ডাকসু নির্বাচন কাল

হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস

সবচেয়ে চোখে পড়ার মতো বিষয় হলো লিফলেট ও হ্যান্ডবিলের ছড়াছড়ি। হাতে হাতে বিলি করা এসব কাগজ মুহূর্তেই মাটিতে পড়ে যাচ্ছে, আর তাতে টিএসসি থেকে শুরু করে কার্জন হল বা বিজনেস স্টাডিজ ফ্যাকাল্টির সামনের রাস্তা সবদিকেই কাগজের স্তূপ তৈরি হচ্ছে।

হারুন ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
Printed Edition
ঢাবিতে ভিসি প্রার্থী আবু সাদিক কায়েমের প্রচারণা (বাঁয়ে); বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় ছাত্রদলের শপথ পাঠ অনুষ্ঠান
ঢাবিতে ভিসি প্রার্থী আবু সাদিক কায়েমের প্রচারণা (বাঁয়ে); বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় ছাত্রদলের শপথ পাঠ অনুষ্ঠান |নয়া দিগন্ত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর ও প্রাণবন্ত পরিবেশ বিরাজ করছে। দীর্ঘ অপেক্ষার পর আগামীকাল ৯ সেপ্টেম্বর ভোটগ্রহণ ইতোমধ্যেই বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থীরা তাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। প্রচারণার শেষ দিন গতকাল রোববার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মধুর ক্যান্টিন, টিএসসি, কার্জন হল, বিভিন্ন হলের প্রবেশদ্বার ও প্রাঙ্গণজুড়ে প্রার্থীরা তাদের সমর্থকদের নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করেছেন। সকাল থেকে লিফলেট বিতরণ গণসংযোগ ও শিক্ষার্থীদের কোলাহলে পুরো ক্যাম্পাস নির্বাচনী মেলায় রূপ নিয়েছিল। তবে সবচেয়ে চোখে পড়ার মতো বিষয় হলো লিফলেট ও হ্যান্ডবিলের ছড়াছড়ি। হাতে হাতে বিলি করা এসব কাগজ মুহূর্তেই মাটিতে পড়ে যাচ্ছে, আর তাতে টিএসসি থেকে শুরু করে কার্জন হল বা বিজনেস স্টাডিজ ফ্যাকাল্টির সামনের রাস্তা সবদিকেই কাগজের স্তূপ তৈরি হচ্ছে।

এ ছাড়াও প্রচারণার অভিনব কৌশল ও ভোটারদের সাড়া এবারের নির্বাচনে প্রার্থীরা ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য বিভিন্ন সৃজনশীল কৌশল অবলম্বন করেছেন। কার্যকরী সদস্য পদে এক প্রার্থী এক হাজার টাকার নোটের আদলে লিফলেট ছাপিয়েছেন, যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে কৌতূহল সৃষ্টি করেছে। অন্য এক প্রার্থী মার্কিন এক ডলারের আকারের প্রচারপত্র তৈরি করেছেন। শেষ সময় পর্যন্ত ভোটারদের আকৃষ্ট করতে অভিনব প্রচারণার কৌশল অবলম্বন করেছেন প্রার্থীরা। শিক্ষার্থীরা মনে করেন, সব প্রার্থীর মধ্যেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।

ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের জিএস প্রার্থী তানভীর বারী হামিম শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে ইতিবাচক বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘সহাবস্থান বজায় রেখেই সবাই প্রচারণা করছে, এতে এবারের নির্বাচনের পরিবেশ অনেকটা ইতিবাচক।’ ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান অভিযোগ করেছেন, জরিপে তাদের পিছিয়ে দেখানো হলেও তারা মাঠে অত্যন্ত শক্ত অবস্থানে রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘জরিপে আমাদের ছোট করে দেখানো হচ্ছে, কিন্তু জয়-পরাজয় নির্ধারণ করবে শিক্ষার্থীরাই।’

এ দিকে ছাত্রদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে তাদের সংগঠনের এলাকার স্থানীয় নেতাকর্মীদের দিয়ে ঢাবি শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের কাছে কল করে তাদের প্যানেলে ভোট দিতে বলছেন। যদিও অভিযোগের সত্যতার ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বহিষ্কার করেছে সংগঠনটি।

এবারের নির্বাচনে প্রার্থীরা শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে প্রচারণা চালিয়েছেন। নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা, আবাসন সঙ্কট, গবেষণা সুবিধা বৃদ্ধি এবং ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক সহিংসতা বন্ধের মতো বিষয়গুলো তাদের ইশতেহারে গুরুত্ব পেয়েছে।

হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পূর্বাভাস ও প্রশাসনের প্রস্তুতি : নির্বাচন বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এবারের নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থীরা এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা তাদের নিজস্ব কৌশল ব্যবহার করে দিনরাত পরিশ্রম করছেন। বিশেষ করে ভিপি, জিএস এবং এজিএস পদে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সুষ্ঠু ও অবাধ ভোটগ্রহণ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। প্রধান রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক জসীম উদ্দীন বলেন, নির্বাচন দিন ঘিরে ক্যাম্পাসে ইতোমধ্যেই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞাসহ নির্বাচনকে ঘিরে যাতে কোনো ব্যাঘাত না ঘটে, সে ব্যাপারে প্রশাসন শতভাগ প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।

শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস ও প্রত্যাশা : জীবনের গুরুত্বপূর্ণ কোনো নির্বাচনে প্রথমবার ভোট দিতে যাচ্ছেন এমন অনেকেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রায়হান বলেন, আমরা শুধু চাই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। এতে আসল প্রতিনিধি উঠে আসুক। ভোটের পর নির্বাচিতরা যেন ইশতেহার ভুলে না যান, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী জহির বলেন, ক্যাম্পাসজুড়ে এমন উৎসবের পরিবেশ দেখে খুবই ভালো লাগছে। আমরা সবাই চাই একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, যেখানে শিক্ষার্থীরা নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে নির্ভয়ে ভোট দিতে পারবেন।

সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী উম্মে নুসরাত তিশা বলেন, ভোট দিতে পারাটা আমাদের অধিকার। আমি আশা করি, এই নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা এমন নেতৃত্ব পাবো যারা আমাদের আবাসন সঙ্কট, গবেষণা সুবিধা এবং নিরাপত্তার মতো বিষয়গুলো গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করবেন।

যা বলছেন প্রার্থীরা : ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের’ ভিপি প্রার্থী আবু সাদিক কায়েম বলেন, প্রতি বছর ক্যাম্পাসে যেভাবে পরীক্ষা হয়, সেভাবে ডাকসু নির্বাচন যেন একই সময়ে অনুষ্ঠিত হয়, সেই পদক্ষেপ নেয়া হবে। এর জন্য ডাকসুকে অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডারের অন্তর্ভুক্তি করার জন্য আমরা কাজ করব। এ ছাড়া ডিপার্টমেন্টে যাদের ভালো ফল থাকবে, অ্যাকাডেমিক এক্সিলেন্ট থাকবে, তাদের নিয়োগের ব্যবস্থা করা হবে। বিগত সময়ে রাজনৈতিক মতাদর্শের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ হতে দেখা গেছে।

