বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের প্রেসিডেন্ট মেজর জেনারেল (অব:) আ ন ম মুনীরুজ্জামান এনডিসি, পিএসসি বলেছেন অবিলম্বে জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল নীতিমালা তৈরি করা জরুরি। আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে এসব নীতিমালার ধারাবাহিক পরিবর্তন করতে হয়। কিন্তু আমাদের কোনো নীতিমালাই নেই। তিনি আরাকানে মানবিক করিডোর প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হলে তা দেশের জন্য আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হবে বলে অভিমত দিয়েছেন। জেনারেল মুনীরুজ্জামান বলেন, করিডোর দিলে একটা সিঙ্গেল রোহিঙ্গাও ফেরত যাবে না। রোহিঙ্গা ফেরত যাওয়ার বিষয়টি মিথ্যা আশ্বাস এবং কোনো দেশই সঙ্ঘাতের সাথে নিজেকে জড়িয়ে ফেলে না এটা আমাদের মনে রাখতে হবে। নয়া দিগন্তকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন মিয়ানমার বা আরাকান আর্মির সাথে সঙ্ঘাতে বাংলাদেশের কোনো স্বার্থ নেই। করিডোর দিলে বাংলাদেশের স্বার্থের বড় ধরনের ক্ষতি হবে।
নয়া দিগন্ত : ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের কয়েক দিন পর যুদ্ধবিরতি সম্ভব হয়েছে। এমন একটা পরিস্থিতিতে আমাদের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার প্রয়োজনটা কী এবং কোথায়?
মুনীরুজ্জামান : পরিবর্তিত যে সামরিক ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে এই উপমহাদেশে বা দক্ষিণ এশিয়াতে সেটাকে আবার নতুন করে বিশ্লেষণ করে আমাদের দেখতে হবে। বর্তমানে কী পরিবর্তনটা এসেছে, নতুন করে কী পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে, তার সাথে সাথে দেখতে হবে যে আমাদের ওপরে কী ধরনের প্রতিফলন আসছে, এটা বুঝে নিয়ে আমাদের নিরাপত্তা নীতিমালাগুলো তৈরি করতে হবে। নীতিমালা যেখানে পরিবর্তন বা পরিবর্ধনের প্রয়োজন সেটা করতে হবে এবং যেখানে যেখানে আমাদের প্রয়োজন প্রস্তুতির সে প্রস্তুতিটা নিতে হবে। এটা শুধু মুখে বললে হবে না এটার জন্য ব্যাপকভাবে প্রস্তুতি নেয়ার প্রয়োজন আছে।
নয়া দিগন্ত : তাহলে প্রতিরক্ষা খাতে কী সংস্কার প্রয়োজন? ঘাটতি কোথায়?
মুনীরুজ্জামান : না, প্রথমে হচ্ছে যে নীতিমালাগুলো তৈরি করতে হবে। সংস্কারের চেয়ে নীতিমালাগুলো তৈরি করা বেশি প্রয়োজন। সংস্কারটা পরে প্রয়োজন। প্রতিরক্ষা বা আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার যে নীতিমালা বা ন্যাশনাল স্ট্রাটেজি যেটা সেটা নেই। ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্ট্রাটেজি আর্টিকুলেটেড নেই। ছোট ছোট আংশিক আকারে থাকতে পারে কিন্তু যেটা সার্বিক যে জাতীয় নীতিমালা বা কৌশল সেটা তৈরি করা হয় নাই এবং এটা কোনো গোপন দলিল না। এটা প্রকাশ্য দলিল। কারণ এখানে শুধু সশস্ত্রবাহিনীর ভূমিকা থাকে না। এখানে দেশের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন, প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা থাকে। গুগল করলে যেকোনো দেশের ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্ট্র্যাটেজি দেখতে পাওয়া যায়। এটা তৈরি করা হয় নাই।
নয়া দিগন্ত : প্রতিবেশী দেশগুলোতে যে পরিবর্তিত অবস্থা, মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধ, আরাকান আর্মির বিদ্রোহ বা উত্থান, চিকেন নেকের চারপাশে ভারতের মিসাইল মোতায়েন, ফেনী নিয়ে ভারতের মিডিয়ায় অনেক কথাবার্তা শোনা যাচ্ছে, সেখানে আমরা জাতীয় নিরাপত্তা নীতিমালাই তৈরি করতে পারি নাই।
