সাক্ষাৎকার

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি ‘মাল্টিকালচারিজম’

ড. সুলতানা রাজিয়া

রাশিদুল ইসলাম
Printed Edition
ড. সুলতানা রাজিয়া
ড. সুলতানা রাজিয়া

বুয়েটের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দা সুলতানা রাজিয়া বলেছেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে মাল্টিকালচারিজম। এই মাল্টিকালচারিজমকে ধরে রাখতে না পারলে ফের সেক্যুলারিজমে ফিরে যাওয়ার শঙ্কা আছে। তিনি বলেন, সহনশীলতার মাধ্যমে ধর্মীয় উগ্রপন্থার পথ পরিহার বা তাকে মোকাবেলা করেই আমাদের তরুণদের এগিয়ে যাওয়ার পথ তৈরি করে দিতে হবে। মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়ার মতো অনেক দেশ এভাবে এগিয়ে গেছে।

ড. সুলতানা রাজিয়া নয়া দিগন্তকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন। প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে এই শিক্ষাবিদ ও গবেষক সম্মানজনক ওপিসিডব্লিউ-দ্য হেগ এওয়ার্ডে ভূষিত হন।

নয়া দিগন্ত : জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রাপ্তি নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে, তো এই গণ-অভুত্থানের কোন অর্জন আপনার নজর কেড়েছে?

ড. সুলতানা রাজিয়া : জুলাই বিপ্লবের আগ পর্যন্ত আপনি যদি কোনো একটা জায়গায় সেক্যুলারভাবে কথা বলেন তখন মনে করা হতো ‘হি ইজ দ্য এডুকেটেড পারসন’। কেউ যদি ধর্মীয় কথা বলে তাহলে সে এডুকেটেড না। সাইন্সকে যদি ইসলামাইজ করতে যাওয়া হয়, হবে না তো। সাইন্স ইটসেল্ফ ইসলাম। আল্লাহ তায়ালা বিজ্ঞানের মধ্যে সব কিছু দিয়ে দিয়েছেন। বিজ্ঞানকে ইসলামাইজ করার কিছু নাই। একটা ভয় আছে, রিলিজিয়াস এক্সট্রিজম এবং ইনটলারেন্স। এটা যদি আমরা হ্যান্ডেল করতে তৈরি না থাকি তবে এই মাল্টিকালচারিজম আবার চলে যাবে সেক্যুলারদের হাতে। খেয়াল করেন ঔপনিবেশিক শিক্ষাব্যবস্থা বলতে আমরা কী মনে করছি। ওটাই সেক্যুলারিজম এডুকেশন। যারা কলোনি সৃষ্টি করেছে তাদের একটা বড় কাজ ছিল স্থানীয় যে শিক্ষাব্যবস্থা সেটার পরিবর্তে সেক্যুলার একটা দেয়া। কিন্তু সমস্যা হলো ওনারা যখন চলে গেলেন তখন আমাদের দেশের এলিট শ্রেণী সেক্যুলারকে এলিট এডুকেশন হিসেবে গ্রহণ করল। সমস্যা হচ্ছে আমরা যখন এলিট গ্রুপের সাথে কথা বলি, এডুকেটেড পিপলের সাথে কথা বলি, তাদের ল্যাঙ্গুয়েজটা হয় সেক্যুলার, তারা মনে করে এটাই ভদ্রতা, সভ্যতা। এই জিনিসটা আমাদের সমাজে প্রতিষ্ঠিত ছিল। এমনকি জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের আগ পর্যন্ত মানুষ চাক বা না চাক, দ্যাট ওয়াজ দ্য ওয়ে টু বিকাম এডুকেটেড। ধর্মের কথা যদি আসে তাহলে ইউ আর নট দ্য এলিট পিপল। এটাই ছিল সেক্যুলারিস্ট এডুকেশন বা সেক্যুলারিস্ট কনসেপ্ট এটা ঔপনিবেশিক ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে আসছে। ব্রিটিশ আমল থেকে যেটা আসছে সেটা আমরা ধরে রেখেছি। এখন জুলাই অভ্যুত্থানের পর যে ঘটনাটা ঘটল, হঠাৎ আমরা দেখলাম সেক্যুলার হিসেবে যেটা বলা হচ্ছিল সেটা এলিট হিসেবে আলটিমেটলি আমরা গ্রহণ করছি না। আমাদের টেবিলে এখন মাল্টিকালচারিজম চলে আসছে। আমরা এখন সব ধর্ম কনসিডার করতে রেডি।

নয়া দিগন্ত : এই নতুন বিবেচনা কিভাবে অনুভব করা যায়?

ড. সুলতানা রাজিয়া : আমরা এখন বলছি, হিন্দুইজম, খ্রিস্টানিজম, ইসলাম এমনকি বৌদ্ধইজম, এমনকি ট্রাইবালিজম এসব কিছুই এডুকেশনের পার্ট। সব নিয়েই এডুকেটেড শ্রেণী হবে। টেবিলে হঠাৎ মাল্টিকালচারিজম চলে আসলো জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের কারণে। এটা ভুলে গেলে হবে না ইসলামের কথা আমরা মেইন স্ট্রিমে আনতে পারছিলাম না। হিন্দুইজমের কথা আমরা এডুকেশনের মেইন স্ট্রিমে আনতে পারছিলাম না। কারণ মেইনস্ট্রিম এডুকেশন বলছিল আগে সেক্যুলার হতে হবে এডুকেটেড হতে হলে। এবং সেক্যুলার বলে তারা একটা নতুন ধর্ম চাপিয়ে দিচ্ছিল। খেয়াল করেন সেক্যুলারিজম অলসো বিকেম এ রিলিজিয়ন। এটা দিয়ে অপ্রেস করা হচ্ছিল অন্য সব রিলিজিয়নকে। হঠাৎ এই সেক্যুলারিজম ধুলায় মিশে গেল। সেটার হাত থেকে আমরা মাল্টিকালচারিজমে চলে আসলাম।

নয়া দিগন্ত : তাহলে এখন আমাদের করণীয় কী কী?

ড. সুলতানা রাজিয়া : এখন কাজগুলো যদি আমরা ঠিকমতো না করি তাহলে এই অ্যাচিভমেন্ট কিন্তু হাতে থাকবে না। এই যে সেক্যুলারিজম থেকে আমরা মাল্টিকালচারিজমে বুস্ট করলাম এটা শুধু বাংলাদেশে ঘটে নাই। এটা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফেনোমনা। ইউকে, আমেরিকা এসব দেশে ইমিগ্রেন্টদের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে তারা মাল্টিকালচারিজমে চলে যাচ্ছে। ইন্দোনেশিয়া, নাইজেরিয়া, মালয়েশিয়ার মতো দেশগুলো সেক্যুলারিজমে আর নাই। দে আর মুভিং টু মাল্টিকালচারিজম। মাল্টিকালচারিজম মানে ইউনিটি ইন ডাইভারসিটি। কাউকে বাদ দিয়ে না। বিভিন্ন রিলিজিয়নকে স্বীকার করা মানে কোনটাকে ইনফেরিয়র কোনটাকে সুপিরিয়র বলা না। এভাবে এডুকেশনকে চিন্তা করলে সেক্যুলারিজমও আমাদের টেবিলে থাকবে।

নয়া দিগন্ত : মাল্টিকালচারিজমের কোনো ভয় বা ঝুঁকি আপনার চোখে পড়ে?

