আলজাজিরা
সুদানের সেনাবাহিনী দারফুর অঞ্চলের আল-ফাশের শহর থেকে সম্পূর্ণভাবে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এর ফলে শহরটি আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। জাতিসঙ্ঘ এই পরিস্থিতিকে “ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়” বলে আখ্যা দিয়েছে এবং আরএসএফের বিরুদ্ধে জাতিগত সহিংসতা ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তুলেছে।
সেনাপ্রধান আবদুল ফাত্তাহ আল-বুরহান সোমবার রাতে এক বিবৃতিতে বলেন, “নাগরিকদের রক্ষা করতেই আমরা আল-ফাশের ঘাঁটি থেকে সম্পূর্ণভাবে সরে এসেছি। আরএসএফের ধারাবাহিক ধ্বংসযজ্ঞ ও বেসামরিক হত্যাকাণ্ডের মুখে শহরটিকে আরো রক্তাক্ত হতে না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” তিনি আরো বলেন, “আমরা আমাদের জনগণের ওপর চালানো অপরাধের প্রতিশোধ নেব এবং আরএসএফের অপরাধীদের জবাবদিহির আওতায় আনব।”
এই ঘোষণার একদিন আগেই আরএসএফ আল-ফাশের প্রধান সেনা ঘাঁটি দখল করে বিজয় ঘোষণা করে। শহরটিতে প্রায় ২ লাখ ৬০ হাজার মানুষ আটকে পড়েছেন, যাদের অর্ধেকই শিশু। জাতিসঙ্ঘের শিশু সংস্থা জানিয়েছে, এই জনগোষ্ঠী এখন আরএসএফের নিয়ন্ত্রণাধীন এবং তাদের জীবন বিপন্ন। মানবিক সংস্থাগুলো জানিয়েছে, শহরে ব্যাপক হত্যাকাণ্ড, গ্রেফতার, হাসপাতাল লুটপাট ও চিকিৎসা কেন্দ্র ধ্বংসের ঘটনা ঘটেছে। সুদান ডক্টরস নেটওয়ার্ক এই হামলাকে “নৃশংস গণহত্যা” বলে অভিহিত করেছে।