মুনীরুজ্জামান : এটা খুব জরুরি এ কারণে যে এসব কৌশলনীতিগুলো লাইভ ডকুমেন্ট, ধারাবাহিকভাবে এগুলো আপডেট করতে হয়। পরিস্থিতি পরিবর্তনের সাথে সাথে। এ ধরনের পরিবর্তন আমি আমাদের দেশে দেখতে পাই নাই। এ ধরনের নীতিমালা প্রণয়নে আমাদের কোনো দৃষ্টি নাই। আমাদের রাখাইনে যে ধরনের পরিবর্তন হয়ে গেছে সেই পরিস্থিতির সাথে আমাদের সম্পূর্ণ বিশ্লেষণ নাই। এবং আমরা যে ধরনের কথাবার্তা শুনেছি, ইদানীং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে যে করিডোর স্থাপনের জন্য যে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে বলা হয়েছে, এগুলো সম্পূর্ণভাবে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হবে যদি করা হয়ে থাকে।
নয়া দিগন্ত : করিডোরের সম্পর্কে বলা হচ্ছে এটা মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার জন্য। আরাকানে দুর্ভিক্ষ হলে তো রোহিঙ্গারা আরো আসবে বা আসছে।
মুনীরুজ্জামান : মানবতা মানে এটা হচ্ছে একটা সামনের কাভার। মানবতা মানে এটার নিয়ন্ত্রণ কার হাতে হবে? কে পরিচালনা করবে? করিডোর কিন্তু মুখের কথা না। করিডোর করতে গেলে এটার নিরাপত্তা দিতে হবে। এটাকে সিকিউরড করতে হবে। এরিয়াল কাভার দিতে হবে।
নয়া দিগন্ত : এ ধরনের সক্ষমতা কি আমাদের আছে?
মুনীরুজ্জামান : এ ধরনের সামর্থ্য আমাদের নেই। বা আমরা যদি করতে চাই তাহলে যদি মিয়ানমার এটাকে প্রতিহত করে যা তারা আইনসম্মতভাবে করতে পারে মিয়ানমার সরকার বা মিয়ানমার জান্তা তাহলে আমাদের বড় ধরনের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হবে।
নয়া দিগন্ত : মিয়ানমারতো তার সার্বভৌমত্ব রক্ষার চেষ্টা করবে।
মুনীরুজ্জামান : হ্যাঁ করবে। তারা সেটা আইনগতভাবে করতে পারে।
নয়া দিগন্ত : তাহলে করিডোর দিলে আমরা কি সাংঘর্ষিক অবস্থায় পড়তে পারি?
মুনীরুজ্জামান : সেটা হবে যে অন্য কারো স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে আমরা একটা সঙ্ঘাতের সাথে জড়িয়ে যাবো। আমার তো স্বার্থ নেই। আমি কেন যাবো।
নয়া দিগন্ত : কিন্তু দশকের পর দশক মিয়ানমার তো রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে মিথ্যা আশ্বাস দিচ্ছে, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিচ্ছে না, এখনো রোহিঙ্গা আসছে, তাদের খাদ্যসহায়তা বন্ধ হয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে, তাহলে আমরা এই চাপটা কিভাবে সহ্য করব?
মুনীরুজ্জামান : কিন্তু কথা হলো যে করিডোর দিলে তো রোহিঙ্গা ফেরত যাবে না। করিডোর দেয়ার পর আমাদের যদি নিশ্চিত কোনো প্রতিশ্রুতি থাকত যে রোহিঙ্গা ফেরত যাবে, একটা সিঙ্গেল রোহিঙ্গাও ফেরত যাবে না। এটা মানুষকে ভুল বুঝানো হচ্ছে। কোনো রোহিঙ্গা ফেরত যাবে না। আরাকান আর্মি কোনো রোহিঙ্গাকে ফেরত যেতে দিবে না। মিয়ানমার সরকারও যদি চায় আরাকান আর্মি রোহিঙ্গা ফেরত নিতে চাইবে না।
নয়া দিগন্ত : এর কারণ কি রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের জান্তার পক্ষে আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে লড়াই করেছে।
মুনীরুজ্জামান : হ্যাঁ। মিয়ানমারের পক্ষ হয়ে যুদ্ধ করেছে ওরা আরাকান আর্মির প্রতিপক্ষ। রোহিঙ্গাদের আরাকানে ফেরত যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। এবং এই করিডোরের নাম দিয়ে যে মানুষকে ভুল বুঝানো হচ্ছে যে এইটা করলে আমাদের দেশ থেকে রোহিঙ্গা ফেরত যাবে এটা সম্পূর্ণ একটা মিথ্যা আশ্বাস। এবং কোনো দেশই কোনো সময় কোনো সঙ্ঘাতের সাথে নিজেকে জড়িয়ে ফেলে না। এটা এমন এক সঙ্ঘাত, যে সঙ্ঘাতে বাংলাদেশের নিজের কোনো স্বার্থ নেই। যখন কোনো অঞ্চলে সঙ্ঘাত হয় এটাকে একটা কোয়ারেন্টাইনের মধ্যে রাখার চেষ্টা করা হয় যাতে এ সঙ্ঘাত অন্য কারো সাথে না জড়িয়ে যায় বা কোনো ‘স্পিলওভার’ না হয়। এ ক্ষেত্রে তো আমরা করিডোর দিলে আগ বাড়িয়ে গিয়ে সঙ্ঘাতের সাথে জড়িত হয়ে পড়ব যেটা আমাদের জাতীয় স্বার্থের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