ড. সুলতানা রাজিয়া : এই মাল্টিকালচারিজমের ভালো জিনিস হচ্ছে যে আমাদের গ্রেটার ইন্টার ফেইথ আন্ডারস্ট্যান্ডিং হবে। রেসপেক্ট ফর মাইনরিটি কালচার হবে। রিভাইভাল অব ইনডিভিজিনিয়াস নলেজ হবে, মরাল এডুকেশন চলে আসবে, সেক্যুলারিজমে আমরা ধর্মীয় মরাল এডুকেশন দিতে পারছিলাম না। কিন্তু অসহনশীলতা ও ধর্মীয় উগ্রবাদ মোকাবেলা করতে হবে। এটা আমরা মোকাবেলা করতে না পারলে মাল্টিকালচারিজমের অ্যাচিভমেন্টটা ধরে রাখা যাবে না। মাল্টিকালচারিজমে কখনোই এক্সট্রিজম ও ইনটলারেন্সকে সুযোগ দেয়া যাবে না। আমাদেরকে টলারেন্ট হতে হবে। মাথায় রাখতে হবে যে অ্যাচিভমেন্টটা আমরা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে পেলাম তা যেন হেলায় না হারাই।

আমাদের হাতে উদাহরণ আছে, মালয়েশিয়া ভালো উদাহরণ, ইন্দোনেশিয়া আরো ভালো উদাহরণ। ইন্দোনেশিয়া ৮৫ শতাংশের বেশি মুসলিম থাকার পরও তারা ছয়টি ধর্মকে স্বীকৃতি দিয়েছে। তারা পাঁচটি প্রিন্সিপ্যালকে প্যানাকেসিলা বলে, বিলিভ অব ওয়ান গড, জাজ অ্যান্ড সিভিল হিউম্যানিটি, ইউনিটি অব ইন্দোনেশিয়া, ডেমোক্রেসি অব গাইডেড বাই কনসাস এবং সোশ্যাল জাস্টিস ফর অল ইন্দোনেশিয়ান। এই জিনিসগুলো ইন্দোনেশিয়াকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গেছে। তাদের ন্যাশনাল এডুকেশন অ্যাক্টে সব ধর্ম ও এথিনেকিলদের মানুষকে সমান সুযোগ ও সম্মান দেয়া হয়। তাদের ধর্মীয় স্কুলেও জেনারেল বিষয় শিক্ষা দেয়া হয়।

নয়া দিগন্ত : মাল্টিকালচারিজমের বিশ্বস্বীকৃতি আছে কি?

ড. সুলতানা রাজিয়া : ইউনেস্কো গ্লোবাল সিটিজেনশিপ এডুকেশন কিন্তু হিউম্যানিস্ট এডুকেশন এজেন্ডা হিসেবে মূল্যবোধের শিক্ষাকে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। মাল্টিকারচারিজমকে নিয়ে আগালেও ইউনেস্কোর এ লক্ষ্যমাত্রাকে অর্জন করতে পারব। জাতিসঙ্ঘের এজেন্ডাও মাল্টিকালচারিজম। টলারেন্স এবং মরাল ভ্যালুজের কথা যখন বলব তখন কিন্তু দুনিয়ার সাথে আমরা একসাথে আছি বা চলব। বরং মাল্টিকালচারিজম ও মরাল ভ্যালুজ বাদ দেই তাহলে পিছিয়ে পড়ব। তার মানে ঔপনিবেশিক শিক্ষার বাইরে গিয়ে আধুনিক শিক্ষার কথা বলছি। ঔপনিবেশিক ও সেক্যুলারিজমে থাকলে পিছিয়ে থাকতাম। আমরা আসলে ওয়ান স্টেপ ফরোয়ার্ড আগাচ্ছি।

