কিলোমিটারে ব্যয় ১৩০ কোটি টাকা : দিল্লি-মুম্বাইয়ের দ্বিগুণ

পঞ্চবটি-মুক্তারপুর দোতলা সড়ক নির্মাণ

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমাদের দেশে সক্ষমতার অভাব রয়েছে। বাস্তবায়নে সময় বেশি লাগছে। সক্ষমতা বাড়াতে হবে।

হামিদ সরকার
Printed Edition
নির্মাণাধীন পঞ্চবটি-মুক্তারপুর দোতলা সড়ক
নির্মাণাধীন পঞ্চবটি-মুক্তারপুর দোতলা সড়ক |সংগৃহীত

পঞ্চবটি-মুক্তারপুর দোতলা সড়ক নির্মাণ

  • ভারতের দিল্লি-মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়েতে জমি অধিগ্রহণসহ খরচ ৭৪ কোটি টাকা
  • খরচ বেড়েছে এক হাজার ৭৬ কোটি টাকা
  • বাস্তবায়নে সক্ষমতার অভাব ও দুর্নীতিই খরচ বাড়ায় : অর্থনীতিবিদ

বাংলাদেশে সড়ক ও দোতলা সড়ক দুটোতেই নির্মাণব্যয় এই অঞ্চলের দেশগুলোর তুলনায়, বিশেষ করে দিল্লি-মুম্বাই প্রকল্পের চেয়ে দ্বিগুণ। অন্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশের মান নিয়েও প্রশ্ন। প্রতি কিলোমিটার ১৩০ কোটি ২২ লাখ টাকা খরচ হচ্ছে নারায়ণগঞ্জের পঞ্চবটি থেকে মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর সেতু পর্যন্ত দু’লেনের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বা দোতলাসড়ক নির্মাণে। যেখানে ভারতে রাজ্যভেদে লাগে চার লেনে ৩০ কোটি টাকার বেশি। আর দিল্লি-মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণসহ ব্যয় কিলোমিটারে ৭৪ কোটি টাকা। পরামর্শক খাতে প্রতি মাসে জনপ্রতি খরচ হচ্ছে প্রকল্পে প্রায় পৌনে পাঁচ লাখ টাকা। চার বছর চার মাসে প্রকল্পের অগ্রগতি ৬৪.১৫ শতাংশ।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমাদের দেশে সক্ষমতার অভাব রয়েছে। বাস্তবায়নে সময় বেশি লাগছে। সক্ষমতা বাড়াতে হবে। এ ছাড়া দীর্ঘসূত্রতা, ভূমি অধিগ্রহণে জটিলতা ও দুর্নীতির কারণেই বাংলাদেশে নির্মাণ প্রকল্পে খরচ অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি।

প্রেক্ষাপট ও অনুমোদিত ব্যয় : সেতু বিভাগের প্রকল্পের অনুমোদিত দলিল থেকে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জের পঞ্চবটি থেকে মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর সেতু পর্যন্ত বিদ্যমান সড়ক দুই লেনে প্রশস্তকরণ এবং দুই লেন বিশিষ্ট এলিভেটেড একপ্রেসওয়ে বা দোতলা রাস্তা নির্মাণের মাধ্যমে মুন্সীগঞ্জ জেলার সাথে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা সহজতর ও ব্যয়সাশ্রয়ী করা। পঞ্চবটি থেকে মুক্তারপুর সড়কের প্রশস্ততা গড়ে ছয় মিটার। দৈনিক যানবাহন চলাচল করছে গড়ে ১৭ হাজার ৯১০টি। ট্রাফিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, এই যানবাহনের সংখ্যা হবে আগামী ২০২৮ সালে ৩০ হাজার ৫৬০টি, ২০৩৩ সালে ৩৯ হাজারটি এবং ২০৪৩ সালে ৬৩ হাজার ৫৮০টি। উড়ালসড়কটি হলে যানবাহনের গতিসীমা পৌনে পাঁচগুণ বাড়বে। যানবাহনের বিলম্ব সময় ৭৪.৭৪ শতাংশ কমে আসবে। সেতু কর্তৃপক্ষ নিজস্ব অর্থায়নে স্বতন্ত্র পরামর্শক প্রতিষ্ঠান দিয়ে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়।

