কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নে ইউপি সদস্যদের অনুপস্থিতি এখন প্রকাশ্য সঙ্কটে রূপ নিয়েছে। কেউ মামলার ভয়ে পলাতক, কেউ আবার নিয়মিত পরিষদে আসেন কি না তা নিয়েও জনগণের মধ্যে স্পষ্ট ধারণা নেই। ফলে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্তিতে পড়ছেন। তারা নিজেরাও জানেন না ইউনিয়নের কার্যক্রম কি চলছে, নাকি থমকে গেছে অদৃশ্য কোনো সমীকরণে।
রাজাপালং ইউনিয়নের ভুক্তভোগী শাহ কামাল ও মোস্তা বেগম জানান, মেম্বারদের অনুপস্থিতি তাদের জীবনে বড় দুর্ভোগ তৈরি করেছে। জন্মনিবন্ধন থেকে সামাজিক বিরোধ, প্রতিটি কাজে তারা বাধার মুখে পড়ছেন। ‘আমাদের ওয়ার্ডে প্রতিনিধিই নেই। দরকারে গেলে কাউকে পাওয়া যায় না’ বললেন মোস্তা বেগম।
পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, তার ইউনিয়নের ১২ সদস্যের মধ্যে ২ নম্বর ওয়ার্ডের ফজল কাদের ভুট্টো পলাতক। আরো ছয় সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা থাকায় কেউ কেউ আড়ালে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। তবুও পরিষদের জরুরি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। তার মতে, অনিশ্চয়তার মধ্যে ন্যূনতম প্রশাসনিক কাঠামো ধরে রাখাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।
সবচেয়ে জটিল পরিস্থিতি রাজাপালং সদর ইউনিয়নে। চেয়ারম্যান মীর সাহেদুল ইসলাম চৌধুরী রোমান জানান, ৪৮ হাজার মানুষের এই বিশাল ইউনিয়নকে সেবা দিতে গেলে অন্তত তিনটি ভাগে বিভক্ত করা প্রয়োজন।



