সরাসরি এসএ গেমসেই খেলবেন ইমরানুর

১০০ মিটারে বাংলাদেশের কেউ নেই

রফিকুল হায়দার ফরহাদ
Printed Edition
সরাসরি এসএ গেমসেই খেলবেন ইমরানুর
সরাসরি এসএ গেমসেই খেলবেন ইমরানুর

অপারেশন শেষে সুস্থ হতে সময় নেয়া। তাই ইংল্যান্ড প্রবাসী ইমরানুর রহমান আগেই জানিয়েছিলেন তিনি টোকিওতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেবেন না। ফলে তার বিকল্প হিসেবে নাজিমুল ইসলাম রনিকে পাঠানো হয় জাপানে। এই ৪০০ মিটার হার্ডলার তেমন কিছুই করতে পারেননি বিশ্ব অ্যাথলেটিক্সে। নিজের হিটে ৯ জনের মধ্যে নবম হয়েছেন। বিশ্ব অ্যাথলেটিক্সে বাংলাদেশের দ্রুততম মানবকে না পাওয়া গেলেও সবার আশা ছিল নভেম্বরে সৌদি আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিতব্য ইসলামী সলিডারিটি গেমসে ট্র্যাকে নামবেন তিনি। আশা জাগাবেন পদক জয়ে। তবে ইমরানুর স্প্রিন্টার জানিয়েছেন তার পক্ষে ইসলামী সলিডারিটি গেমসে অংশ নেয়া সম্ভব নয়। খেলবেন সরাসরি জানুয়ারীর এসএ গেমসে। বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনকে এই কথাই জানিয়েছেন ইমরুনুর। তথ্য দেন বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম।

লক্ষণীয় বিষয় হলো, ইমরানুর নেই। তাই ৭-২১ নভেম্বরের ইসলামী সলিডারিটি গেমসে পুরুষদের ১০০ মিটার স্প্রিন্টে বাংলাদেশের কোনো অ্যাথলেটই দৌড়াচ্ছেন না। কারণ এবারের সামার মিটের রেজাল্ট। ইসলামী সলিডারিটি গেমস কর্তৃপক্ষ আগেই জানিয়েছিল বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন যেন একাধিক অ্যাথলেটের নাম রেজিস্ট্রি করিয়ে রাখে। কারন রেজিস্ট্রেশনের সময় শেষ হওয়ার পর অনুষ্ঠিত হয় এবারের সামার মিট। এই সামার মিট থেকেই যে অ্যাথলেটদের বাছাই করা হতো ইসলামী সলিডারিটি গেমস ও এস এ গেমসের জন্য। তাই সামার মিটের আগেই ফেডারেশন ১০/১২ জন অ্যাথলেটের নাম রেজিস্ট্রি করায়। সেই তালিকায় ছিলেন ইমরানুরও। তবে সামার মিটের সময় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর হয়ে ২০০ মিটার স্প্রিন্টের সময় ইনজুরিতে পড়েন ইমরানুর। এরপর স্ট্রেচারে করে ট্র্যাক ছাড়তে হয় তাকে। পরবর্তীতে ইংল্যান্ড ফিরে গিয়ে ইমরানুর ফেডারেশনকে জানান, ‘আমি এখন সুস্থ। ট্রেনিংও শুরু করেছি। তবে আমার পক্ষে ইসলামী সলিডারিটি গেমসে অংশ নেয়া সম্ভব নয়। খেলব সরাসরি এস এ গেমসে। কোচ সে পরামর্শই দিয়েছেন।’

এশিয়ান ইনডোরে স্বর্ণ জয়ী এই স্প্রিন্টারের কাছ থেকে না সূচক বার্তা পাওয়ার পর বেকাদায় পড়ে অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন। তাই তারা সামার মিটে ১০০ মিটারে দ্বিতীয় হওয়া মোতালেবের নাম পাঠায় ইসলামী সলিডারিটি গেমসের জন্য। কিন্তু সলিডারিটি গেমস কর্তৃপক্ষ মোতালেবকে খেলার অনুমতি দেয়নি। কারণ তার নাম আগে রেজিস্ট্রি কার হয়নি। শাহ আলমের মতে, ‘আমরা ইমরানুরের সাথে মোহাম্মদ ইসমাইলেরও নাম রেজিস্ট্রি করিয়েছিলাম। কিন্তু মোতালেব আমাদের তালিকায় ছিল না। কারণ আগে মোতালেব ভালোও করেনি। তাই তার নাম রেজিস্ট্রি কার হয়নি। কিন্তু এবার ১০০ মিটারে রৌপ্য জিতে সবাইকে চমকে দেয় মোতালেব। তাই পরে তার নাম পাঠালেও গেমস কর্তৃপক্ষ তা গ্রহণ করেনি।’ তাহলে ১০০ মিটারে তৃতীয় হওয়া ইসমাইলের নাম কেন পাঠানো হলো না। শাহ আলমের জবাব, ‘তৃতীয় হওয়া স্প্রিন্টারের নাম কিভাবে পাঠাই। এ নিয়ে তো কথা উঠতো। তা ছাড়া আমাদের বিওএ থেকে বলা হয়েছে মোট চারজন অ্যাথলেটের নাম পাঠাতে। তাই ইসমাইলের নাম না পাঠিয়ে পুরুষদের ১১০ মিটার হার্ডলস ও ৪০০ মিটার হার্ডলসকে দুইজনকে পাঠাচ্ছি। আর নারীদের ১০০ মিটারে সুমাইয়া দেওয়ানের সাথে হাইজাম্পে রিতু আক্তারকে পাঠানো হচ্ছে।’

নভেম্বরের সলিডারিটি গেমসের আগে বাংলাদেশের অ্যাথলেটরা আরেকটি আন্তর্জাতিক মিটে নিজেদের পরখ করার সুযোগ পাচ্ছেন। আর তা হলো আগামী মাসে ভারতের ঝাড়খণ্ডে অনুষ্ঠিতব্য সাফ অ্যাথলেটিক্স। এতে বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন ১৮ জন ক্রীড়াবিদ পাঠাবে। এই গেমসে পুরুষ ও নারীদের চারটি রিলে দলকেই পাঠানো হচ্ছে। সাথে পুরুষদের ম্যারাথনে প্রথম হওয়া অ্যাথলেটও দেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন সাফ অ্যাথলেটিক্সে।