আ’লীগ পালিয়েছে বলায় বিএনপির ৪ কর্মীকে কুপিয়ে জখম

নাজিম উদ্দিন, মুরাদনগর (কুমিল্লা)
Printed Edition
মুরাদনগর উপজেলার ম্যাপ
মুরাদনগর উপজেলার ম্যাপ |সংগৃহীত

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় ‘আওয়ামী লীগ পালিয়েছে’ বলায় কথা কাটাকাটির জের ধরে বিএনপির চার নেতাকর্মীকে ধারালো ছুরি দিয়ে কুপিয়ে আহত করেছে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার ছেলের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা। গত শনিবার রাতে উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার পূর্ব ধইর পশ্চিম ইউনিয়নের নবিয়াবাদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, নবিয়াবাদ গ্রামের বিএনপি নেতা ও জিয়া মঞ্চের সদস্য সচিব জুয়েল এবং তার ছেলে সৌরভ, একই গ্রামের বিএনপি কর্মী জাহের মিয়ার ছেলে জাহিদুল ও ইউনুস মিয়ার ছেলে শাকিল। আহতদের মধ্যে জাহিদুল মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকার এভারকেয়ার হসপিটালের আইসিইউতে, বাকিরা কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৩রা মে শনিবার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরায় অনুষ্ঠিত বিএনপির সমাবেশে যাওয়ার পথে পূর্ব ধইর পশ্চিম ইউনিয়ন বিএনপি নেতা ও জিয়া মঞ্চের সদস্য সচিব জুয়েল মিয়ার ছেলে সৌরভের সাথে একই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মানিক মিয়ার ছেলে জিহাদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আওয়ামী লীগ পালিয়েছে বলায় দুইজনের মধ্যে শুরু হয় ঝগড়া। পরে বিষয়টি জানতে পেরে দুই পক্ষের অভিভাবকদের মাধ্যমে সুরাহা হলেও এর জের ধরে গত শনিবার (১০ মে) রাতে নবিয়াবাদ মাদ্রাসার সামনে মানিক মিয়ার ছেলে জিহাদ ও জিসানের নেতৃত্বে ৫/৬ জনের একটি সন্ত্রাসী দল আচমকা সৌরভের ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এ সময় সৌরভকে বাঁচাতে এলে তার বাবা জুয়েল মিয়া ও কাকা শাকিল এবং তার সমবয়সী জাহিদুলকে চোখে, পেটে, পিঠে ও হাতে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করতে থাকে তারা। আহতদের শোর-চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এদের মধ্যে দুজনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে জাহিদুল এভারকেয়ার হসপিটালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন।