দেশের ব্যাংকিং খাতে মেয়াদি আমানত ও বিনিয়োগে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি ঘটেছে, যা ব্যাংকগুলোর স্থিতিশীলতা এবং ঝুঁঁকি মোকাবেলায় সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে চলতি আমানত ও বিলে সামান্য হ্রাস ল করা গেছে, যা মূলত অর্থনৈতিক অস্থিরতা ও বৈদেশিক বাণিজ্যের প্রভাবের কারণে হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ব্যাংকিং খাতে ঋণের বৃদ্ধি তুলনামূলকভাবে ধীর হলেও বিনিয়োগে গত বছরের তুলনায় প্রায় ৩০% বৃদ্ধি সমতা ও আস্থার ইঙ্গিত দিচ্ছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে দেশের অর্থনীতিতে উদ্যোগ ও বিনিয়োগের পরিবেশ আরো শক্তিশালী হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জুলাই মাসে দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে আমানত ও ঋণের প্রবণতা বেশির ভাগ েেত্রই স্থিতিশীল বা ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আমানতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, তলবি আমানত জুলাই ২০২৫-এ এক লাখ ৯৭ হাজার ৫৫৮ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে, যা জুন ২০২৫-এর তুলনায় ৭.৩% কম এবং গত বছরের জুলাইয়ের তুলনায় ২.২৫% বেশি। আর মেয়াদি আমানত দাঁড়ায় ১৬ লাখ ৮২ হাজার ৫৪৯ কোটি টাকায়, যা জুনের তুলনায় ১.০৯% বেশি এবং জুলাই ২০২৪-এর তুলনায় ৯.২% বেশি। মোট আমানত দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৮০ হাজার ১০৭ কোটি টাকায়, জুন ২০২৫-এর তুলনায় সামান্য ০.১৪% বৃদ্ধি এবং গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮.৪২% বৃদ্ধি।
ব্যাংক ঋণের অবস্থা বিশ্লেষণে দেখা যায়, আগাম ঋণ জুলাই ২০২৫-এ ১৭ লাখ ৩৩ হাজার ২১৪ কোটি টাকায় পৌঁছেছে, যা জুন ২০২৫-এর তুলনায় সামান্য ০.১৪% হ্রাস, তবে গত বছরের জুলাইয়ের তুলনায় ৭.১৪% বৃদ্ধি।
আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বিল ২৭ হাজার ২৩৯ কোটি টাকা, জুনের তুলনায় এটি ৪.৫৩% কম এবং জুলাই ২০২৪-এর তুলনায় ৩০% কম।
বিনিয়োগ পাঁচ লাখ ৫৯ হাজার ৪২৬ কোটি টাকায় দাঁড়ায়, যা জুনের তুলনায় ১.২৩% বৃদ্ধি এবং জুলাই ২০২৪-এর তুলনায় ৩০.৪৭% বৃদ্ধি। মোট ঋণ ও বিনিয়োগ হয়েছে ২৩ লাখ ১৯ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা, জুনের তুলনায় ০.১৩% বৃদ্ধি এবং গত বছরের তুলনায় ১১.২৪% বৃদ্ধি।