জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবেলায় শরীয়তপুরে স্থাপিত চারটি মিনি কোল্ড স্টোরেজ সবজি চাষিদের জন্য আশীর্বাদ হিসেবে দেখা দিয়েছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের আর্থিক সহায়তা এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উদ্যোগে গড়ে ওঠা এসব কোল্ড স্টোরেজ ইতোমধ্যেই ফসল সংরক্ষণ, বাজার নিয়ন্ত্রণ ও কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতকরণে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। গত ১৬ নভেম্বর শরীয়তপুরের স্থাপনাগুলোতে আনুষ্ঠানিকভাবে সবজি সংরক্ষণ শুরু হয়। গত মঙ্গলবার জেলা কৃষি অফিসে মিনি কোল্ড স্টোরেজ সম্পর্কিত অংশীজনদের নিয়ে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কৃষকদের ভাষ্য, মৌসুমে কম দামে সবজি বিক্রি করতে বাধ্য হওয়ার দিন শেষ হচ্ছে। ভেদরগঞ্জের কৃষক নিজাম গাজী জানান, ‘১০ দিনেও রাখা বেগুন-লাউ সতেজ রয়েছে। এখন ভালো দাম পেলেই বিক্রি করব।’ জাজিরার কৃষক জলিল মাদবর বলেন, ‘আগে দালাল সিন্ডিকেটের কারণে উৎপাদন ব্যয়ের চেয়েও কম দামে বিক্রি করতে হতো। এখন আর তা হবে না।’
শরীয়তপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মোস্তফা কামাল হোসেন বলেন, ‘মিনি কোল্ড স্টোরেজ কৃষকদের স্বাবলম্বী করবে। দালালচক্রের সিন্ডিকেট ভেঙে যাবে, বাজার ব্যবস্থাপনায় আসবে ইতিবাচক পরিবর্তন।’ চাষিদের আশা, এই প্রযুক্তি যদি দুর্গম চরাঞ্চলেও ছড়িয়ে যায়, তবে সবজি উৎপাদন ও কৃষকের আয়, দু’টিতেই দৃশ্যমান অগ্রগতি আসবে।



