নারী ফুটবলে অনাগ্রহ বড় ক্লাবগুলোর

রফিকুল হায়দার ফরহাদ
Printed Edition

সাফের গণ্ডি পেরিয়ে বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল এখন এশিয়ান ফুটবলের শীর্ষ মঞ্চে। আগামী মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য এশিয়ান কাপে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলেই ২০২৮ অলিম্পিক গেমসে খেলার সুযোগ পাবে। আর কোয়ার্টার ফাইনালে জিতলে ২০২৭ বিশ্বকাপে খেলার ছাড়পত্র। কোয়ার্টার ফাইনালে হারলেও এরপর প্লে-অফে জিতলে বিশ্বকাপে খেলা যাবে। এ জন্য নারী ফুটবল দলকে যেমন এশিয়ান কাপের আগে আরো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে হবে তেমনি ঘরোয়া লিগও শক্তিশালী হতে হবে। এ জন্য দেশের শীর্ষ ক্লাবগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। দল গড়তে হবে লিগে। বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার প্রান্তির অনুরোধ দেশের শীর্ষ ক্লাবগুলো যেন নারী লিগে দল গঠন করে। তাহলে লিগ যেমন শক্তিশালী হবে। তেমনি জেলা থেকে উঠে আসা ফুটবলাররাও নিজেদের প্রমানের সুযোগ পাবেন। তবে দেশের যে দুই জনপ্রিয় ক্লাব ঢাকা আবাহনী ও মোহামেডান তাদের তেমন কোনো আগ্রহই নেই নারী ফুটবল লিগে দল গঠনের।

আগে নারী ফুটবল লিগে দল গড়েছিল মোহামেডান। সর্বশেষ বিপিএলে দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর তাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাবেক নারী দলের ফুটবলার অদিতিকে আমন্ত্রন জানানো হয়। এইবার প্রথমে শোনা গিয়েছিল আসন্ন নারী লিগের জন্য দল গড়বে মোহামেডান। এ জন্য ক্লাবের সাবেক ফুটবরার ডিফেন্ডার আবু ফয়সাল আহমেদকে কোচের দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে। তবে মোহামেডানের ফুটবল ম্যানেজার ইমতিয়াজ আহমেদ নকীব জানান, আমার কাছে কোনো তথ্য নেই মোহামেডান এবার নারী ফুটবল দল গঠনের বিষয়ে।

বিপিএলের রানার্সআপ দল ঢাকা আবাহনী। তাদেরও পরিকল্পনায় নেই নারী লিগে দল গঠনের বিষয়ে। দলের ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রুপু জানান, আমাদের আপাতত পরিকল্পনা নেই নারী ফুটবল দল গড়ার। আগে পুরুষ ফুটবল গঠনটা চূড়ান্ত করি। আমাগী মাসেই এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের খেলা। এখন পর্যন্ত সেই দলই গোছাতে পারিনি। আজ সভা ক্লাবের। এরপর পুরুষ দল নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।

বসুন্ধরা কিংস নারী লিগে নেই। অথচ এই ক্লাবটি প্রচুর অর্থ খরচ করে দল বানাতো। শিরোপাও ছিল তাদের দখলে। অনেকটা ক্ষোভের কারণেই গত সিজনে নারী দল গঠন করেনি ক্লাবটি। এবারের দল গঠন বিষয়ে বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসান জানান, যদি পুল না থাকে থাহলে আমরা নারী দল গড়ব। ব্রাদার্স ইউনিয়নের ম্যানেজার আমের খান জানান, আমরা এখনো পুরুষ দলই ঠিক করতে পারিনি। নারী ফুটবল টিম কিভাবে বানাব। উল্লেখ্য লিগের সব দলের মধ্যে শক্তির ভারসাম্য আনার জন্যই নারী লিগে পুলের কথা বলেছিল বাফুফের নারী উইং। অবশ্য এতে ছোট ক্লাবগুলো তেমন অর্থই দিবে না তারকা ফুটবলারদের। এটি শঙ্কা।