সাক্ষাৎকার

রাজনীতিতে রাষ্ট্রনায়কোচিত ভূমিকা বাংলাদেশকে বিশ্বনেতৃত্বে নিতে পারে

প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আব্দুর রব

রাশিদুল ইসলাম
মোস্তাফিজুর রহমান
Printed Edition
প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আব্দুর রব
প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আব্দুর রব |নয়া দিগন্ত

মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবদুর রব বলেছেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যময় কৌশলগত অবস্থানজুড়ে থাকার কারণে রাজনৈতিক নেতৃত্বে রাষ্ট্রনায়কোচিত ভূমিকা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, বিশ্বে আঞ্চলিকতার দিক থেকে যেসব দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে সেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন বিশ্বের মোড়ল হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও অনেক দেশকে সঙ্কট বহন করে চলতে হচ্ছে। ভারতও আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ একটি দেশ। কিন্তু অত্যন্ত ঘনবসতি দেশ হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ যে ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে সে জন্য বিশ্ব শুধু সাধুবাদ দিয়েছে, সঙ্কট নিরসনে কোনো কার্যকর উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। দুর্ভাগ্যবশত কিংবা সৌভাগ্যবশত আন্তর্জাতিক রঙ্গমঞ্চে এই ভূরাজনৈতিক খেলায় বাংলাদেশকে বিশেষ পরিস্থিতির মুখে পড়তে হচ্ছে।

তিনি বলেন, অতীতে রাজনৈতিক নেতৃত্ব প্রতিবেশী দেশের সাথে নতজানু হয়ে ক্ষমতাসীন হয়ে থাকার চরম পরাকাষ্ঠা দেখিয়েছে। এ অবস্থার পরিবর্তন না হলে বাংলাদেশের অস্তিÍত্ব টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে। আবার রাজনৈতিক নেতৃত্ব অতীত রাজনীতির ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে দূরদর্শিতার পরিচয় দিতে পারলে বাংলাদেশ খুব সহজেই আন্তর্জাতিক বিশ্বে নেতৃত্বের সারিতে দাঁড়াতে পারবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, বেশির ভাগ জনগোষ্ঠীর অভিন্ন ধর্ম ও সংস্কৃতি, সহনশীল ও উদার নৈতিক মনোভাব কাজে লাগিয়ে রাজনীতিবিদরা খুব সহজেই ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড কাজে লাগাতে পারেন। কিন্তু ক্ষমতালিপ্সু হলে এ সুযোগ হেলায় হারাতে পারেন রাজনীতিবিদরা। গ্লোবাল ভিলেজের এই যুগে তা মোটেই কাম্য নয়।

প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবদুর রব নয়া দিগন্তকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন। সাক্ষাৎকারটির শেষ পর্ব প্রকাশিত হলো। সাথে ছিলেন নয়া দিগন্তের হেড অব ডিজিটাল মোস্তাফিজুর রহমান

প্রথম পর্ব: ভূকৌশলগত রাজনীতি কাজে লাগালে দক্ষিণ এশিয়ার চেহারা পাল্টে যাবে

নয়া দিগন্ত : ভূকৌশলগত কারণেই বাংলাদেশের গুরুত্ব বাড়ছে, এ গুরুত্ব দেশের স্বার্থে কিভাবে কাজে লাগানো যায়?

প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবদুর রব : ভূরাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও ভূকৌশলগত কারণে সার্ক ও আসিয়ান দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশের অবস্থান একটা সেতুবন্ধনের মতো। এ রঙ্গমঞ্চে আফগানিস্তানও এসেছে, ভারত মহাসাগর আটলান্টিক ও প্রশান্ত মহাসাগরকে যুক্ত করেছে। মালাক্কা প্রণালী দিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব অভিমুখী সমুদ্র যাত্রা ও সেগুলো সুয়েজ ক্যানেল হয়ে, ভূমধ্যসাগরে যাত্রা, সব কিছুতে বাংলাদেশ কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। আসিয়ানের রয়েছে ৭০-৮০ কোটি মানুষ, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম নতুন শক্তিমান অর্থনীতির দেশ হিসেবে আবির্ভূত হলেও বার্মা সঙ্কটপূর্ণ অঞ্চলে পরিণত হচ্ছে। আসিয়ান হয়ে উত্তরে দূর প্রাচ্যে জাপান, দুই কোরিয়ার সংযোগ স্থল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের উত্তরে বাংলাবান্ধা হয়ে দার্জিলিং করিডোর দিয়ে ৬৪ মাইল গেলেই চীনের চুম্বিভ্যালি। দার্জিলিং করিডোরকে আঞ্চলিক অর্থনৈতিক কল্যাণকামী সংযোগস্থলে পরিণত করলে চীনের ১৩০ কোটি মানুষের বাজার ধরা যায়। ‘সো বাংলাদেশ অকুপাইস এ পিভোটল পজিশন ইন দি এ্যাপেক্স অব দি বে অব বেঙ্গল। ভায়া বে অব বেঙ্গল উই ক্যান রিচ ইন্ডিয়ান ওশ্যান, স্ট্রাটেজিক্যালি ফ্রম ইন্ডিয়ান ওশ্যান মিলিটারিলি ইম্পর্টেন্টড।’

ইন্ডিয়ান ওশ্যান বা প্যাসিফিকে কৌশলগত স্বার্থ নিয়ন্ত্রণ করে অনায়াসে বিশ্বের অবস্থানকেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। মেকিন্ডারের হার্টল্যান্ড থিউরিতে দেখলে বাংলাদেশ এখানে এখনো ফ্রিজল্যান্ড বা বাংলাদেশের ভূরাজনৈতিক, ভূঅর্থনৈতিক ও ভূকৌশলগত অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গ্লোবাল প্লেয়ার্স যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীন আবার চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ বাংলাদেশের কৌশলগত অবস্থানের গুরুত্ব আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। গ্লোবাল ট্রেড নিয়ে সঙ্ঘাত, শুল্ক যুদ্ধের পাশাপাশি ৭৫ শতাংশ পণ্য সমুদ্রপথে আনানেয়া হয়। চট্টগ্রাম, মোংলা বা নতুন গভীর সমুদ্রবন্দর থেকে খুব সহজেই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ বা ফারইস্টে পৌঁছে যেতে পারে বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, জাপান বরং সারা বিশ্বে বাংলাদেশ থেকে সহজেই যাওয়া যায়। চীনের এখানে স্বার্থ রয়েছে, সাইন্টিফিক বা ইকোনমিক্যালি চীনের অগ্রসর হওয়ার আগে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর রাশিয়া এখন চীনকেও থ্রেট হিসেবে দেখছে। গ্লোবাল ইকোনমিক্যাল সিনারিও বা কালচারাল কনফ্লিক্ট এখন কমিউনিজম ভার্সেস ক্যাপিটালিজমের মতো নেই। এখানে চীন ও মুসলিম বিশ্ব কমন এ্যালাই। অন্য দিকে রাইভাল যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ভারত। চূড়ান্ত না হলেও পোলারাইজেশন হচ্ছে। বিশ্ব মালটিপোলারের দিকে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান এক দিকে রয়ে গেলেও চীন, পাকিস্তান ও রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্কের চমৎকার উন্নতি হচ্ছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতেও অনেক দেশ পেশি শক্তি দেখাচ্ছে। ট্রেড ব্যালান্সে চীন যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এসব দেশের সাথে যতটা কানেক্টিভিটি গড়ে তুলবে ততটা লাভবান হবে। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের বোঝাপড়ায় বাংলাদেশের অবস্থান প্রয়োজন। সরকার বদলে ভূরাজনৈতিক সাইকি বদল হয়। ভারতের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের টানাপড়েন আবার আফগানিস্তানের সাথে সম্পর্কোন্নয়ন এর প্রমাণ। চীন ও ভারত যুক্তরাষ্ট্রকে ছেড়ে অন্য বিকল্প খুঁজছে। পাকিস্তানের নিউক্লিয়ার পাওয়ার হিসেবে মুসলিম বিশ্বে গ্রহণযোগ্যতা ও প্রভাব রয়েছে। ইরান ও তুরস্ক নিয়েও একটা সমীকরণ দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশ ভূকৌশলগত অবস্থানে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের একটা হাব গড়ে তুললে ভূঅর্থনীতিকে কাজে লাগানো যাবে। গ্লোবাল ও রিজিওনাল ভূরাজনীতির দ্বন্দ্বের ভেতরে আমরা গুরুত্ববহ হয়ে উঠেছি। ভারতের ভূরাজনীতি বহুলাংশে নির্ভরশীল উত্তর-পূর্ব ভারতের উপর। শিলিগুড়ি চিকেন নেক দিয়ে নেপাল ও বাংলাদেশ অবাধে পণ্য নিতে পারলে ভারত, নেপাল, চীন ও বাংলাদেশ প্রায় পৌনে ৩০০ কোটির মানুষের বাজার পেতো। চীনকে প্রশান্ত ও মালাক্কা প্রণালী হয়ে ঘুরে পণ্য নিতে দশ হাজার কিলোমিটার পাড়ি না দিয়ে বঙ্গোপসাগর হয়ে বাংলাদেশের বন্দর ব্যবহার করলে ৫০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিলেই যথেষ্ট। এ ছাড়া সামরিক সঙ্ঘাত বা সন্দেহের সময় বাংলাদেশ সুপার পাওয়ারগুলোর কাছে একটা উৎকৃষ্ট প্লে গ্রাউন্ড হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

নয়া দিগন্ত : চীনের বেল্ট ইনেশিয়েটিভকে কিভাবে দেখছেন, এর সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক কেমন হতে পারে?

প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবদুর রব : প্যাসিফিক ওশান ছাড়া চীন কিন্তু প্রায় ল্যান্ড লক। চীনের আশি ভাগের বেশি ভৌগোলিক অবস্থান পশ্চিমমুখী। নিরাপত্তা ও ইকোনমির জন্য কানেক্টিভিটি ও খনিজ সম্পদ কাজে লাগাতে পাকিস্তানে গদার বন্দরে বিনিয়োগ করেছে চীন। গ্লোবাল পোর্টগুলো আর মহাসড়কের মুক্তোর মালা সদৃশ যোগাযোগ গড়েছে। মূল অর্থনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী যুক্তরাষ্ট্রকে মোকাবেলায় চীনের বেল্ট ইনেশিয়েটিভে বাংলাদেশ দার্জিলিং করিডোরের সুবিধা পেলে যোগ দিতে পারে। উত্তর ভারতের অস্তিত্ব রক্ষায় চীনের সহায়তা চায় ভারত।

নয়া দিগন্ত : মিয়ানমারে সহিংসতা বাড়ছেই, বিশেষ করে আরাকান আর্মি তৎপরতা চোখে পড়ছে? রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসনে পরাশক্তি দেশগুলো কার্যকর কোনো পথ দেখাতে পারছে না..

প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবদুর রব : মিয়ানমারকে চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত গুরুত্ব দিচ্ছে। মিয়ানমার এখন কনফ্লিক্ট কনফিউশনের হার্ডপয়েন্ট হয়ে গেছে। বার্মা অ্যাক্ট বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল ডিপ্লোমেসিতে সূক্ষ্ম চিন্তা ও দরকষাকষি করতে পারলে, এক্সপার্টদের নিয়ে কস্ট ভায়াবিলিটি যাচাই করতে পারলে, চীন অথবা যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে বাংলাদেশ কতটা বেশি লাভবান হতে পারে তা নির্ধারণ করতে পারত। বিষয়টি অত্যন্ত ডেলিকেট ও সেন্সসিটিভ। আমেরিকা চাইবে আরাকানসহ মিয়ানমারের কয়েকটি স্টেটকে স্বাধীন করিয়ে দিতে। ১২ লাখ রোহিঙ্গা আরাকানে একটা বাফার এস্টেটে চলে গেলে মিয়ানমারের সাথেও ভালো সম্পর্ক রাখতে পারবে। এসব বিষয় আমেরিকার সাথে বাংলাদেশ টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন দিয়ে নীতি ঠিক করতে পারে। টেরিটোরিয়াল ইন্টেগ্রেটি বা সার্বভৌমত্বকে নিরাপদ রাখতে বাংলাদেশকে বাইরের শক্তিগুলোর প্লেগ্রাউন্ড বানানো যাবে না। চীন ইকোনমিক পার্টনার, দেশটি থেকে আমরা অস্ত্রশস্ত্র কিনি। আমাদের স্বার্থ ও নিরাপত্তাকে নিশ্চিত করেই আগাতে হবে। করিডোরের কথা চিন্তা করে দেখতে হবে। শাসকদের গদিতে টিকে থাকার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে খুশি করব, চীনকে নিয়ে আসব অথবা ভারতে সুবিধা দিয়ে দেবো এ মনোভাব আর নয়। জাতীয় স্বার্থকে নিশ্চিত করতে প্রস অ্যান্ড কন্সকে মূল্যায়নে এক্সপার্ট ওপিনিয়ন নিয়ে ব্রেইন স্ট্রম সেশন, ওয়ার্কশপ করে ডিপ্লোম্যাটদের পলিসি নির্ধারণ করতে হবে। বাংলাদেশের মিয়ানমার, চীন পলিসি কি হবে, ইউএস বা ইন্দোপ্যাসিফিক রিলেশন কি হবে সে জন্য জাতীয় ঐকমত্য ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের অভিমত দরকার। ব্লু ইকোনমি ও সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্যকে নিশ্চিত করতে ইন্টেলেজিশিয়া লাগবে।