তিনি আরো বলেন, আবাসন সঙ্কট দীর্ঘমেয়াদি। এই সঙ্কট নিরসনে হল নির্মাণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বাধ্য করা হবে। স্বাস্থ্য ও খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা যে আশা নিয়ে ভর্তি হয়, তা পূরণের পরিবেশ তৈরি করা হবে। ছাত্রদল মনোনীত ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান বলেন, নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা, ধর্ম, বর্ণ, গোত্রনির্বিশেষে প্রত্যেকের সমান অধিকার ভোগ করা, সহনশীল রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তোলা, সবার ভোটের অধিকার নিশ্চিত করাই আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার। ছাত্রদল মনোনীত জিএস প্রার্থী বলেন, ‘৫ আগস্টের আন্দোলনে আমরা ঐক্যবদ্ধ ছিলাম। তবে পরে কিছু ট্যাগিং-ফ্রেমিং দেখা গেছে, যা বিরাজনীতিকরণের অপচেষ্টা ছাড়া কিছু নয়। আমরা চাই সহনশীল রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে উঠুক, যেখানে মতভেদ থাকবে, বিতর্ক হবে, কিন্তু দিন শেষে রাষ্ট্রের স্বার্থে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংসদের ভিপি প্রার্থী আব্দুল কাদের বলেন, নারী শিক্ষার্থীদের ভোটকেন্দ্র হল থেকে দূরে স্থাপন করা হয়েছে যেন তাদের ভোট দেয়ার আগ্রহ কমে যায়। একই সাথে সেনা মোতায়েনের কথা বলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক তৈরি করেছে, অন্য দিকে পরীক্ষা চলমান রেখেছে। আমরা মনে করি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এখনো সময় আছে। এত বছর পর ডাকসু নির্বাচন হচ্ছে, শিক্ষার্থীরা যেন তাদের ডাকসুকে কার্যকর করতে পারে, এ সুযোগ নিশ্চিত করা প্রশাসনের দায়িত্ব।

ডাকসু নির্বাচনে আবিদ-হামিম-মায়েদ পরিষদের শপথ গ্রহণ : ডাকসু নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সমর্থিত আবিদ-হামিম-মায়েদ পরিষদ তাদের নির্বাচনী ইশতেহারের অঙ্গীকারগুলো পুনরায় তুলে ধরে গতকাল রোববার শপথ গ্রহণ করেছেন। ঐতিহাসিক বটতলায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে প্যানেলের সব প্রার্থী উপস্থিত ছিলেন।

ডাকসু নিয়ে সোচ্চারের জরিপ : ডাকসু নির্বাচনে সহসভাপতি (ভিপি) পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী সাদিক কায়েম এগিয়ে রয়েছেন বলে এক জরিপে উঠে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন ‘সোচ্চার-টর্চার ওয়াচডগ বাংলাদেশ’ এর এক জরিপে এমন দাবি করা হয়েছে। জরিপে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের ৩২ শতাংশ মনে করেন সাদিক কায়েম ভিপি পদে জয়ী হবেন। ছাত্রদলের প্যানেলের ভিপিপ্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান জয়ী হবেন বলে মনে করেন ৭ শতাংশ ভোটার। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পক্ষে রয়েছেন ২২ শতাংশ। আর ৩৪ শতাংশ ভোটার এ বিষয়ে মত জানাতে রাজি হননি। ভিপি পদে মতামত না জানানো ভোটারদের মধ্যে নারী রয়েছেন ৫৪ শতাংশ। আর পুরুষ শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ হার ২৪ শতাংশ। গত ১ থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থিতা ও প্যানেল ঘোষণার আগেই এ জরিপ করা হয়েছে। এতে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৩৩ শতাংশ নারী। অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের ৮৪ শতাংশ ডাকসুতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন বলেও জানিয়েছেন। যদিও প্রায় ১৩ শতাংশ শিক্ষার্থী মনে করেন না নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। জরিপে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭২ শতাংশ শিক্ষার্থী বিভিন্ন সময়ে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে নির্যাতিত হয়েছেন। ছাত্রদের মধ্যে এর হার ৮২ শতাংশ। আর নারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫৬ শতাংশ প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ডাকসুর নির্বাচিত প্রতিনিধিরা আন্তরিক হলে ক্যাম্পাসকে নির্যাতনমুক্ত করতে পারবেন বলে মনে করছেন ৫৩ শতাংশ শিক্ষার্থী। ডাকসু নির্বাচন উপলক্ষে ‘সোচ্চার-টর্চার ওয়াচডগ বাংলাদেশ’র প্রেসিডেন্ট শিব্বির আহমদের নেতৃত্বে হওয়া জরিপে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৯১ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। এর ফলাফল অনুযায়ী, প্যানেলের তুলনায় যোগ্য প্রার্থী দেখে ভোট দিতে চান ৮২ শতাংশ ভোটার। ৭৪ শতাংশ শিক্ষার্থী বলছেন, ব্যক্তিগত পরিচয় মুখ্য নয়, তারা যোগ্যপ্রার্থীকে ভোট দিবেন। নেতা হওয়ার জন্য ব্যক্তিত্বসম্পন্ন হওয়া জরুরি বলেও মনে করছেন তারা। এ ছাড়া পুরুষদের তুলনায় নারী ভোটাররা এটিকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন। আর ৫৮ শতাংশ ভোটার ব্যক্তিজীবনে অ্যাকাডেমিক ও অ্যাক্টিভিজমে ভালো সমন্বয় করা প্রার্থীদের গুরুত্ব দেবেন। ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে প্রার্থীর মধ্যে সততা, ভালো সংগঠক, ধার্মিক, প্রগতিশীল, গুড সেন্স অব হিউমার এবং জুলাই আন্দোলনে ভূমিকাকে গুরুত্ব দিতে চান ভোটাররা। আর ব্যক্তিত্বহীন, মাদকাসক্ত, মিথ্যাবাদী, যৌন কেলেঙ্কারি আছে, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, ছাত্র নির্যাতনে জড়িত, ধর্মবিদ্বেষী ও বদমেজাজিদের ভোট দেবেন না তারা।

