ওলটপালট করে দে মা লুটেপুটে খাই- ৪

অবৈধ সম্পদের পাহাড় নিক্সন চৌধুরীর

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীর ভাতিজা হওয়ার সুবাদে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার একেবারে কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন তিনি। যার ফলে কেউই তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পেত না। যখনই যেটা চেয়েছেন তখনই সেটা পেয়েছেন। নারী, গাড়ী, বাড়ি, বিত্ত-বৈভব সবই ছিল হাতের মুঠোয়। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের পাশাপাশি জমি দখল, টেন্ডার বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, তদবির বাণিজ্য, নিয়োগ পদোন্নতিসহ দুর্নীতির মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা অবৈধভাবে উপার্জন করেছেন।

মনিরুল ইসলাম রোহান
Printed Edition
  • ১০ বছরে শুধু কাগজে কলমেই সম্পদ বেড়েছে ৫৪ গুণ
  • হাজার বিঘার প্লট ‘আইমান আইল্যান্ড’
  • ৫৫টি ব্যাংক একাউন্টে ১ হাজার ৪০২ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন

ফরিদপুরের একসময়ের ক্ষমতাধর এমপি ছিলেন মজিবুর রহমান চৌধুরী। যিনি নিক্সন চৌধুরী নামে বেশি পরিচিত। তিনি যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরীর ছোট ছেলে। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীর ভাতিজা হওয়ার সুবাদে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার একেবারে কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন তিনি। যার ফলে কেউই তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পেত না। যখনই যেটা চেয়েছেন তখনই সেটা পেয়েছেন। নারী, গাড়ী, বাড়ি, বিত্ত-বৈভব সবই ছিল হাতের মুঠোয়। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের পাশাপাশি জমি দখল, টেন্ডার বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, তদবির বাণিজ্য, নিয়োগ পদোন্নতিসহ দুর্নীতির মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা অবৈধভাবে উপার্জন করেছেন। ওই অর্থ দিয়ে নামে-বেনামে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন তিনি। শুধু তার নিজের ও পরিবারের নামে হাজার বিঘার বেশি জমির মালিকানা রয়েছে। ঢাকার পূর্বাচল, আদাবর, গুলশান ও বনানীতে রয়েছে প্লট ও ফ্ল্যাট। মানিলন্ডারিং করে সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডায় বাড়ি কিনেছেন। খোদ ফরিদপুরে নিজের বাড়িতে পুরোদস্তুর একটা চিড়িয়াখানাও বানিয়েছেন। স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ, স্থানীয় সাধারণ জনগণ এবং সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের বিভিন্ন সংস্থা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

১০ বছরে সম্পদ বেড়েছে ৫৪ গুণ : নিক্সন চৌধুরী ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির বিনাভোটের নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হন। তখন তিনি হলফনামায় কৃষি খাতে আয় দেখান দুই কোটি পাঁচ লাখ টাকা। শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানত ছিল দুই কোটি এক লাখ ৬৯ হাজার ৪৯৩ টাকা। নগদ টাকা ছিল ২৮ লাখ ১০ হাজার ২২০ টাকা। তবে তার স্ত্রীর নামে কোনো নগদ অর্থ ছিল না। ওই বছর নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হলফনামায় তার মালিকানাধীন কৃষিজমি ছিল মাত্র ৩৮ শতাংশ। স্ত্রীর নামে ঢাকায় একটি ফ্ল্যাট এবং ৭.৫ কাঠার প্লট দেখানো হয়। তবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় নগদ টাকা ৩৮ লাখ ৩০ হাজার ৬০০ টাকা, স্ত্রীর নামে এক কোটি ৫২ লাখ ৮৫ হাজার ৬০০ টাকা ও ব্যাংকে জমা ৭ লাখ ৪৫ হাজার ২৫৯ টাকা দেখান। স্বর্ণালংকার রয়েছে নিজের নামে ৩০ তোলা এবং স্ত্রীর রয়েছে ৫০ তোলা। কৃষিজমির পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে দুই হাজার ৪২ শতাংশ। এ ছাড়া সাভারে রয়েছে ৩.২৮ শতাংশ জমি। এর বাইরে স্থাবর সম্পদ হিসেবে শিবচর হাউজিংয়ে ৫ কাঠার প্লট, পূর্বাচলে ৭.৫ কাঠার প্লট, আদাবরে ০.০১২১৫ একর এবং দত্তপাড়া শিবচরে অকৃষি ৩৮ শতাংশ জমি রয়েছে। নিজ ও স্ত্রীর নামে ঢাকার বনানীতে ফ্ল্যাট রয়েছে তিন হাজার ৭১৬.১১ বর্গফুটের, ঢাকার বনানী প্রোপার্টি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডে একটি ফ্ল্যাট, গুলশানে চার হাজার ৮৯১ বর্গফুটের ফ্ল্যাট ও গুলশানের ৭৯ রোডের ১৬ নং হাউজে আরো একটি ফ্ল্যাট রয়েছে নিক্সন চৌধুরীর। তার গ্রামের বাড়ি ভাঙ্গার ব্রাহ্মণপাড়ায় দোতলা বাড়ি ও একতলা অফিস ছিল। সেই হিসেবে ২০১৪-২০২৪ এই ১০ বছরে তার মালিকানাধীন জমির পরিমাণ বেড়েছে ৫৪ গুণ। তার ঢাকা মেট্রো ঘ-২১-২৬০০ জিপ গাড়ির দাম দেখিয়েছেন ৯১ লাখ ১৫ হাজার টাকা। পেশার বিবরণীতে বলা হয়েছে, স্বাধীন বাংলা সার্ভিসিং অ্যান্ড ফিলিং স্টেশনের অংশীদার, নীপা পরিবহনের পরিচালক, রীতা কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের পরিচালক এবং এন ডেইরি ফার্মের মালিকানা রয়েছে তার। এদিকে নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অনুসন্ধানে এরই মধ্যে মাঠে নেমেছে দুদক। অনুসন্ধানে এখন পর্যন্ত রাজধানীতে বাড়ি ও ফ্ল্যাটের সত্যতা বেরিয়ে এসেছে। আড়িয়ালখাঁ নদ ও পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মাধ্যমে বিক্রি করে হাতিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। পদ্মা সেতু দুর্নীতির সাথে তার সম্পৃক্ততার বিষয়টিও এলাকায় আলোচনা রয়েছে।