আজকাল মাদরাসা এডুকেশনের কথা আসছে, ইসলামাইজেশন অব নলেজ, এগুলো আশির দশকের কনসেপ্ট। যেটা আইআইআরএমসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় চেষ্টা করেছে কিন্তু ভালো সফলতা পাওয়া যায়নি। ইসলামাইজেশন অব নলেজ বললেই যে সব কিছু সাকসেস হয়ে যাবে; তা নয়, যদি না আমরা প্রপার মেথেডোলজি অনুসরণ না করি। রিয়াল মেথেডোলজি ফলো না করলে যতই মরালিটি ও ইসলামিক জিনিস জোর করে ঢুকাতে চাই তা কাজ করবে না। সুতরাং ইসলামাইজেশন অব নলেজের লিমিটেশনগুলোর দিকে খেয়াল রাখা জরুরি। তাদের ধারণা পরিস্কার ছিল না। সাইন্সকে ইসলামাইজেশন করতে গেলে হবে না তো। সাইন্স ইটসেল্ফ ইসলাম। আল্লাহ তায়ালা বিজ্ঞানের মধ্যেই সব কিছু দিয়ে দিয়েছেন। বিজ্ঞানকে ইসলামাইজেশন করার কিছু নেই। ইসলামাইজেশনের বিপক্ষে আমি বলছি না। এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগ। সার্চ দিলে ইন্টারনেটে সবচেয়ে বেশি সার্চেবল আইটেম চলে আসছে। ইসলামিক থিয়োলজি, ফিলোসফি, পলিটিক্স নিয়ে গবেষণা আপনার না থাকলেও আপনি যতই এগুলো নিয়ে বড় গলায় কথা বলেন মানুষ সার্চ দিয়ে এসব বিষয় বা ইসলাম পাচ্ছে না। ইসলামের ওপর একাডেমিক স্পেশালাইজ কোনো নলেজ পাচ্ছে না। শুধু ফতোয়া, লো লেভেল অব ইন্টারপ্রিটেশন, যে জিনিস পাচ্ছে তা কারো কোনো জ্ঞানগর্ভ আলোচনা হচ্ছে না। অন্যদের চেয়ে জ্ঞানগর্ভ আলোচনা বা গবেষণা করে তো যদি ডাটাবেজে ঢুকাতে পারেন আপনি এমনিতেই জয়লাভ করবেন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে আপনি লো লেভেল অব ইনফরমেশন দিবেন আর মানুষ তা গ্রহণ করবে তা হবে না। এ আই দিয়ে মানুষ যেকোনো জিনিস সার্চ করে নিয়ে আসতে পারে।

নয়া দিগন্ত : কিন্তু ইসলাম নিয়ে গবেষণার তো ব্যাপক চাহিদা ও ঘাটতি দুটোই খেয়াল করা যাচ্ছে..

ড. সুলতানা রাজিয়া : আপনি বলছেন কুরআনে ইসলামের সব কিছু সলিউশন আছে, আপনি একটা সলিউশনও পাবেন না ইন্টারনেটে প্রপারলি। ইকোনমিক্সের সলিউশন কোনভাবে আসছে, সাইন্স সাইন্টিফিক ক্রাইসিসের সলিউশন কিভাবে আসছে, আপনি অদ্ভুত অদ্ভুত ফতোয়া পাওয়া শুরু করছেন, ওই নিয়ে তো আপনি এই বিশ্বকে লিড দিতে পারবেন না। এই যুগে আপনি ইসলামাইজেশন চান, মাল্টিকালচারিজম চান তো ইউ নিড টু ভেরি স্ট্রং ডাটাবেস রিসার্চ; সব কিছুর উপরে যা পুরো বিশ্বের কাজে লাগবে, ব্যাপক চাহিদা নিয়ে মানুষ তা জানার জন্যে অপেক্ষায় আছে। এ ছাড়া আমাদের তরুণদের আমরা পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারব না। মাল্টিকারচারিজম অর্জন করেছি, যদি আমরা এক্সট্রিজমকে সমর্থন দেয়া শুরু করি, সিরিয়াসলি এ আই কিন্তু ক্যাচ করবে এবং জনগণও দেখবে। আমাদেরকে স্ট্রং রিচার্স ও নলেজ দিয়ে প্রতিপক্ষকে ফেইস করতে হবে। বড় গলা করে লো লেভেলের তর্ক করে আমরা জয় করতে পারব না।

নয়া দিগন্ত : ইসলাম নিয়ে বিস্তর কথা বলার তো ঝুঁকিও আছে, ধর্মান্ধদের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়াশীল আচরণ দেখা যায় অনেক সময়...