মূল প্রকল্পটি জানুয়ারি ২০২১ থেকে জুন ২০২৫ মেয়াদে দুই হাজার ২৪২ কোটি ৭৭ লাখ ৪৫ হাজার টাকা প্রাক্কলিত মূল্যে বাস্তবায়নের জন্য ২০২০ সালের ৮ ডিসেম্বর একনেক সভায় অনুমোদিত হয়। পরে ১১ মার্চ ২০২৩ খরচ বাড়িয়ে জানুয়ারি ২০২১ থেকে জুন ২০২৫ মেয়াদে দুই হাজার ৬৫৯ কোটি ৭৯ লাখ ৮৫ হাজার টাকা প্রাক্কলিত মূল্যে বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্পটির বিশেষ সংশোধন অনুমোদিত হয়। পরবর্তীতে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গত ২৩ মার্চ আবারো খরচ ৬৫৯ কোটি টাকা ও মেয়াদ এক বছর বাড়িয়ে জানুয়ারি ২০২১ হতে জুন ২০২৬ মেয়াদে তিন হাজার ৩১৮ কোটি ৭৯ লাখ ৮৬ হাজার টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে বাস্তবায়নের জন্য প্রথম সংশোধন অনুমোদন করে।

প্রকল্পের আওতায় কাজগুলো হলো, ভূমি অধিগ্রহণ ও পুনর্বাসন সাড়ে ৪৪ একর, সাত লাখ এক হাজার ১৪০.২০ ঘন মিটার মাটির কাজ, পৌনে ১১ কিলোমিটার পেভমেন্ট ও আনুষঙ্গিক কাজ, ১৪.৭৯ কিলোমিটার মধ্যবর্তী প্রতিবন্ধক নির্মাণ, ৯.০৬ কিলোমিটার র‌্যাম্পসহ উড়ালসড়ক (এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে), ২৫ মিটার সেতু নির্মাণ, ২৫.৩১ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ, ২০ হাজার ১৯৩.৭৫ বর্গমিটার রোড মার্কিং এবং ২৪৮ ঘন মিটার বক্স কালভার্ট নির্মাণ। এখানে ছয়টি র‌্যাম্প, চারটি টোল প্লাজা, যানবাহনের ওজনের জন্য ছয়টি ওজন স্টেশন নির্মাণ করা হবে।

প্রকল্পের তুলনামূলক খরচ : এ দিকে, প্রকল্পের প্রস্তাবিত ব্যয় পর্যালোচনায় দেখা যায়, প্রকল্পে র‌্যাম্পসহ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বা উড়ালসড়ক হবে ৯ দশমিক ছয় কিলোমিটার। যার জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ১৭৯ কোটি ৭৯ লাখ ১৭ হাজার টাকা। এখানে প্রতি কিলোমিটারে খরচ হবে বাস্তবায়নকারী সংস্থার দর অনুযায়ী, ১৩০ কোটি ২২ লাখ টাকা। আর বিভিন্ন ওয়েব থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, পার্শ্ববর্তী ভারতের চলমান প্রকল্প, দিল্লি -মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়ে হলো এক হাজার ৩৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ। আট লেনের প্রশস্ত (১২ লেনে সম্প্রসারণযোগ্য) অ্যাক্সেস-নিয়ন্ত্রিত এক্সপ্রেসওয়ে। যা ভারতের জাতীয় রাজধানী নতুন দিল্লিকে তার আর্থিক রাজধানী মুম্বাইয়ের সাথে সংযুক্ত করে নির্মাণাধীন (আংশিকভাবে কার্যকর) ব্যয় হবে এক লাখ কোটি টাকা। ২০১৯ সালের ৮ মার্চ সুষমা স্বরাজ এবং অরুণ জেটলির উপস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রী নীতিন গড়করি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এটি উদ্বোধন করেন। জমি অধিগ্রহণ ব্যয়সহ মোট প্রকল্পের ব্যয় এক লাখ কোটি টাকা।

