বিনোদন প্রতিবেদক
২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের লসঅ্যাঞ্জেলসে মোহাম্মদ আলী খানের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় নন-প্রফিটেবল অর্গানাইজেশন ‘আনন্দ মেলা’। এই ‘আনন্দ মেলা’ বিগত আট বছরে বাংলাদেশে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ড ও সমাজের মানুষের বিপদে আপদে পাশে থেকেছে। মোহাম্মদ আলী খান জানান, মূলত যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাংলাদেশীদের সন্তানদের বাংলাদেশ ও বাংলা ভাষার সাথে সম্পৃক্ত থাকার লক্ষ্যেই এই আনন্দ মেলা গঠন করা হয়েছে। মোহাম্মদ আলী খানই আনন্দ মেলার প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও। বেশ কয়েক বছর ধরে আনন্দ মেলা থেকে সম্মাননা অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হচ্ছে। এ কিছু দিন আগেই বাংলা গানের যুবরাজখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী আসিফ আকবর ও এই প্রজন্মের শ্রোতাপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী আতিয়া আনিসা যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন পরপর টানা কয়েকটি স্টেজ শোতে সঙ্গীত পরিবেশন করার জন্য। সেই ধারাবাহিকতায় এরই মধ্যে আনন্দ মেলার উদ্যোগে মূলত ‘আসিফ আকবর মিউজিক্যাল নাইট-২০২৫’-এর আয়োজন করা হয়। লসঅ্যাঞ্জেলসে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সাথে যথারীতি ছিলেন আতিয়া আনিসা।
অনুষ্ঠানের আয়োজক মোহাম্মদ আলী খান বলেন, ‘এবারই প্রথম আনন্দ মেলার আয়োজনে আসিফ আকবর সঙ্গীত পরিবেশন করেছেন। আমরা সবসময়ই আনন্দ মেলার আয়োজনে অনেক বড় পরিসরে আয়োজন করে থাকি। যেখানে বাংলাদেশ থেকে অনেক শিল্পীই অংশগ্রহণ করে থাকেন। আমাদের লক্ষ্য মূলত একটিই, তা হলো- আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যেন বাংলাদেশ, বাংলা ভাষার সাথে সম্পৃক্ত থাকে। আর যেহেতু যুক্তরাষ্ট্র সফরে এসেছেন আসিফ আকবর। শুধু তার কারণেই তাকে বিশেষ সম্মান জানিয়ে আমরা আসিফ আকবর মিউজিক্যাল নাইট-২০২৫ করেছি। অল্প সময়ের মধ্যেই এই আয়োজন ছিল শতভাগ সফল। যারা অনুষ্ঠানে এসেছিলেন তারা সবাই প্রবল আগ্রহ নিয়ে আসিফ আকবরের গান উপভোগ করেছেন। সেই সাথে আনিসার কণ্ঠের গানও। দুজনের কণ্ঠে কিছু দ্বৈত গানও শ্রোতা দর্শকের মন ছুঁয়ে গেছে। অনুষ্ঠানে যারা এসেছিলেন তাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।’ আসিফ আকবর বলেন, ‘এই আয়োজনে আমাকে যুগের সেরা শিল্পী হিসেবে আনন্দ মেলার পক্ষ থেকে সম্মাননা জানানো হয়। আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা আলী ভাইয়ের প্রতি।
সেই সাথে যারা আনন্দ মেলার আয়োজনে আসিফ আকবর মিউজিক্যাল নাইট-২০২৫ সফল করতে এসেছিলেন তাদের প্রতিও রইল ভালোবাসা।’ আতিয়া আনিসা বলেন, ‘জীবনের প্রথম যুক্তরাষ্ট্র সফর নানান কারণে অনেক অর্থবহ হয়ে উঠছে। আনন্দ মেলার পক্ষ থেকে আমাকে-২০২৫-এর বেস্ট সিঙ্গার হিসেবে সম্মাননা দেয়া হয়। আর পুরো আয়োজনও ছিল ভীষণ পরিপাটি এবং গানে গানে উচ্ছ্বাসে ভরপুর। কৃতজ্ঞতা আসিফ আকবর ভাই, আলী ভাইসহ আনন্দ মেলার সাথে সম্পৃক্ত সবার প্রতি।’