ড. সুলতানা রাজিয়া : ইসলামাইজেশনের বিপক্ষে বললে ফতোয়া চলে আসতে পারে। কিন্তু আমি তো বিরুদ্ধে বলছি না। মানুষও অনেক এগিয়ে গেছে। আউটরেজেস কথাবার্তা বলে মনে হতে পারে কিন্তু আসলে যা বলছি তা নেগেটিভ নয়, মেইন স্ট্রিম টক। মানুষকে পরিবর্তন গ্রহণ করার জন্য তৈরি থাকতে হবে। বাংলাদেশে উগ্রবাদ আসবে কোত্থেকে। তরুণ ও ছাত্রদের প্রতিনিধি, ফিউচার লিডার, মেয়েদের কথা শোনার জন্য সমাজ এখন তৈরি হয়েছে এটা বিরাট পরিবর্তন। নারীদের কথা শুনবে সমাজ, একসময়ে এটা বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল; বিশেষ করে রিলিজিয়াস মাইন্ডেড ছেলেদের কাছে। অনেকে মনে করছেন ইয়াং মেয়েরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ইসলামকে জানতে চাচ্ছে সেটা যতটা সত্যি তার চেয়ে বড় কথা হচ্ছে নলেজটা এখন সহজলভ্য। মানুষ চাইলে ইনফরমেশন জানতে পারে। সব কিছুতে একটা ভারসাম্য প্রয়োজন। আমরা যখন হিজাব শুরু করি তখন শুধু মাথায় ঘোমটা দেয়ার জন্যে শুরু করি নাই। বই পড়তে পড়তে আমাদের সময়ে যতটুকু জানার সুযোগ ছিল সে সম্পর্কে পুরোপুরি সজাগ হয়ে গিয়েছিলাম। হিজাব যতটা না মাধ্যম তার চেয়ে বেশি জ্ঞানের অংশ। এখন মানুষ কম জ্ঞান নিয়েও হিজাব পরছে। এ ধরনের মুভমেন্ট বা ধারাবাহিকতাও ইতিবাচক। নারী পর্দার নিরাপত্তার আবরণে আসতে চাচ্ছে। এটাও এক সৌন্দর্য।

নয়া দিগন্ত : পশ্চিমা দেশগুলোতে অনেকেই ইসলাম সম্পর্কে আগ্রহী হয়ে উঠছেন কিন্তু আমাদের দেশে এ ধরনের আগ্রহকে উগ্রবাদ হিসেবে দেখার একটা অপচেষ্টা আছে..

ড. সুলতানা রাজিয়া : পশ্চিমে অনেক সহজে মানুষ তার পছন্দকে বেছে নিতে পারছে মাল্টিকালচারিজমের কারণে। পশ্চিমা উদাহরণ দিলে আবার কেউ কেউ বলতে চায় পশ্চিমা দালাল। ওয়েস্টার্ন সার্ভিস দিতে যাচ্ছি ব্যাপারটা তা না। মুসলিম ও ননমুসলিম কান্ট্রিতে মাল্টিকালচারিজম সাকসেসফুলি হয়েছে চাহিদার কারণেই। রাসুল (সা:)-এর যুগে মদিনায় মাল্টিকালচারিজম ছিল। তখন ইহুদি, মুসলিমসহ নানা ধর্ম ও জাতি ছিল। মদিনা সনদ একটা ভালো উদাহরণ আমাদের জন্য। ওটা ইনক্লুসিভ ছিল।

নয়া দিগন্ত : এখন কি মদিনা সনদকে লক্ষ্য করে আগানো সম্ভব?

ড. সুলতানা রাজিয়া : অবশ্যই, তবে সে জন্যে এক বিশাল উদ্যোগের প্রয়োজন।