নয়া দিগন্ত ডেস্ক : আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘর্ষকে কিভাবে দেখছেন?

প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবদুর রব : এটা বাড়তে দেয়া উচিত নয়। দুটি দেশকেই ডুরাল্ড লাইন মেনে নিতে হবে। পাকিস্তানকে বিগ ব্রাদার এ্যাটিচিউড দেখালে হবে না। ইউএস তাদের বাগরাম নিয়ে যেতে চাচ্ছে। আফগানিস্তান একটি মেলটিং পট। আফগানিস্তান নিয়ে পাকিস্তানে বৈদেশিক ইন্ধনও রয়েছে।

তালেবান মুজাহিদদের বিরুদ্ধে ভারতীয় সেনারা যুদ্ধ করেছে, হেলিকপ্টার ও অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে ঘানি সরকারকে সহায়তা দিয়েছে। কৌশলগত কারণে পাকিস্তানের সাথে আফগানিস্তানের সম্পর্ক ভালো না থাকার সুযোগ নিচ্ছে ভারত। আমেরিকাকে খুশি করে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আফগানিস্তানকে চাপে রাখছে পাকিস্তানের বর্তমান সরকার। পাকিস্তানের উচিত মমতা, সৌভ্রাতৃত্বের মাধ্যমে আফগানিস্তানকে সহায়তা করা। আফগানিস্তানের মাওলানা মৌলভি সাহেবদেরকে ডিপ্লোমেসি বুঝতে হবে। পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও ইরান নিজেদের সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে হলে তাদের সাথে মধ্যপ্রাচ্য রয়েছে, উত্তরে মধ্য এশিয়া রয়েছে।

নয়া দিগন্ত : সম্প্রতি পাকিস্তান ও সৌদি আরব নিরাপত্তা চুক্তি করেছে, বাংলাদেশও কি ভবিষ্যতে এ ধরনের উদ্যোগে যোগ দিতে পারে?

প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবদুর রব : ডেফিনিটলি। বড় দেশ হিসেবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সৌদি আরবকে হিমশিম খেতে হয়। পাকিস্তান প্রযুক্তি, সিকিউরিটি, ডিফেন্সে অনেক এগিয়েছে। সৌদি আরবের হাতে অনেক প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রয়েছে। আগে ওয়ারশ ছিল, এখন ন্যাটো রয়েছে, ভারতও রাশিয়ার সাথে প্রতিরক্ষা চুক্তি করেছিল। ধর্ম ও সংস্কৃতির দিক থেকে পাকিস্তান ও সৌদি আরব অনেক কাছাকাছি। পাকিস্তান পারমাণবিক নিরাপত্তা বলয় দিতে পারলে অনেক দেশই আসবে। বাংলাদেশও পারস্পরিক বোঝাপড়ায় স্বার্থ রক্ষায় এ ধরনের চুক্তিতে যোগ দিতে পারে যে কোনো এক্সট্রা টেরিটোরিয়াল থ্রেট মোকাবেলায়। ডিপ্লোমেটিক ম্যানুভারিংয়ের মধ্যে আমরা যে কোনো প্যাক্টে যেতে পারি।