নয়া দিগন্ত : তো আরাকান আর্মি কোত্থেকে অস্ত্র পাচ্ছে, শোনা যাচ্ছে চীন তাদের অস্ত্র দিচ্ছে, অস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। আমরা ক্রমশ জটিল সঙ্কটে পড়ছি রোহিঙ্গাদের নিয়ে। বছরের পর বছর সংলাপেতো কোনো ফল হচ্ছে না।
মুনীরুজ্জামান : একমাত্র সমাধান সংলাপ। রোহিঙ্গা সলিউশনটা ডায়ালগ ছাড়া কোনো উপায় নেই। এটার কোনো মিলিটারি সলিউশন নেই।
নয়া দিগন্ত : জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব তো আরাকান আর্মির সাথে কথা বলার পরামর্শ দিয়ে গেলেন বাংলাদেশ সফরে এসে।
মুনীরুজ্জামান : আরাকান আর্মির সাথে আমরা ফরমাল যোগাযোগ করতে পারি না আমাদের রাষ্ট্রীয় নীতিমালা অনুযায়ী। বিকজ ননস্টেটের সাথে বাংলাদেশ ফরমাল কোনো যোগাযোগ করে না বাট প্র্যাক্টিকালি যেটা আছে যে আরো নিচু পর্যায়ে তাদের সাথে যে যোগাযোগ আছে তা রাখতে হবে কারণ বর্ডারটা তারা এখন কন্ট্রোল করে। বাস্তবতার কারণে আরাকান আর্মির সাথে একটা যোগাযোগের প্রয়োজন আছে। কিন্তু এর ওপরে না।
নয়া দিগন্ত : প্রায়ই দেখা যায় আরাকান আর্মি আমাদের জেলে অপহরণ করে, নাফ নদী থেকে মালামাল বোঝাই ট্রলার ছিনতাই করে নিয়ে যায়।
মুনীরুজ্জামান : আমাদের সীমান্ত, আমাদের স্বার্থ আমাদেরইকে সেফগার্ড করতে হবে। আরাকান আর্মিকে প্রতিহত করতে গেলে যেখানে আমাদের জেলেরা মাছ ধরতে যাচ্ছে সেখানে আমাদের প্রটেকশন দিতে হবে। কোস্টগার্ডকে দিয়ে প্রটেকশন দিতে হবে। এখন যেটা আছে বেশির ভাগ এলাকাগুলো আনপ্রটেকটেড। তো এই সব জায়গায় এসে আরাকান আর্মিরা জেলে বা মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে।
নয়া দিগন্ত : তাহলে করিডোর দিয়ে আরাকান আর্মির সাথে বোঝাপড়ার কিছু নেই।
মুনীরুজ্জামান : না, করিডোর দিলে বড় ধরনের একটা এনার্কি হবে এবং আমরা তার সাথে জড়িয়ে যাবো। আমরা কনফ্লেক্স একটা কনফ্লিক্টের সাথে নিজের স্বার্থ না থাকা সত্ত্বেও আগ বাড়িয়ে গিয়ে জড়িয়ে যাবো। এবং একবার জড়িয়ে গেলে ওখান থেকে ফিরে আসা যাবে না। এ পরিস্থিতিতে অনেক দেশ কিন্তু এর আগে প্রায় ধ্বংসের পথে চলে গেছে। পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ যে অস্থিতিশীলতা এটা শুরু হয়েছিল যখন তালেবান সৃষ্টি করেছিল। পেশোয়ারে তালেবান সৃষ্টি করে যখন তালেবানকে প্রশিক্ষণ দেয়া হলো আফগানিস্তানে ওইটার যে ইমপ্যাক্ট এবং যে স্পিলওভার ওইটা থেকে আজ পর্যন্ত পাকিস্তান আর ফিরে আসতে পারে নাই। কারণ তারা ওই সঙ্ঘাতের সাথে সরাসরি জড়িয়ে পড়ে।
নয়া দিগন্ত : এখনতো তালেবানদের সাথে পাকিস্তানের সংঘর্ষ হচ্ছে, মানে একসময়ের মিত্র আরেক সময়ে শত্রু হয়ে যায়।
মুনীরুজ্জামান : সঙ্ঘাতের নিয়ম হচ্ছে যে এটা থেকে যতটুকু দূরে থাকা যায়। এটাতে হাত দেয়া মানে কোনো না কোনো সময় সে এসে হাতকে বাইট করবে।
নয়া দিগন্ত : চট্টগ্রামে বড় আকারের বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের বিদেশী বিনিয়োগের কথা শোনা যাচ্ছে, আবার অনেকে বলছেন শুধু বাণিজ্যিক স্বার্থ দেখলে হবে না বন্দরের একটা সামরিক কৌশলগত স্বার্থ আছে তো এ দু’টি বিষয়ের মধ্যে সমন্বয়ের কোনো প্রয়োজন আছে কি?