নিক্সনের রাজনীতির উত্থান : ফরিদপুর-৪ আসনের (ভাঙ্গা-সদরপুর-চরভদ্রাসন) তিনবারের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত এমপি ছিলেন নিক্সন চৌধুরী। তার বাড়ি মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায়। শেখ পরিবারের এই সদস্য আগে কখনো রাজনীতিতে সক্রিয় না থাকলেও ২০১৪ সালের নির্বাচনের কিছুদিন আগে শিবচর থেকে হঠাৎ করে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় গিয়ে রাজনীতি শুরু করেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগ বলছে, নিক্সন চৌধুরী প্রথমে ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণপাড়া মৌজার চরাঞ্চলে ৩৮ শতাংশ জমি কিনে বাড়ি করেন। এমপি হওয়ার পর থেকেই তিনি বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলার আওয়ামী রাজনীতিতে একক আধিপত্য বিস্তার শুরু করেন। শেখ পরিবারের ক্ষমতার প্রভাবেই একের পর এক জমি দখল, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ দুর্নীতির মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা অর্জন করেন। তাদের মতে, দুর্নীতির ফিরিস্তি সম্পর্কে লোকজন যেটা ভাবে তার থেকেও কয়েকগুণ ওপরে অবস্থান করছেন তিনি।

হাজার বিঘার প্লট ‘আয়মান আইল্যান্ড’ : নিক্সন চৌধুরী যখন ২০১৪ সালে ভাঙ্গার রাজনীতিতে আবির্ভূত হন, তার আগেই শিবচরের দত্তপাড়া থেকে ভাঙ্গার রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আশা নিয়ে ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগরের ব্রাহ্মণপাড়া গ্রামে আবাস গড়ে তোলেন তার ভাই লিখন চৌধুরী। এর পরই নিক্সন চৌধুরী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে ব্রাহ্মণপাড়ায় ভাইয়ের বাড়িতে ওঠেন। এমপি হয়েই নিক্সন তার ভাইয়ের সাথে মেতে ওঠেন জমি দখলে। ব্রাহ্মণপাড়ায় নামেমাত্র টাকায় জমি ক্রয় করে নিক্সন চৌধুরী গড়ে তোলেন সুবিশাল বাগানবাড়ি। তার নাম দেন ‘আইমান আইল্যান্ড’। স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য মতে, নিক্সন চৌধুরীর জমির পাশের অন্য কোনো জমি পছন্দ হলেই সেই জমি তাকে দিতে বাধ্য করতেন জমির মালিকদের। নিজের বাড়িতেই নিক্সন চৌধুরী সাবরেজিস্ট্রারকে ডেকে নিয়ে ওইসব জমি লিখে নিতেন। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক এমপি কাজী জাফরউল্যাহ দীর্ঘদিন অভিযোগ করে আসছেন, স্বতন্ত্র এমপি ও যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নিক্সন চৌধুরী ভাঙ্গায় ১১শ’ বিঘা জমি দখল করেছেন।