এ ছাড়া কলকাতায় গত বছর চালু করা হয় মহানগরীর দীর্ঘতম পরমা ফ্লাইওভার। ৮ দশমিক ১৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এই ফ্লাইওভার নির্মাণে খরচ হয়েছে ৩৯২ কোটি টাকা। প্রতি কিলোমিটারে নির্মাণখরচ ৪৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা। সম্প্রতি সময়ে চীনের শত কিলোমিটারের দীর্ঘ পাঁচটি ফ্লাইওভার নির্মাণে কিলোমিটারপ্রতি খরচ হয়েছে ৫০ কোটি টাকা। আর মালয়েশিয়ায় ১০ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পাঁচটি ফ্লাইওভার নির্মাণে প্রতি কিলোমিটার ব্যয় হয়েছে বাংলাদেশী মুদ্রায় ৫৭ কোটি ৭১ লাখ টাকা।

মুক্তারপুরের এই প্রকল্পে ৪৪ দশমিক ৫০ একর ভূমি অধিগ্রহণ ও পুনর্বাসনে খরচ ধরা হয়েছে এক হাজার ৪৬৩ কোটি ১২ লাখ ৮১ হাজার টাকা। ফলে একরপ্রতি ভূমির দর হচ্ছে ৩২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। সড়কের জন্য ১০ দশমিক ৮১৩ কিলোমিটার পেভমেন্ট ও আনুষঙ্গিক কাজ করতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২১৮ কোটি ৮০ লাখ ৪৯ হাজার টাকা। এখানে প্রতি কিলোমিটারে খরচ হবে ২০ কোটি ২৩ লাখ টাকা। আর ২৫.৩১ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ করতেই ব্যয় হবে ৩২ কোটি ৮৫ লাখ ২১ হাজার টাকা। প্রতি কিলোমিটার ড্রেনে ব্যয় হবে এক কোটি ৩২ লাখ টাকা। মাত্র ১৫১ মিটার সেতু প্রশস্তকরণে খরচ ২২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। অস্থায়ী সড়ক নির্মাণে ৯.৩৫ কিলোমিটারে খরচ ১২ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। এখানে কিলোমিটারে ব্যয় এক কোটি ৩৮ লাখ ৯৩ হাজার টাকা।

এপ্রিল ’২৫ কাজের অগ্রগতি : আইএমইডির পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান পিডিপিএস ইঞ্জিনিয়ারিং কনসালট্যান্স লিমিটেড প্রকল্প সম্পর্কে বলছে, প্রকল্পের মূল ডিপিপিতে পাঁচ অর্থবছরের মধ্যে বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তবে প্রকল্প অফিসের অর্থবছরভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে যে, ডিপিপির কর্মপরিকল্পনার সাথে এটি পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় এবং কিছু বিচ্যুতি পরিলক্ষিত হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী প্রকল্পের সব কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়নের কথা থাকলেও বাস্তবে প্রকল্পের অগ্রগতি ৬৪.১৫ শতাংশ। বর্তমানে প্রকল্পের ভৌত অগ্রগতি ৬৪.১৫ শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতি ৭৮.৭৭ শতাংশ। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ভূমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত ব্যয় প্রদানের ফলে প্রকল্পের আর্থিক অগ্রগতি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। তবে এখনো সব ভূমি অধিগ্রহণ ও হস্তান্তর সম্পন্ন না হওয়ায় প্রকল্পের মোট এক হাজার ১৮০টি পাইলের মধ্যে ৯৭৩টি পাইলের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে, যা ৮২.৪৬ শতাংশ অগ্রগতি প্রদর্শন করে। এ ছাড়া ২৮৯টি পাইল ক্যাপের মধ্যে ২০৯টি, ২৮২টি পিয়ারের মধ্যে ২০২টি এবং ২৬৫টি পিয়ার ক্যাপের মধ্যে ১৫১টির নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে।

