এনসিপি নির্বাচনী জোট গঠন করলে খোলামেলাভাবে জানান হবে : নাহিদ ইসলাম

Printed Edition
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোবগের সাথে সাক্ষাৎ করেন  : পিআইডি
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোবগের সাথে সাক্ষাৎ করেন : পিআইডি

ঢাবি প্রতিনিধি

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, জনগণের সমর্থনেই জাতীয় নাগরিক পার্টি আজকের অবস্থানে এসেছে এবং সামনেও মানুষের বিশ্বাসকে ভিত্তি করেই আমরা এগিয়ে যেতে চাই। এনসিপির সব সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রক্রিয়া স্বচ্ছ এবং জনগণের সামনে উন্মুক্ত। জোটের আলোচনার মতো যেকোনো রাজনৈতিক সিদ্ধান্তও দল খোলামেলাভাবে জনগণকে জানাবে।

গতকাল রাজধানীর শাহবাগের আবু সাঈদ কনভেনশন হলে এনসিপির নির্বাচনী পরিচালনা কমিটি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

নাহিদ ইসলাম বলেন, নির্বাচনের জন্য জরুরি যে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ থাকার কথা, তা এখনো নিশ্চিত হয়নি। দেশের অতীত নির্বাচনী সংস্কৃতিতে যেমন প্রশাসনের দখল, কালো টাকার প্রভাব, মাসল পাওয়ারের ব্যবহার দেখা গেছে সেই আশঙ্কা এখনো কাটেনি। ফ্যাসিবাদের সময়ে তো মানুষ ভোটকেন্দ্রেই যেতে পারেনি। এবার আমরা চাই স্বচ্ছ, গণতান্ত্রিক ও তরুণ-উদ্যমী প্রার্থীনির্ভর একটি নির্বাচন হোক।

তিনি বলেন, নির্বাচন নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন, সরকার ও প্রশাসনের দৃঢ় অবস্থান এখনো স্পষ্ট নয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল প্রকাশ্যে প্রশাসন দখলের বক্তব্য দিচ্ছে, যা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য বিপজ্জনক।

জুলাই সনদের নামে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নিজেদের মধ্যে দর কষাকষি করে নির্বাচনে ভাগবাটোয়ারা বা সাজানো সমঝোতার চেষ্টা করছে। এমন নির্বাচন হলে গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে, গণ-অভ্যুত্থানের পর যে নতুন রাজনৈতিক আশা তৈরি হয়েছে, তা ব্যর্থ হবে।

নাহিদ বলেন, এনসিপি কোনো গোপন সমঝোতা বা বন্দোবস্তে যাবে না। বরং এ ধরনের প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে। সরকারের পাশাপাশি ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকেও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ থাকার আহ্বান জানাই।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে এনসিপিকে ঘিরে মিথ্যা গুঞ্জন ছড়ানো হচ্ছে। আমরা ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছি ৩০০ আসনেই এককভাবে প্রার্থী দেয়ার চেষ্টা চলছে। তবে নীতি-আদর্শ ও নির্বাচনী ইশতেহার যদি অন্য কোনো রাজনৈতিক শক্তির সাথে মিলে যায়, তাহলে আলোচনার দুয়ার খোলা আছে। কিন্তু ক্ষমতা বা আসনের লোভে আমরা কখনো সমঝোতা করব না। এক আসনও না পেলে এনসিপি তার আদর্শেই অটুট থাকবে।

মিডিয়ার ভূমিকা প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, ৫ আগস্টের পর রাজনৈতিক মতবিরোধ থাকলেও দলগুলো একে অপরের সাথে আলোচনা করছে, যেটি গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির অংশ। তাই এসব স্বাভাবিক যোগাযোগকে ‘আলোচনার নামে চক্রান্ত’ হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা না করার জন্য সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতি আহ্বান জানাই।

এসময় এনসিপির নির্বাচন পরিচালনা কমটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী এবং সদস্যসচিব তাসনীম জারাসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।