হেলমেট বাহিনী দিয়ে নির্যাতন : ২০১৪ সালে এমপি হওয়ার প্রথম দিকে উপজেলা প্রশাসন থেকে পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েও খুব একটা শোনাতে পারতেন না নিক্সন চৌধুরী। এক পর্যায়ে টাকা, শেখ পরিবারের ক্ষমতা দেখিয়ে এবং নানা কৌশল অবলম্বন করে তিন উপজেলার (ভাঙ্গা-সদরপুর-চরভদ্রাসন) বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতাদের নিজের শিবিরে ভেড়াতে সক্ষম হন তিনি। এদের মাধ্যমে গড়ে তোলেন হেলমেট বাহিনী। ওই বাহিনী দিয়েই জমি দখল, চাঁদাবাজি, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও টেন্ডারবাণিজ্যসহ বিভিন্ন অপকর্ম ও ব্যবসা বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করতেন নিক্সন চৌধুরী। একসময় নিজ এলাকা ছাড়াও অন্য এমপির এলাকায়ও খবরদারি করতেন তিনি। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কেউ স্থানীয় রাজনীতি বা কোনো কারণে নিক্সনের অবাধ্য হলে তাকে বাংলোতে ধরে নিয়ে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে টয়লেটে আটকে রাখা হতো। ওই বাংলোয় এমন সাজা তিনি অসংখ্য মানুষকে দিয়েছেন। তার আমলে ভিন্নমতের অনেক লোকজনকে হামলা ও মামলা দিয়ে এলাকাছাড়া করেন। রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ইকামাতে দ্বীন মডেল কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষসহ ২৮ জন শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে বন্ধ করে দেন নিক্সন। এত দিন তারা মুখ না খুললেও গত বছরের ৫ আগস্টের পরে ফের বেতন-ভাতা চালুর জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর আবেদন করেছেন বলে জানা গেছে।

ফরিদপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব কিবরিয়া স্বপনের মতে, নিক্সন চৌধুরী ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারের অন্যতম প্রধান সহযোগী। তার অত্যাচার ও নির্যাতনে ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসনের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল।

দুদকের দুই মামলা : দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা; দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) (৩) ধারায় নিক্সন চৌধুরীর নামে দুটি মামলা করেছে দুদক। ওই মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, নিক্সন চৌধুরী এমপি থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ১১ কোটি ২৩ লাখ ৬২ হাজার ৪৩৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেন। এ ছাড়া নিজের এবং স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে ৫৫টি ব্যাংক হিসাব ব্যবহার করে মোট এক হাজার ৪০২ কোটি ৫১ লাখ ৮৮ হাজার ৫৯১ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন করেছেন। যার মাধ্যমে মূলত অপরাধলব্ধ অবৈধ অর্থ হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তরের চেষ্টা করেছেন তিনি। আর দ্বিতীয় মামলায় আসামি হিসেবে নিক্সন চৌধুরীর স্ত্রী তারিন হোসেনও রয়েছেন। ওই মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, তারিন হোসেন তার স্বামীর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ৮ কোটি ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭০৮ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। একই সাথে তিনি নিজের ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে ১৭টি ব্যাংক হিসাব ব্যবহার করে মোট এক হাজার ৭৬০ কোটি ৩৪ লাখ ৫১ হাজার ৩২০ টাকা অস্বাভাবিক লেনদেন করেছেন।

নিক্সন চৌধুরীর স্ত্রীর নামে অবৈধ সম্পদ : দুদক সূত্র বলছে, ২০১৩ সালের ২৯ জানুয়ারির অ্যালটমেন্ট এগ্রিমেন্ট অনুযায়ী প্রথম স্ত্রী মুনতারীন মুজিব চৌধুরীর নামে ফ্লাটটি তিনি মারা যাওয়ার পর দ্বিতীয় স্ত্রী তারিন হোসেনের নামে রেজিস্ট্রেশন করা হয়, যা নিক্সন চৌধুরীর ‘অবৈধ অর্থ’ দিয়ে ক্রয় করা। সূত্র আরো বলছে, নিক্সন চৌধুরীর স্ত্রী তারিন হোসেনের নামে মোট ১০ কোটি ৩২ লাখ ৮৬ হাজার ৪৩৮ টাকা দামের স্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। তদন্তকালে জানা যায়, এর মধ্যে গুলশান আবাসিক এলাকায় ১০ কাঠা ৩ ছটাক জমির ওপর নির্মিত দি সেরেনিটি নামে দুটি বেজমেন্টসহ ১৩ তলা আবাসিক ভবনের ৭ম তলার (একটি গ্যারেজ ও কমনস্পেসসহ) মোট ৫ হাজার ১৭২ বর্গফুট আয়তনের ফ্ল্যাট এবং অচিহ্নিত ১৭০ অযুতাংশ ভূমি রয়েছে।

নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে ৩টি হত্যা মামলা : বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে এলাকার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বাড়িতে গিয়ে তাদের হত্যা ও গুম করে ফেলার হুমকি দেয়াসহ হামলার অভিযোগে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে নিক্সন চৌধুরীর নামে তিনটি মামলা হয়েছে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে। নিক্সন চৌধুরী সর্বশেষ ২০২৪ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত নিজ নির্বাচনী এলাকা ভাঙ্গায় ছিলেন। পরদিন ১ আগস্ট তিনি ঢাকায় ফিরে যান। এরপর থেকে তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। নিক্সন চৌধুরী আত্মগোপনে থাকায় তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।