পিআর বাদ দিয়ে নির্বাচনে আসুন : মির্জা ফখরুল

Printed Edition
ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপির মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর  : নয়া দিগন্ত
ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপির মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর : নয়া দিগন্ত

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

বিএনপি মহাসচীব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পিআর নিয়ে আন্দোলনরত রাজনৈতিক দলগুলোকে উদ্দেশ করে বলেছেন, পিআর বাদ দিয়ে নির্বাচনে আসুন। নির্বাচনের মাধ্যমে দেশটা গড়ে তুলি। কয়েকটা দল পিআরের জন্য চিৎকার করছে। পিআর এখনো সাধারণ মানুষ বোঝে না। সাধারণ মানুষ ভোট দিতে চায়। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি চায়। আগে নির্বাচন হোক, পার্লামেন্টে পিআর নিয়ে তর্কবিতর্ক হবে। পিআরের সিদ্ধান্ত পরেও নেয়া যাবে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ঠাকূরগাঁও সদর উপজেলার দানারহাট ঈদগাহ মাঠে ১৯ নং বেগুনবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত মহিলা সমাবেশে ও হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমার দেশের বেশির ভাগ মানুষ কৃষি কাজ করে খায়। কৃষিতে সময়মতো পানির সেচ আর ন্যায্যমূল্যে সঠিক সার না পেলে কৃষকদের ক্ষতি হয়ে যাবে। তাই কৃষকদের দাবি আদায়ে প্রয়োজনে ডিসি অফিস ঘেরাও করতে হবে। দেশে আর কোনো আমলাতন্ত্র চলতে দেয়া হবে না। আমরা কৃষকদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এ সরকার বড় ভুল করছে বাইরে থেকে ভুট্টা আমদানি করে। যেখানে আমার দেশের কৃষকরা ভুট্টার দাম পাচ্ছে না, সেখানে আপনারা কী করে ভুট্টাসহ অন্যান্য ফসল আমদানি করছেন? কৃষকদের না বাঁচিয়ে এ সরকার বড় ভুল করছে। কৃষকদের সব উৎপাদিত পণ্যের ন্যায়্যমূল্য নিশ্চিত করতে হবে। আমরা মতায় গেলে কৃষকরা উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাবে, এক কোটি মানুষকে চাকরি দেয়া হবে, মায়েদের ফ্যামিলি কার্ড করে দেয়া হবে। তাই আমাদের হাতকে শক্তিশালী করে দেশের মানুষের জন্যে কিছু করার সুযোগ আপনারা করে দেবেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, নির্বাচন পেছানোর লক্ষ্যে একটি পক্ষ তাদের দাবি দাওয়া নিয়ে তুলে সরকারকে ব্যতিব্যস্ত করে চাপে রাখতে চাইছে। কিন্তু আমরা এ বিষয়ে আপস করব না। দেশ ও গণতন্ত্র বাঁচাতে, দেশের মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে অবশ্যই নির্বাচন হতে হবে। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে দেশে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। মানুষ ভোট দিতে পারেনি। শান্তিতে ঘুমাতে পারেনি। এখন একটা পরিবর্তন হয়েছে। এখন অন্তত আমরা শান্তিতে ঘুমাতে পারি।

গণমাধ্যম ও স্বাধীনমত প্রকাশ বিষয়ে তিনি বলেন, আজ মানুষ তাদের প্রত্যেকের নিজেদের কথা বলতে পারছে। যার যা ইচ্ছে বলতে পারছে। সাংবাদিকরা আজ তাদের নিজেদের মতো করে লিখতে পারছে। বিগত সরকারের সময়ে সাংবাদিকদের হাত ছিল বাঁধা। আমরা এ নীতিতে বিশ^াসী না। তাই আমরা ক্ষমতায় গেলে সাংবাদিকদের এ স্বাধীনতা নিশ্চিত করব।

১৯ নং বেগুনবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এস এম আবুল কাসেম আজাদের সভাপতিত্বে এ সময় জেলা বিএনপির সভাপতি মির্জা ফয়সল আমিন, সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদ, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিনসহ দলটির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।