‘কৃষি মন্ত্রণালয়ের বাজেটের ৭০ ভাগ ভর্তুকিতে ব্যয় হয়’

Printed Edition

বাকৃবি প্রতিনিধি

কৃষি মন্ত্রণালয়ের বাজেটের প্রায় ৭০ শতাংশ ভর্তুকিতে ব্যয় হয়। এই খরচ কমানো গেলে তা গবেষণায় ব্যবহার করা যেত। দেশে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ব্যবহার হচ্ছে, যা জমির ক্ষতি করছে।

গতকাল বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালা ২০২৪-২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (গবেষণা উইং) মো: আবু জুবায়ের হোসেন বাবলু।

ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) চত্ত্বরে অবস্থিত বিনার কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে ওই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় তিনি বলেন, মাঠপর্যায়ে গবেষণার ফলাফল ও কৃষকের গ্রহণযোগ্যতা নিয়মিতভাবে পর্যালোচনা করা জরুরি। কিছু ধানের জাত বৃষ্টিতে নত হয়ে যায়, এসব সমস্যা নিয়ে আরো গবেষণা দরকার। মাঠের উৎপাদন ও গবেষণার ফলাফলের মধ্যে পার্থক্য কমাতে হবে এবং পোস্ট-হার্ভেস্ট খরচ কমানো দরকার।

গবেষণার ফল প্রচারে ঘাটতি রয়েছে। ক্যালেন্ডার, গণমাধ্যম ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মাধ্যমে উদ্ভাবিত জাতগুলো ছড়িয়ে দিতে হবে। কৃষকদের কাছে পাঠানো বীজ কেন গ্রহণযোগ্য হচ্ছে না, তাও যাচাই করতে হবে।

বিনার মহাপরিচালক ড. সারিফুল হক ভূঁইয়ার সভাপতিত্ব কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিনার বোর্ড অব ম্যানেজমেন্টের সদস্য এ কে এম আনিসুজ্জামান আনিস, মো: শফিকুল আলম সোহেল, পরিচালক (অ্যাডমিন) ড. মো: আজিজুল হক।

আরো উপস্থিত ছিলেন- ময়মনসিংহের কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক ড. সালমা লাইজু, বাকৃবির বাউরেসের পরিচালক অধ্যাপক ড. এম হাম্মাদুর রহমান। অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার ছিলেন বাকৃবির কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জি এম মুজিবর রহমান। স্বাগত বক্তব্য দেন বিনার গবেষণা পরিচালক ড. মো: হোসেন আলী।