ভাষান্তর : শেখ আবদুল্লাহ নূর
(গত দিনের পর)
বিকেলে কবর দেয়া হলো বুড়ি রাক্ষুসীকে। বিকেল গড়িয়ে রাত নেমে এলো। রাজপুরী এখন নিঝ্ঝুম, শোকে বিহবল। চারিদিকে থমথমে ভাব। গভীর রাতে আবার তিন বন্ধু কুকুর, বিড়াল ও নাগপুত্র শলাপরামর্শের জন্য বসে। সেই উঁচু বৃক্ষের গোড়ায় বসে তারা। প্রথমে কুকুর বলে, শ্রী আংটি তো এখন কবরে রাক্ষুসীর পেটে। সেখান থেকে উদ্ধার করবে কে? বিড়াল বলে, এ দায়িত্ব আমার হাতে ছেড়ে দাও তোমরা। এখন মধ্যরাত। চলো আমরা তিনজন কবরস্থানে বুড়ির কবরের কাছে গিয়ে বসি। উপায় একটা বের হবেই।
তিন বন্ধু কবরস্থানে যায়। বিড়াল বলে, তোমরা এখানেই থাকো। আমি ইঁদুর ধরে আনি। ইঁদুরেই উদ্ধার করে দিবে আংটিটি। কুকুর ও সাপ বসে আছে বুড়ির কবরের পাশে। কিছুক্ষণের মধ্যে বিড়াল ইয়া বড় এক ডারহা ইঁদুর ধরে নিয়ে আসে। এনে ছেড়ে দেয় কুকুর ও সাপের সামনে। ইঁদুরটি পালাতে চায়। কিন্তু এমন বলিষ্ঠ তিন বন্ধুর কাছে থেকে পালানোর সাধ্য কারো আছে? (চলবে)



