মেজর সিনহা হত্যা মামলায় সব আসামির দণ্ড বহাল হাইকোর্টে

বাসস
Printed Edition

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অপর ছয় আসামির দণ্ডও বহাল রাখা হয়েছে।

এই মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শেষে বিচারপতি মো: মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো: সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ গত সোমবার এ রায় ঘোষণা করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। এ ছাড়া আরো ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জসিম সরকার, মো. আসাদ উদ্দিন, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. গিয়াসউদ্দিন গাজী, লাবনি আক্তার, তানভীর প্রধান, সুমাইয়া বিনতে আজিজ ও আসাদুল্লাহ আল গালিব।

অন্য দিকে আসামি পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী, এস এম শাহজাহান ও শেখ মো. জাহাঙ্গীর আলম।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশ গুলি করে হত্যা করে মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে। এই ঘটনায় দায়ের করা মামলার বিচার শেষে ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি রায় দেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত। রায়ে দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড, ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং সাতজনকে খালাস দেয়া হয়।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন পরিদর্শক বরখাস্ত লিয়াকত আলী এবং টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্ত উপ-পরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিত, সাগর দেব ও রুবেল শর্মা। টেকনাফ থানার করা মামলার সাক্ষী ছিলেন শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন। বিচারিক আদালতের রায়ের পর নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের দণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। আর দণ্ডিত আসামিরা আপিল ও জেল আপিল করেন।