বাসস
রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিনের সাথে গতকাল বঙ্গভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশ সফররত ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে।
ঢাকায় তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের অংশ হিসেবে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী গতকাল দুপুরে বঙ্গভবন এলে রাষ্ট্রপ্রধান তাকে স্বাগত জানান। পরে বঙ্গভবনের ক্রেডেনসিয়াল হলে তারা এক আনুষ্ঠানিক আলোচনায় বসেন।
ভুটানের সাথে বাংলাদেশের ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, ভবিষ্যতে উভয় দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো গভীর হবে। তিনি আশা করেন যে, আগামী দিনে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ব্যবসা, বাণিজ্য, জলবিদ্যুৎ, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে সম্পর্ক আরো জোরদার হবে।
এ সময় ভুটানের প্রধানমন্ত্রী তার দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলাদেশের মেডিক্যাল কলেজে আসন বৃদ্ধি এবং প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন সংরক্ষণ করায় বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন। প্রধানমন্ত্রী আশা করেন যে, আগামী দিনে উভয় দেশের সম্পর্ক আরো বৃদ্ধির পাবে।
গতকাল তিন দিনের সফরে সকাল সোয়া ৮টায় ঢাকার হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছান ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস তাকে বিমানবন্দরে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।
সেখানে দুই নেতার মধ্যে সংক্ষিপ্ত বৈঠক হওয়ার পর শেরিং তোবগেকে গার্ড অব অনার দেয় সশস্ত্রবাহিনীর একটি চৌকস দল।
বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
এ সময় শেরিং তোবগে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে একটি গাছ রোপণ করেন এবং দর্শনার্থী বইয়ে সই করেন।
গতকাল বৈঠক শেষে সফররত ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনের ‘পরিদর্শন বই’-এ স্বাক্ষর করেন।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গীদের মধ্যে ছিলেন পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রী এন ধুঙ্গেল, শিল্প-বাণিজ্য ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের (এমওআইসিই) মন্ত্রী লিওনপো নামগিয়াল দর্জি, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত দাশো কর্মা হামু দর্জি প্রমুখ।
এ সময় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন, পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়াম, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব খান মো: নূরুল আমিন, বঙ্গভবনের সামরিক সচিব মেজর জেনারেল আদিল চৌধুরীসহ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।



