৩৩ গুণ বেশি দামে পণ্য কিনে অর্থ আত্মসাৎ

রেলের শীর্ষ ১৮ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

Printed Edition

নিজস্ব প্রতিবেদক

৩৩ গুণ পর্যন্ত বেশি দামে পণ্য ক্রয় করে সরকারের দুই কোটি ১৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বাংলাদেশ রেলওয়ের ১৮ জন সাবেক কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে উপসহকারী পরিচালক মো: রোকনুজ্জামান বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বিষয়টি জানিয়েছেন।

মামলার আসামিরা হলেন বাংলাদেশ রেলওয়ের সাবেক মহাব্যবস্থাপক খোন্দকার শহিদুল ইসলাম, সাবেক সিওসি (পশ্চিম) খায়রুল আলম, সাবেক মহাব্যবস্থাপক (পশ্চিম) মজিবুর রহমান, সাবেক সিওসি (পশ্চিম) বেলাল হোসেন সরকার, সাবেক এসিওএস জাহিদ কাওছার, সাবেক ডেপুটি সিসিএম (পশ্চিম) ফুয়াদ হোসেন আনন্দ, সাবেক ডিএফএ শ্যামলী রানী রায়, সাবেক উচ্চমান সহকারী (বর্তমানে সিওসি-পূর্ব) আলামিন তালুকদার, সাবেক ডিএফএ (অর্থ-পশ্চিম) আলমগীর হোসেন, সাবেক সিওপিএস (পশ্চিম) এ এম এম শাহনেওয়াজ, সাবেক এফএ অ্যান্ড সিএও (পশ্চিম) শরিফুল ইসলাম, সাবেক ডেপুটি সিওপিএস (পশ্চিম) মোছা: হাসিনা খাতুন, সাবেক এফএ অ্যান্ড সিএও (পশ্চিম) মসিহ উল হাসান, সাবেক এসিসিএম (পশ্চিম) শেখ আব্দুল জব্বার, সাবেক অতিরিক্ত এফএ অ্যান্ড সিএও (পশ্চিম) গোলাম রব্বানী, গোলাম রহমান, সাবেক এফএ অ্যান্ড সিও (পশ্চিম) সরোজ কান্তি দেব ও সাবেক সিসিএম (পশ্চিম) মিহির কান্তি গুহ।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা, জালিয়াতি ও অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে দফতরের ১৭ প্রকার পণ্য ক্রয়ে প্রকৃত বাজারদর যাচাই না করে ৩৩ গুণ পর্যন্ত বেশি দর নির্ধারণ করে। পরে মূল্যায়ন কমিটি, অনুমোদনকারী কর্মকর্তা ও ঠিকাদারেরর সহায়তায় দুই কোটি ১৮ লাখ ১৪ হাজার ১৯৬ টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে দুদকের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে।