মালয়েশিয়ায় ১৪২ বাংলাদেশীসহ ১,৪৩৫ অভিবাসী আটক

অভিযানের সময় কুয়ালালামপুরের সবচেয়ে বড় পাইকারি মার্কেটের ব্যবসায়িক সেন্টার এবং দোকানপাটের প্রতিটি প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ বন্ধ করে দেয়া হয়।

আশরাফুল মামুন, মালয়েশিয়া
Printed Edition

মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে যৌথবাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানে এক হাজার ৪৩৫ জন বিদেশীকে আটক করা হয়েছে, যাদের বেশির ভাগই পুসাত বন্দর উতারা এলাকার ইউএনএইচসিআর-এর রোহিঙ্গা শরণার্থী কার্ডধারী। বৃহস্পতিবার রাতের এ অভিযানে ১৪২ জন বাংলাদেশী অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দেশটির সব গণমাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়।

মালয়েশিয়ান যৌথবাহিনী জেনারেল অপারেশনস ফোর্স (জিওপি) রাত ১০.৪৫ মিনিটে বৃহৎ পরিসরে অভিযান শুরু করে। গতকাল সকাল সাড়ে ৬টায় এই অভিযান শেষ হয়। এ সময় কুয়ালালামপুরের সবচেয়ে বড় পাইকারি মার্কেটের এর ব্যবসায়িক সেন্টার এবং দোকানপাটের প্রতিটি প্রবেশপথ এবং বাইর হওয়ার পথ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেয়া হয়। এ অভিযানে অংশ নেয় দেশটির বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৫৬০ জন কর্মকর্তা ও কর্মী।

বুকিত আমান অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলা বিভাগের (পিজিএ) উপপরিচালক দাতুক মোহাম্মদ সুজরিন মোহাম্মদ রোধি বলেন, বিশেষ করে মিয়ানমার থেকে আসা শরণার্থীদের ঢল রোধ করতে যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। ‘এ অভিযানের মূল লক্ষ্য হল অভিবাসন আইনবিরোধী কার্যক্রমের সাথে জড়িত বিভিন্ন অপরাধীকে শনাক্ত করা, যার মধ্যে রয়েছে জাল শরণার্থী কার্ড ব্যবহার, এবং অবৈধভাবে পরিচালিত ব্যবসা বন্ধ করা।

মোহাম্মদ সুজরিন বলেন, এ অভিযানে ২২৫টি ব্যবসায়িক স্থাপনা এবং ভাড়া করা বিভিন্ন আবাসিক এলাকা থেকে মোট মিয়ানমারের রোহিঙ্গা এক হাজার ২২২, বাংলাদেশ ১৪২, ভারত ৯, ইন্দোনেশিয়া ৪ এবং নেপালের ১ জন নাগরিককে আটক করা হয়েছে এবং ইমিগ্রেশন বিভাগ কর্তৃক পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থার জন্য একটি খোলা জায়গায় জড়ো করা হয়েছে

অভিযানের সময় দেখা গেছে যে, ইমিগ্রেশন আইনের লঙ্ঘনের পাশাপাশি বিদ্যুৎ ও পানি চুরিসহ ডিবিকেএল-এর আওতাধীন অন্যান্য অপরাধ, যেমন লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা, জড়িত প্রচুর সংখ্যক অপরাধ শনাক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, বৈধ ভ্রমণ নথি এবং প্রকৃত ইউএনএইচসিআর কার্ডধারী বেশির ভাগ বিদেশীকে তাদের চেক সম্পন্ন হওয়ার পরে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল, বাকিদের পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য পুত্রজায়া ইমিগ্রেশন ডিপোতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

আটককৃতদের বিরুদ্ধে ৬ (১) (গ) এবং ধারা ১৫ (১) (গ), ধারা ৫৫ ই, ধারা ৫৫ বি এবং ১৯৬৩ সালের ইমিগ্রেশন রেগুলেশনের রেগুলেশন ৩৯ (খ)-এর অধীনে তদন্তপূর্বক অভিযোগ গঠন করা হচ্ছে।