প্রকল্পের আওতায় মোট এক হাজার ৪৮৮টি গার্ডারের মধ্যে ৭২৬টি নির্মাণ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে ৫৫৬টি গার্ডার স্থাপন করা হয়েছে। চারতলাবিশিষ্ট কাশিপুর টোল মনিটরিং ভবনের মূল কাঠামোর কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে ব্রিকওয়ার্কসহ অন্যান্য ফিনিশিং কাজ চলমান রয়েছে। কাশিপুর সেতুর ঝষধন নির্মাণ ছাড়া অন্যান্য কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ঝষধন নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। গোগনগর সেতুর ঝষধন নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে ঊীঢ়ধহংরড়হ ঔড়রহঃ স্থাপন, অনঁঃসবহঃ চৎড়ঃবপঃরড়হ ও অন্যান্য কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পঞ্চবটি হতে মুক্তারপুর সেতু পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ ও দোতলা রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় মোট ৪৪.৪৯৫ একর ভূমি অধিগ্রহণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। ভূমি অধিগ্রহণ ও ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য ১২ শ’ ৫৩ কোটি ৪১ লাখ ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এপ্রিল ২০২৫ পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলায় ৩১.৬১২৫ একর এবং মুন্সীগঞ্জ জেলায় ২.২৭ একর মিলে সর্বমোট ৩৩.৮৮২৫ একর ভূমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। যার আর্থিক অগ্রগতি ৮৭.৭৬ শতাংশ। প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ এবং ‘সমাহার’ ররর নামক এনজিওর মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

আইএমইডির পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান পিডিপিএস ইঞ্জিনিয়ারিং কনসালট্যান্স লিমিটেড বলছে, এপ্রিল ২০২৫ পর্যন্ত প্রকল্পের বাস্তব কাজ হয়েছে ৬৪.১৫ শতাংশ। ফলে বাকি কাজ আগামী বর্ষায় জনদুর্ভোগ কমাতে অতিদ্রুত ডাইভারশন সড়কের মেরামত বা কার্পেটিংয়ের কাজ সম্পন্ন করা প্রয়োজন। অন্যথায় বর্ষার সময় খানাখন্দে ভারী যানবাহনের কারণে বড় কোনো দুর্ঘটনার ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চুক্তি মোতাবেক গার্ডার নির্মাণের ড্রয়িং সঠিক সময়ে প্রণয়ন করতে না পারায় কয়েকটি পিসি-১ গার্ডারের নির্মাণকাজে বিলম্ব দেখা দেয়। এ ছাড়াও, কন্ট্রাক্টরের ডেডিকেটেড ডিজাইন টিম প্রকল্প স্থানে নিয়মিতভাবে উপস্থিত না থাকায় বেশ কিছ পিসি-১ গার্ডারের অ্যালাইনমেন্টে ত্রুটি দেখা দেয়। এমতাবস্থায় বুয়েটের বিশেষজ্ঞ টিম তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে কিভাবে ত্রুটির মাত্রা কমানো যায় সে বিষয়ে দিকনির্দেশনা প্রদান করেছেন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যদি চুক্তি মোতাবেক তাদের অভিজ্ঞ জনবল যথাসময়ে নিয়োগ প্রদান করতো তাহলে এসব অনাকাক্সিক্ষত ত্রুটি এড়ানো সম্ভব হতো। তাই অতিদ্রুত চুক্তি মোতাবেক ঠিকাদার কর্তৃক অভিজ্ঞ জনবল নিয়োগের উদ্যোগ নিতে হবে।

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, প্রকল্পের দীর্ঘসূত্রতা, ভূমি অধিগ্রহণের জটিলতা ও দুর্নীতির কারণেই বাংলাদেশে প্রকল্প খরচ অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি।