নয়া দিগন্ত ডেস্ক
ভোলার তজুমদ্দিনে এবং ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে অগ্নিকাণ্ডে ১৯টি মাছের আড়ৎ ও ১৭টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
তজুমদ্দিন (ভোলা) সংবাদদাতা জানান, ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার শশীগঞ্জ মাছঘাটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১৯টি মাছের আড়ৎ পুড়ে গেছে। গতকাল রোববার ভোর ৪টার দিকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে তজুমদ্দিন ও লালমোহন ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ও স্থানীয়দের প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন লাগার সঠিক কারণ জানাতে পারেনি কেউ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আগুনে প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত আড়ৎদাররা হলেন- কামাল উদ্দিন, মহিউদ্দিন জুলফিকার, সিরাজ মেম্বার, মহিউদ্দিন, জামাল, কুট্টি, শাজাহান, হাজী হাফেজ, ফারুক, কবির সর্দার, জাকির, জাহাঙ্গীর চেয়ারম্যান, কিরণ চেয়ারম্যান, ইসতিয়াক হাসান, আলী মোস্তফা বেচু তালুকদার, মন্নান, হেলাল মেম্বার, আনোয়ার ও জাকির।
স্থানীয়রা জানান, রাতের আঁধারে হঠাৎ আগুন ছড়িয়ে পড়লে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়া হয়। তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আশপাশের লোকদের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানাতে পারেনি।
বোয়ালমারী (ফরিদপুর) সংবাদদাতা জানান, ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার কাদিরদী বাজারে অগ্নিকাণ্ডে ১৭টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গত শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিস জানায়, শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে বোয়ালমারী উপজেলার কাদিরদী বাজারের মাছ বাজার সংলগ্ন বাচ্চু মোল্যার মার্কেটের নাসির দর্জির দোকানের বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। আগুনে বাচ্চু মোল্যার মার্কেট, আজিজ মোল্যার মার্কেটসহ চারটি মার্কেটের মনোহারি দোকান, ওষুধ, টেইলার্স, বীজ ভাণ্ডার, জুতার দোকান, রেস্টুরেন্টসহ অন্তত ১৭টি দোকান পুড়ে গেছে। খবর পেয়ে এলাকাবাসী, মধুখালী ও বোয়ালমারী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
বোয়ালমারী ফায়ার সার্ভিসের লিডার খালেক শেখ জানান, এক সাথে দুই ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও স্থানীয়দের সহায়তায় প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। মধুখালী ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ রাশেদুল আলম বলেন, আগুনে ১৩টি দোকান একেবারে পুড়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত।