মুনীরুজ্জামান : চট্টগ্রাম বন্দরটা ডুয়েল ইউজ পোর্ট। এখানে বাণিজ্যিক স্বার্থ আছে, এখানে নিরাপত্তা স্বার্থ আছে। দুটোকেই সমানভাবে দেখতে হবে এবং জাতীয় নিরাপত্তা সবসময় অগ্রাধিকার পায়। কাজেই এসব সিদ্ধান্তগুলো হঠাৎ করে নেয়ার কথা না। এগুলো বড় ধরনের খুবই কৌশলগত সিদ্ধান্ত মানে স্ট্রাটেজিক ডিসিশনস অ্যাট দ্য ন্যাশনাল মুভ। এটা করতে গেলে এটার জন্য এক্সপার্ট লেভেলে আলাপ আলোচনা করতে হবে, বিশ্লেষণ করতে হবে। সর্বোপরি রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় এটা আলাপ আলোচনা হতে হবে। এটা হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই সরকারের এ ধরনের কোনো জিনিস করার কথা না। বিকজ তারা রাজনৈতিক সরকার না। তাদের শুধু রুটিন কাজ করে যাওয়ার কথা। বড় ধরনের কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিতে গেলে রাজনৈতিক দলের সাথে আলাপ আলোচনা করতে হবে। সে ধরনের সংলাপ আমরা এ বিনিয়োগের ব্যাপারে দেখছি না।
নয়া দিগন্ত : এ ধরনের বড় বিনিয়োগের ক্ষেত্রে তো বড় প্রস্তুতি হিসেবে বন্দরে কর্মকর্তাদের বিদেশে প্রশিক্ষণ দিয়ে এনে ধারাবাহিকভাবে সক্ষমতা বাড়ানো যেতে পারে?
মুনীরুজ্জামান : হ্যাঁ, এগুলো হঠাৎ করে সিদ্ধান্ত নেয়ার ব্যাপার না। এগুলোর অনেক দিক আছে। সব দিক থেকে যারা স্টেকহোল্ডার তাদের সাথে আলাপ আলোচনা করার বিষয় আছে। ভবিষ্যতে কিভাবে কি হবে, সেটাতো বলতে পারবে দেশের রাজনীতিবিদরা। এটাতো কোনো ইন্টেরিম সিস্টেম বলতে পারবে না।
নয়া দিগন্ত : বন্দর নিয়ে সামরিক কৌশলগত দিক তো সামরিক বিশেষজ্ঞরা ভালো বলতে পারবেন, তাদের পথ বাতলে দেয়ার সুযোগ থাকা দরকার।
মুনীরুজ্জামান : চট্টগ্রাম বন্দর ডুয়েল ব্যবহার হয়, নেভি ও বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার হয় বলে সব স্টেকহোল্ডার ও বিশেষজ্ঞ পরামর্শ এক্ষেত্রে বড় বিদেশী বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নেয়া জরুরি, যাতে জাতীয় নিরাপত্তা অগ্রাধিকার পায়।
নয়া দিগন্ত : বঙ্গোপসাগরের গুরুত্ব তো আন্তর্জাতিকভাবে বাড়ছে। চীন, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র সবার একটা নজর এখন বঙ্গোপসাগরকে ঘিরে।
মুনীরুজ্জামান : হ্যাঁ সে কারণেই চট্টগ্রাম বন্দর ভূকৌশলগত দিক থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করেই আমাদের পথ এগোতে হবে। কোনো দেশকে প্রাধান্য নয়, এখানে দেশ একটাই, সেটা হচ্ছে বাংলাদেশ। আমার জাতীয় স্বার্থে যেটা করার সেটা আমি করব। এটাতে কার কী হচ্ছে সেটা আমার দেখার কথা না। আমার ইন্টারেস্টটা কী সেটা আমি রক্ষা করব। সেটাই নিয়ম, সব দেশ সেটাই করে।