ডলি জহুরের প্রশংসায় বিস্মিত রাইসা

Printed Edition

বিনোদন প্রতিবেদক

ডলি জহুর বাংলাদেশের অভিনয় অঙ্গনের জীবন্ত কিংবদন্তি অভিনেত্রী। বহু দর্শকপ্রিয় নাটক যেমন তিনি উপহার দিয়েছেন ঠিক তেমনি বহু দর্শকপ্রিয় সিনেমাও তিনি উপহার দিয়েছেন। তবে এই সময়ে এসে তাকে সিনেমাতে কম দেখা গেলেও নাটকে অভিনয় করছেন এখন নিয়মিত। এরই মধ্যে দীপ্ত টিভিতে প্রচারের জন্য তিনি অভিনয় করছেন আশীষ রায় পরিচালিত নতুন ধারাবাহিক নাটক ‘পরম্পরা’। এই ধারাবাহিকে গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। এদিকে গত ১ নভেম্বর রাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএস-এর এক ঘরোয়া আয়োজনে অংশ নেন ডলি জহুর। সেখানে এই প্রজন্মের শ্রোতাপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী রাইসা জান্নাত খানও ছিলেন। ঘরোয়া আয়োজনে হঠাৎ রাইসাকে গান গাওয়ার জন্য বিশেষ অনুরোধ করা হয়। সাধারণত রাইসা বাংলাদেশের ও ভারতের পুরনো দিনের বাংলা গানগুলোই গাইতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। কিন্তু সেদিন তিনি হঠাৎ করেই লতা মুঙ্গেশকরের কণ্ঠের জনপ্রিয় গান ‘আজিব দাস্তা হে ইয়ে, কাহা শুরু কাহা খাতাম’ গানটি গেয়ে শোনান। রাইসার কণ্ঠে গান শুনে ডলি জহুর ভীষণ মুগ্ধ হন। রাইসার গান গাওয়া শেষে ডলি জহুর বলেন, ‘তোমার কণ্ঠটা তো ভীষণ মিষ্টি, ভীষণ সুরেলা। অনেকটাই লতা মুঙ্গেশকরের মতো। আমি সত্যিই তোমার গান শুনে ভীষণ মুগ্ধ। তোমার গানে আরো মনোযোগী হয়ে নিজেকে গানে প্রতিষ্ঠিত করা উচিত। আমার বিশ্বাস তুমি অনেক ভালো করবে। আমার আশীর্বাদ রইল।’ ডলি জহুরের কাছ থেকে এমন প্রশংসা শুনে রাইসা বিস্মিত, অভিভূত। রাইসা বলেন, ‘শ্রদ্ধেয় ডলি জহুর আপা আমাদের বাংলাদেশের অভিনয় অঙ্গনের গর্ব। তিনি যেভাবে আমার গানের প্রশংসা করেছেন তাতে সত্যিই আমি বিস্মিত, অভিভূত। এভাবে এর আগে কেউ আমার কণ্ঠের প্রশংসা করেননি। এটা আমার সঙ্গীত জীবনের অনেক অনেক বড় প্রাপ্তি। আমি যে কতটা উচ্ছ্বসিত তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। আল্লাহ শ্রদ্ধেয় ডলি জহুর আপাকে সুস্থ রাখুন, ভালো রাখুন।’ এদিকে রাইসা নিয়মিত স্টেজ শো নিয়েও ব্যস্ত সময় পার করছেন। ঢাকায় ও ঢাকার বাইরে নিয়মিত স্টেজ শো করছেন তিনি। এরই মধ্যে তিনি নতুন মৌলিক গানের জন্যও কাজ করছেন। উল্লেখ্য, ২০২১ সালে ডলি জহুরকে ‘আজীবন সম্মাননা’ প্রদান করা হয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে। ‘শঙ্খনীল কারাগার’ ও ‘ঘানি’ সিনেমাতে অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন তিনি মঞ্চ নাটকের সাথে যুক্ত হন। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র নতুন বউ, শঙ্খনীল কারাগার, আগুনের পরশমণি, কুলি, বিক্ষোভ, স্বপ্নের ঠিকানা, চাওয়া থেকে পাওয়া, বিচার হবে, আনন্দ অশ্রু, দীপু নাম্বার টু, স্বপ্নের নায়ক, বাবা কেন চাকর, অনন্ত ভালোবাসা, হৃদয়ের কথা, দারুচিনি দ্বীপ, সন্তান আমার অহঙ্কার, মন বসে না পড়ার টেবিলে’ ইত্যাদি।