বুথ সংখ্যা ৭১০ থেকে বাড়িয়ে ৮১০ : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের কেন্দ্র বাড়ছে না। পূর্বের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ৮টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তবে এই ৮টি কেন্দ্রে বুথের সংখ্যা ৭১০ থেকে বাড়িয়ে ৮১০ নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে বুথের সংখ্যা ৫০০ থেকে বাড়িয়ে ৭১০ নির্ধারণ করা হয়েছিল।

গত শনিবার রাতে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের চিফ রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, এই বুথ সংখ্যায় সব ভোটার উপস্থিত হলেও এবং একজন ভোটার গড়ে ১০ মিনিট সময় নিলেও কোনোরকম বিঘœ ছাড়াই সব কেন্দ্রে নির্ধারিত সময় বিকেল ৪টার মধ্যে ভোটদান সম্পন্ন হওয়া সম্ভব।

বামপন্থী ২ প্যানেলের আচরণবিধি লঙ্ঘন : এদিকে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে বামপন্থী জোট সমর্থিত ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’ ও ৩টি সংগঠন সমর্থিত ‘অপরাজেয় ৭১, অদম্য ২৪’ প্যানেলের বিরুদ্ধে। নির্বাচন কমিশনের অনুমতি না নিয়ে এবং আচরণবিধির তোয়াক্কা না করে মাইক ব্যবহার ও রঙিন ব্যানার নিয়ে মিছিল করেন তারা। গতকাল রোববার দুপুরে ‘অপরাজেয় ৭১, অদম্য ২৪’ প্যানেলের প্রার্থীরা মিছিল দিয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন। সন্ধ্যায় প্রতিরোধ পর্ষদ মিছিল করে। মিছিলে উভয় প্যানেলের প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

আচরণবিধি অনুযায়ী সভা সমাবেশে মাইক ব্যবহারের অনুমতি রয়েছে কিন্তু শোভাযাত্রা/মিছিলের অনুমতি নেই। আচরণবিধি ৬ ধারার (জ) অনুচ্ছেদে বলা হয়- শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এলাকায় সভা, সমাবেশে ও অডিটোরিয়ামে মাইক ব্যবহার করা যাবে। তবে কোনোক্রমেই রাত ১০টার পরে মাইক ব্যবহার করা যাবে না।

চিফ রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড. মো: জসীম উদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে প্যানেল দু’টি থেকে অনুমতি নেয়া হয়নি। আমরা লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।