প্রিন্স আশরাফ
একশ’ তেত্রিশ.
না হলি বড়মামার পেটে চলি যাতি পারি।’
জুয়েল আতঙ্কিত গলায় বলল, ‘কেন? বড়মামা কে? নামকরা বড় ডাকাত?’
জুয়েলের অজ্ঞতায় ফারুক হেসে ফেলল। পিছনে ফিরে বলল, ‘বড়মামা কিডা জানেন না? বাদাবনের বড় বা..’
ওপাশ থেকে হাকিম মাঝি ছেলের প্রতি খেকিয়ে উঠল, ‘ওই ফারুক, তোরে না কইছি মামার নাম মুখি নিবি না।’ তারপর জুয়েলের দিকে তাকিয়ে বলল, ‘ছোটসাব, বড়মামা হলো গিয়ে ওই আপনারা কি কন রয়েল বেঙ্গল...’ ‘বুঝেছি। কিন্তু বাঘের কথা কি বলছিলেন?’ ‘এদিকি তেনারা আছেন। ওই যে দেহেন তেনাদের পায়ের পারা।’
মাঝির আঙুল উঁচিয়ে দেখানোর পাশাপাশি নদীর চরায় বাঘের তাজা পায়ের ছাপ দেখতে পেল তারা। ওহ, ক্যামেরা থাকলে, ছবি তুলে নেয়া যেত। জুয়েল বলল, ‘ভাই, আপনার মোবাইলে ক্যামেরা আছে না? বাঘের পায়ের ছবি তোলেন?’ এতক্ষণে নাভিদের মোবাইলের কথা মনে পড়ল। এরকম ভুলো মন নিয়ে তার গোয়েন্দা হওয়াই উচিত নয়। (চলবে)



