদেশ। টি-২০তেও জয়ের ধারা অব্যাহত রাখার প্রত্যয় অধিনায়ক লিটন দাসের। ওয়ানডে সিরিজে জয় পকেটে নিয়েই এখন বাংলাদেশের নজর টি-২০তে। আজ শুরু হচ্ছে নতুন লড়াই। মঞ্চ এবার চট্টগ্রাম, যেখানে পিচের রঙ যেমন বদলেছে, তেমনি বদলে গেছে দুই ড্রেসিংরুমের মনোভাবও!

চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক ও নান্দনিক সিআরবি (সেন্ট্রাল রেলওয়ে বিল্ডিং) প্রাঙ্গণে উন্মোচিত হলো বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ তিন ম্যাচ টি-২০ সিরিজের ট্রফি। গতকাল দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের ঐতিহাসিক সিআরবি এলাকায় ব্রিটিশ আমলের স্থাপত্য পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের সদর দফতরের সামনে এক অনুষ্ঠানে দুই দলের অধিনায়ক লিটন দাস ও শাই হোপ ট্রফিটি উন্মোচন করেন। ট্রফি উন্মোচন শেষে দুই অধিনায়ক ফটোসেশনে অংশ নেন। সিআরবির দৃষ্টিনন্দন পুরনো একটি রেল ইঞ্জিনের সামনে ট্রফি হাতে ছবিও তোলেন লিটন ও হোপ।

বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সাথে সমঝোতার অংশ হিসেবে দেশের ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্থানগুলোতে সিরিজের ট্রফি উন্মোচনের ধারা শুরু করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এর আগে ঢাকায় ওয়ানডে সিরিজের ট্রফি উন্মোচন হয়েছিল ঐতিহাসিক লালবাগ কেল্লায় এবং অতীতে সিলেটে চা বাগানেও এমন আয়োজন দেখা গেছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবার চট্টগ্রামের শতবর্ষী সিআরবিকে বেছে নেয়া হয়।

মিরপুরের কালো, ধীর উইকেটের বিপরীতে চট্টগ্রামের উইকেট বাদামি-সবুজাভ। এমন ব্যাটিং সহায়ক পিচ দেখে ক্যারিবীয় কোচ ড্যারেন স্যামির মুখে ফুটেছে স্বস্তির হাসি। বাংলাদেশের মাটিতে বহুবার বিপিএল খেলেছেন তাই তার জানাশোনা বেশি। চট্টগ্রামের উইকেট দেখে আত্মবিশ্বাসী স্যামি বললেন, ‘বাংলাদেশের সেরা উইকেট চট্টগ্রামে। ঢাকার তুলনায় এখানে ব্যাটসম্যানরা সুবিধা পাবে। ওয়ানডে সিরিজের উল্টো ফল দেখার অপেক্ষায় আছি।’

ওয়ানডে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে হারের পর ক্যারিবীয়দের মনোযোগ এখন টি-২০ ঘুরে দাঁড়ানোয়। কিন্তু ইতিহাস, পরিসংখ্যান কিংবা সাম্প্রতিক ফর্ম-সব দিকেই এগিয়ে বাংলাদেশ। দু’বছর আগেও এই ফরম্যাটে এগিয়ে ভাবা যেত ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। এখন সে দিন নেই। গত এক বছরে টানা চারটি টি-২০ সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে। সবচেয়ে বড় জয়টা এসেছে ক্যারিবীয়দের ঘরেই, যেখানে বাংলাদেশ তাদের ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করেছিল।

অন্য দিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের টি-২০ পারফরম্যান্স ভয় ধরানোর মতো নয়। এ বছর পাঁচটি সিরিজ খেলে মাত্র একটিতে জয়, সেটিও বৃষ্টিবিঘিœত আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও নেপালের বিপক্ষে টানা পরাজয়ে দলের আত্মবিশ্বাস বেশ নিচে।

সংক্ষিপ্ত ভার্সনে বাংলাদেশ এখন অনেক বেশি পরিকল্পিত। পাওয়ার হিটিং, ডেথ বোলিং আর ফিল্ডিং-সবকিছুতেই উন্নতি হয়েছে। ওয়ানডে সিরিজের জয়ের পর দলের আত্মবিশ্বাসও এখন তুঙ্গে। চোট কাটিয়ে লিটন দাস ফিরেছেন, যা আরো শক্তি জোগাচ্ছে টাইগারদের। আগামী বছর ভারত ও শ্রীলঙ্কায় বসবে টি-২০ বিশ্বকাপ। তার আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে এই সিরিজটা বাংলাদেশের জন্য নিয়মরক্ষার নয়; বরং বড় প্রস্তুতি মঞ্চ।